প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ নভেম্বর : মণিপুরের জিরিবাম জেলা থেকে একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ৩১ বছর বয়সী এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। এ সময় সশস্ত্র হামলাকারীরা দ্রুত গুলি চালিয়ে গ্রামে লুটপাট চালায় এবং ১৭টি বাড়ি পুড়িয়ে ছাই করে দেয় বলে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে।
পুলিশ এফআইআর-এ "জাতিগত এবং সম্প্রদায়গত ভিত্তিতে ধর্ষণ এবং খুন" উল্লেখ করেছে। নিহতের স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন যে এই কাজটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা করেছে, তবে হামলাকারীদের এখনও সনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেহ করা হচ্ছে হামলাকারীরা মণিপুরের স্থানীয় এলাকার হতে পারে।
আদিবাসী উপজাতি অ্যাডভোকেসি কমিটি (আইটিএসি) একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে আক্রমণকারীরা গ্রামে ঢোকার সাথে সাথে বাড়িঘরে আগুন দেয় এবং গুলি চালায়। এ সময় গ্রামের লোকজন প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গলের দিকে ছুটতে শুরু করলেও এক নারী ফাঁদে পড়ে নির্মমভাবে খুন হন। এই ঘটনাটি মণিপুরে চলমান জাতি সংঘাতের আরেকটি ভয়াবহ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
মণিপুরে চলমান বর্ণ বিরোধ রাজ্যে বিভাজনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি এবং উপজাতীয় কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমাগত সংঘর্ষ চলছে, যার কারণে রাজ্যে সহিংসতার পরিবেশ রয়েছে। এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২৩০ জন মারা গেছে এবং ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। এই ঘটনা রাজ্যের পরিস্থিতিকে আরও অশান্তিতে ফেলে দিয়েছে।
এই ঘটনার পর, আদিবাসী সংগঠনগুলি মণিপুরে কুকি-জোমি-হামার সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবী করেছে। চুড়াচাঁদপুরের আদিবাসী সংগঠন আদিবাসী আদিবাসী নেতা ফোরামও এ জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে। এর আগে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মণিপুরে সহিংসতা নিয়ে সংলাপ শুরু করেছিল, কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment