প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১০ নভেম্বর: সম্প্রতি বিবাহিত এবং অবিবাহিত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় গবেষণা বেরিয়ে এসেছে,যা দেখায় যে কোন সম্পর্কের মধ্যে বসবাস করা হতাশার ঝুঁকি কমাতে বা বাড়াতে পারে।এই গবেষণার ফলাফলগুলি চমকপ্রদ।কারণ তারা প্রকাশ করেছে যে বিবাহিত ব্যক্তিদের মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতার মাত্রা কম থাকে,যেখানে অবিবাহিতদের এই মানসিক সমস্যাগুলির ঝুঁকি বেশি থাকে।সর্বোপরি, অবিবাহিত থাকা কেন মানসিক চাপ বাড়ায় এবং কীভাবে বিবাহ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে?আসুন জেনে নেই এই গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সম্পর্কে।
সমীক্ষা অনুসারে,অবিবাহিতদের একাকীত্বের অনুভূতি বেশি থাকে,যা মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতার সম্ভাবনা বাড়ায়। বিবাহিত জীবনে সঙ্গীর কাছ থেকে পাওয়া সমর্থন ও সাহচর্য একজন মানুষকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে। দাম্পত্য জীবনে দুজন মানুষ তাদের সমস্যা শেয়ার করে একে অপরের সহযোগী হয়ে ওঠে,যা মানসিক সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
অবিবাহিতরা কেন বেশি চাপ অনুভব করেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে,সমাজে বিবাহের বন্ধন শুধুমাত্র দুটি মানুষের মিলনই নয়,মানসিক সমর্থনেরও উৎস।অবিবাহিতরা প্রায়ই তাদের জীবনে একাকীত্ব অনুভব করেন,যা সময়ের সাথে সাথে মানসিক সমস্যায় পরিণত হতে পারে।বিবাহিত জীবনে পরিবার এবং সন্তানের সঙ্গও একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
গবেষণা থেকে কী পরিসংখ্যান উদ্ভূত?
এই গবেষণায় বিভিন্ন বয়সের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং তাদের মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। ফলাফলে দেখা গেছে যে বিবাহিত ব্যক্তিরা, বিশেষ করে যারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুখী,তারা কম চাপ এবং বিষণ্নতার সম্মুখীন হন। একই সময়ে, অবিবাহিতদের মধ্যে বিষণ্নতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি পাওয়া গেছে।
অবিবাহিতরা কী করতে পারেন?
অবিবাহিতদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি।তারা সামাজিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে পারে,বন্ধু এবং পরিবারের সাথে সংযোগ বাড়াতে পারে এবং নতুন শখ নিতে পারে।এছাড়াও মনোবৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে,একজন ব্যক্তির তার আগ্রহ এবং কার্যকলাপে নিযুক্ত থাকা উচিৎ।নিয়মিত যোগব্যায়াম,ধ্যান এবং ব্যায়ামও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment