প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৮ নভেম্বর: প্যানিক অ্যাটাক হল ভয় এবং উদ্বেগের তীব্র আবেগ।এটি প্রায়শই ঘটে যখন লোকেরা তাদের জীবনে ঘটতে থাকা একটি ঘটনা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হয় বা একটি কঠিন বা চাপযুক্ত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।
প্যানিক অ্যাটাক খুব ভীতিকর মনে হতে পারে।বিশেষ করে শিশুদের জন্য।তবে এটি সাধারণত চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যেতে পারে।মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নীনা বিজয়বর্গীয় একটি কর্মশালায় প্যানিক ডিসঅর্ডার সম্পর্কিত লক্ষণ,সম্ভাব্য কারণ,প্রতিরোধ,প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং ভুল ধারণা সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে প্যানিক অ্যাটাক হল আকস্মিক,তীব্র ভয়ের অনুভূতি,যার কারণে হৃৎপিণ্ড দ্রুত স্পন্দিত হয়।এটি শ্বাসকষ্ট এবং ঘামের মতো শারীরিক উপসর্গ সৃষ্টি করে।কিছু লোক যারা প্যানিক অ্যাটাক অনুভব করে তারা প্যানিক ডিসঅর্ডার তৈরি করে,যা এক ধরনের উদ্বেগ ব্যাধি।
ভারতে প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে ৫ জন এই রোগে ভোগেন। এর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে জেনেটিক্স,মস্তিষ্কে রাসায়নিক পরিবর্তন,চাপের ঘটনা ইত্যাদি।এই ব্যাধি শনাক্ত করার জন্য কিছু পরীক্ষা করা হয়,যেমন- শারীরিক এবং মানসিক পরীক্ষা। প্যানিক অ্যাটাকের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা করা উচিৎ যাতে সেটি আরও খারাপ হওয়া বা আরও ঘন ঘন ঘটতে না পারে।
থেরাপি এবং ওষুধ প্যানিক অ্যাটাক এবং প্যানিক ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা করতে পারে।একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ এই ব্যাধি প্রতিরোধে সাহায্য করে।এই কর্মশালায় কাউন্সেলর এবং বিষয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটি দল কীভাবে প্যানিক অ্যাটাকগুলিকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে হয় এবং কীভাবে জীবনের চাপের সাথে মোকাবিলা করতে হয় সে সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment