প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২১ নভেম্বর : পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। লোয়ার কুর্রাম এলাকায়, সন্ত্রাসীরা যাত্রী বহনকারী তিনটি গাড়ি লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়। এই হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০ জন। এতে অনেক নারীর পাশাপাশি একজন পুলিশ আধিকারিকও রয়েছেন। বলা হচ্ছে, গাড়িটি পারাচিনার থেকে পেশোয়ার যাচ্ছিল। উছাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়।
আহতদের অনেকেই মান্দোরি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের মন্ত্রী মহসিন নকভির বক্তব্য এসেছে। তিনি বলেন, "এই হামলা খুবই দুঃখজনক। জানমালের ক্ষতিতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সন্ত্রাসীরা কাপুরুষোচিত কাজ করেছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি হল যারা এই হামলা চালিয়েছে সরকার তাদের ছাড় দেবে না।"
লোয়ার কুররাম সন্ত্রাসী হামলার কিছু প্রত্যক্ষদর্শী এগিয়ে এসেছেন, যারা একটি হৃদয় বিদারক কাহিনী বর্ণনা করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে সন্ত্রাসীরা একটি অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল। এ কারণে গাড়িতে থাকা লোকজনও সেরে ওঠার সুযোগ পাননি। লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই মৃতদেহের স্তূপ শুরু হয়ে গেছে।
বলা হচ্ছে, গাড়ির অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন শিয়া মুসলিম। কুররাম জেলায় যেখানে এই হামলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি এবং সংখ্যালঘু শিয়া মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। একজন পুলিশ আধিকারিক বলেছেন যে বেশ কয়েকটি গাড়ি যাত্রী নিয়ে খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ার যাচ্ছিল। এ সময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
কুররাম সন্ত্রাসী হামলায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। তিনি বলেন, "নিরীহ যাত্রীদের ওপর হামলা অত্যন্ত কাপুরুষোচিত ও অমানবিক। যারা নিরপরাধদের ওপর হামলা করবে তাদের শাস্তি হবে। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আহতদের সময়মতো চিকিৎসা দিতে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জারদারি।"
পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও যাত্রীবাহী গাড়িতে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কুর্রাম জেলায় নিরীহ নাগরিকদের টার্গেট করা অত্যন্ত কাপুরুষ ও নিষ্ঠুর। যারা হামলা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সরকারের প্রথম দায়িত্ব।
No comments:
Post a Comment