সন্তানের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়তে পারে আপনারই যেসব ভুলে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 20 November 2024

সন্তানের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়তে পারে আপনারই যেসব ভুলে


প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২০ নভেম্বর: সন্তান লালন-পালন করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং এবং সেই সাথে পিতামাতার জন্য দায়িত্বপূর্ণ একটি যাত্রা। প্রত্যেক অভিভাবকই এক্ষেত্রে যদিও কোনও ত্রুটি রাখেন না, তবে কিছু ভুল সন্তানের ভবিষ্যতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। আজ এই প্রতিবেদনে এমন কিছু ভুলের কথা জেনে নেওয়া যাক, যেগুলো উপেক্ষা করলে শিশুর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ে।


 মানসিক সমর্থন উপেক্ষা করা

প্রতিটি শিশুর মানসিক সমর্থন প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি আপনার সন্তানের মানসিক চাহিদাকে উপেক্ষা করেন তাহলে তার মনের ওপর খুব খারাপ এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে। আপনি যদি আপনার সন্তানের জন্য এমন পরিবেশ তৈরি করতে না পারেন যেখানে সে তার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তাহলে সে উদ্বেগ বা হতাশার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় আপনার এই ভুলের কারণে সে আপনার সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতেও দ্বিধা বোধ করে। এই জিনিসটি এড়ানোর জন্য, আপনার সন্তানের সব কথা শুনতে হবে এবং তার অনুভূতিও বুঝতে হবে।


 রক্ষা করার অতিরিক্ত প্রবণতা 

প্রত্যেক পিতা-মাতাই তাদের সন্তানকে সব ঝামেলা থেকে নিরাপদ রাখতে চান। কিন্তু, সমস্যা শুরু হয় যখন আপনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দিতে শুরু করেন। আপনি যখন অত্যধিক প্রতিরক্ষামূলক হন, তখন তাদের মধ্যে স্বাধীনতা এবং নমনীয়তার সঠিকভাবে বিকাশ হয় না। শিশুদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য বা তাদের মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে আপনি তাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দিন। এটা করলে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।


 প্রণোদনা বা উৎসাহ দেওয়ার অভাব

আপনি যদি চান আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক, তাহলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে আপনি তাদের কৃতিত্ব এবং ছোট প্রচেষ্টার জন্য তাকে উৎসাহিত করতে থাকুন। আপনি যদি এই ছোট জিনিসগুলির জন্য তাদের উত্সাহিত না করেন তবে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং অনুপ্রেরণার অভাব শুরু হয়। আপনি যখন আপনার সন্তানদের উত্সাহিত করেন না, তখন তাদের মধ্যে হেরূ যাওয়ার ভয় তৈরি হয়। 


খোলাখুলি কথা না বলা

আপনি যদি কোনও সম্পর্ককে মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী রাখতে চান, তাহলে যেকোনও বিষয়ে খোলামেলা এবং সততার সঙ্গে কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আপনি যদি একজন অভিভাবক হয়েও সন্তানের সাথে খোলামেলা কথা বলেন না বা তার অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেন না, তাহলে আপনাদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব হতে পারে। অনেক সময় এমন হয় যে, আপনাদের দুজনের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর জীবনে আর কখনও সেটা ভালো হয় না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad