প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ নভেম্বর: যখন গলায় কফ জমে,তখন কেবল কথা বলাই কঠিন হয় না, অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে।এমন পরিস্থিতিতে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি এখানে উল্লেখিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
গলায় কফ আটকে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা সর্দি, কাশি বা অ্যালার্জির কারণে হতে পারে।এটি কেবল অস্বস্তিকর নয়,এতে কথা বলতে এবং শ্বাস নিতেও অসুবিধা হতে পারে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেক ওষুধ পাওয়া যায়, তবে আপনি কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্যে উপশম পেতে পারেন।
কফ থেকে মুক্তি পেতে এই ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করুন -
গরম জলে গার্গল:
উষ্ণ লবণজল দিয়ে গার্গল করলে গলায় জমে থাকা কফ ভেঙ্গে যায়।এটি গলার প্রদাহ কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে।দিনে কয়েকবার গার্গল করলে আরও উপকার পাওয়া যায়।
মধু:
মধু হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-সেপটিক যা গলা ব্যথা প্রশমিত করে এবং কফ কমাতে সাহায্য করে।এক চামচ মধু গরম জলে মিশিয়ে পান করতে পারেন বা সরাসরি খেতে পারেন।
আদা চা:
আদার মধ্যে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী গুণ যা গলার ফোলাভাব কমায়।আদা চা পান করলে কফ কম হয় এবং সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।স্বাদের জন্য আপনি এতে কিছু লেবুর রস যোগ করে পান করতে পারেন।
রসুন:
রসুনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।কাশি থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা রসুন খেতে পারেন বা রসুনের চা পান করতে পারেন।
তুলসী পাতা:
তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য,যা গলার প্রদাহ কমায় এবং কফ কমাতে সাহায্য করে।সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন বা তুলসী চা পান করতে পারেন।
হলুদ-দুধ:
হলুদে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে,যা গলার প্রদাহ কমায় এবং কফ কমাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করলে স্বস্তি পেতে পারেন।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment