নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ০৫ নভেম্বর: হাড়োয়া বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামের নির্বাচনী এজেন্ট আসের আলি মল্লিকের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল গোলাবাড়ি সহ হাড়োয়ার বিভিন্ন এলাকায়।জমি দখল ও তোলাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে ওই পোস্টারে।
বারসত দুই নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ পেশায় শিক্ষক আসের আলি মল্লিক। হাড়োয়া বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল তাদের প্রার্থী রবিউল ইসলামের নির্বাচনী এজেন্ট করেছে আসেরকে। সোমবার সকালে কাঁচকল, গোলাবাড়ি, ডাকাতপোতা, নজরুল পল্লি, সোনা টিকারিয়া, বড়পোল ও খড়িবাড়ি এলাকার একাধিক দেওয়াল এবং বাতি স্তম্ভে দেখা যায় তিন ধরনের পোস্টার সাটানো হয়েছে। একটিতে লেখা আছে, দাদপুর গ্রামে জমি দখল ও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা আসের মল্লিক জবাব দাও। পোস্টারের শেষে লেখা আছে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী।
অন্য একটি পোস্টারে জমির খতিয়ান নম্বর দিয়ে নথি। আর একটি পোস্টারে লেখা আছে, বিজেপির সক্রিয় কর্মী আসের আলি কীভাবে তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট হল তৃণমূল নেতৃত্ব জানতে চায়। এদিন সকালে পোস্টারগুলি স্থানীয়দের নজরে আসতেই খবর দেওয়া বারাসত দুই ব্লকের তৃণমূল নেতাদের। তারা কর্মীদের দিয়ে পোস্টারগুলি তৎক্ষণাৎ তুলে নেয়।
বিজেপি নেতা শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "২১ সালের নির্বাচনের সময় আসের আলি বিজেপিতে যোগ দেয়। ওই সময় তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগ জমা পড়ে। আমরা আসের আলি মল্লিককে বহিস্কার করি। পরে আসের তৃণমূলে যোগ দেয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়।"
সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক মন্ডলির সদস্য আহমেদ আলি খান বলেন, "তোলাবাজি করতে কে কখন তৃণমূল ও বিজেপি করে তা বোঝা মুশকিল। দলদুটো এভাবেই চলছে। তৃণমূল কখনও ভালো লোকদের দ্বায়িত্ব দেয় না। প্রার্থীও করেনা।" বারাসত দুই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন, " সম্পূর্ণটাই বিজেপির চক্রান্ত। আসের আমাদের দলের একজন সক্রিয় কর্মী ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। এবার দল তাঁকে নির্বাচনী এজেন্ট করেছে।"
এদিন সকালের পর থেকে আসের আলি মল্লিক মোবাইল বন্ধ করে দেন। ফলে প্রতিক্রিয়া নিতে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
No comments:
Post a Comment