বিজ্ঞানীরা তৈরি করছেন Human Cells Atlas - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 25 November 2024

বিজ্ঞানীরা তৈরি করছেন Human Cells Atlas


প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৫ নভেম্বর: বিজ্ঞান দিন দিন উন্নতি করছে।পিছিয়ে নেই চিকিৎসা বিজ্ঞানও।গত কয়েক দশকে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক দুরারোগ্য রোগের ওষুধ তৈরি করেছে।এখন বিজ্ঞানীরা মানবদেহের কোষের মানচিত্র তৈরি করছেন।

গত কয়েক দশকে চিকিৎসা বিজ্ঞান তার গবেষণার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বহু ধরনের দুরারোগ্য রোগের ওষুধ তৈরি করেছে, যা মানবদেহকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,এখন মানবদেহের কোষের মানচিত্র তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা।এটি করা মানবদেহ কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে সাহায্য করবে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় অগ্রগতি হতে পারে।মানবদেহকে সব সময় সুস্থ রাখতে বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নতুন নতুন আবিষ্কার করে চলেছেন।মানবদেহের কার্যপ্রণালী বোঝার জন্য এখন বিজ্ঞানীরা দেহের কোষের মানচিত্র তৈরি করতে চলেছেন।  আসুন হিউম্যান সেলস অ্যাটলাস সম্পর্কে জানি।

মানব কোষের অ্যাটলাস -

এটি বিশ্বাস করা হয় যে মানবদেহ প্রায় ৩৬ থেকে ৩৭ লক্ষ কোটি কোষ দ্বারা গঠিত।দেহে উপস্থিত প্রতিটি কোষের আলাদা কাজ,ভিন্ন আচরণ এবং ভিন্ন জীবন রয়েছে।এগুলি একজন ব্যক্তির জীবনে বহুবার তৈরি ও ধ্বংস হয় এবং শরীরকে কাজ করার জন্য শক্তি সরবরাহ করে।শরীরের কোষগুলির একটি অ্যাটলাস তৈরি করা ভবিষ্যতে অনেক ধরণের রোগ এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা,নতুন ওষুধ আবিষ্কার এবং বার্ধক্যের কারণগুলি বোঝার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।আগামী দিনে বিজ্ঞানের জন্য এটা একটা বড় অর্জন হতে পারে,কিন্তু এর মানে এই নয় যে মানুষ অমর হয়ে যাবে।

"হিউম্যান সেল অ্যাটলাস" কি ২০২৬ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে?

মানব কোষের ম্যাপিংয়ের প্রক্রিয়া,যাকে "হিউম্যান সেল অ্যাটলাস" বলা হয়,জীববিজ্ঞান এবং জিনোমিক্সের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ।এর উদ্দেশ্য হল মানবদেহের প্রতিটি কোষের বিবরণ সংগ্রহ করা,তাদের গঠন,কাজ এবং একে অপরের সাথে তাদের মিথস্ক্রিয়া বোঝা।এটি স্বাস্থ্য,রোগ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারে।বিজ্ঞানীদের মতে,"হিউম্যান সেল অ্যাটলাস" তৈরি হবে মাত্র ২ বছর পর,অর্থাৎ ২০২৬ সালের মধ্যে।এতে শরীরের প্রতিটি কোষের অবস্থান,পরিচয় ও কার্যকারিতা জানা যাবে।এটি বয়সের বিভিন্ন পর্যায়ে কোষ কীভাবে কাজ করে,তাও প্রকাশ করবে।

বিজ্ঞানীরা আরও বলেন,এই মানচিত্রটি প্রাথমিক হবে এবং এটি তৈরির পরে আরও অনেক আবিষ্কার করা হবে যাতে শরীরের কার্যপ্রণালী বুঝে মানুষের জীবনকে আরও উন্নত ও দীর্ঘ করা যায়।এইচসিএ (হসপিটাল কর্পোরেশন অফ আমেরিকা)-এর চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিজ্ঞানীরা ৪০টি গবেষণা পত্র তৈরি করেছেন।এটিকে মানবদেহের কোষের অ্যাটলাসের প্রথম অনুলিপি বলা হচ্ছে।এই গবেষণাপত্রের প্রতিবেদনটি ২০ নভেম্বর ২০২৪-এ নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

মানুষ কী অমর হতে পারে?

যতদূর অমর হয়ে ওঠার ব্যাপার,এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি খুবই কঠিন।বর্তমানে কোনও জীবিত মানুষকে জৈবিকভাবে অমর করার কোনও উপায় খুঁজে পাওয়া যায়নি।বার্ধক্যজনিত প্রক্রিয়া এবং কোষের ক্ষতির কারণে মৃত্যু ঘটে এবং এই ক্ষেত্রে  কাজ করা হচ্ছে।কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর বা বন্ধ করার জন্য জিনোম এবং কোষের স্তরে গবেষণা করা হচ্ছে,তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।এখনও কোনও জীবকে সম্পূর্ণরূপে অমর করার কোনও সম্ভাবনা নেই।বর্তমানে একজন মানুষকে অমর করার মতো কোনও প্রযুক্তি নেই।তবে কোষ এবং ডিএনএ অধ্যয়ন চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক নতুন মাত্রা খুলে দিতে পারে,যা জীবনকে সুস্থ ও দীর্ঘায়িত করতে সাহায্য করতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad