প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৩ নভেম্বর : শ্রী ব্রহ্মা সরস্বতী মন্দির সূর্যপেট জেলার পালামারি গ্রামে অবস্থিত কাকাতিয়া যুগের একটি চমৎকার উদাহরণ। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল ব্রহ্মা ও দেবী সরস্বতীর মূর্তি একই পাথরে খোদাই করা আছে। এই মন্দিরটি বিশ্বের ভগবান ব্রহ্মার দুটি মন্দিরের মধ্যে একটি হওয়ার বিশেষত্ব রয়েছে। এখানে ভগবান ব্রহ্মা এবং দেবী সরস্বতী উভয়েরই পূজা করা হয়, যা এই মন্দিরটিকে আরও বিশেষ করে তোলে।
দ্বাদশ শতাব্দীতে কাকাতিয়া রাজা গণপতিদেবের শাসনামলে, রাজা রামিরেড্ডি এবং বেথিরেডি এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন। কাকাতিয়া স্থাপত্যের এই মন্দিরটি, ত্রিকুটেশ্বর মন্দিরের সাথে, কাকাতিয়া যুগের স্থাপত্যের একটি চমৎকার উদাহরণ উপস্থাপন করে। এই মন্দিরে একটি অনন্য আচারও রয়েছে, যেখানে দেবীর সজ্জিত শাড়িটি ভক্তদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় যারা এটি কোনও শব্দ ছাড়াই গেয়েছেন। এতে ভক্তদের গভীর ভক্তি বোঝা যায়।
মন্দিরে পূজা, কুমকুমর্চনা, শ্রী চণ্ডী হোম এবং অক্ষরব্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিশেষ করে মূলা নক্ষত্রের দিনে। এই আচার মন্দিরের আধ্যাত্মিক শক্তিকে আরও শক্তিশালী করে এবং ভক্তদের জন্য বিশেষ তাৎপর্য রাখে।
মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সন্তোষ শর্মা বলেছিলেন যে এখানে শিশুদের সাক্ষরতা শেখানো তাদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে সরস্বতী পূজা কেবল শিক্ষাগত অগ্রগতিতেই সাহায্য করে না বরং আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়। এই মন্দিরটি হায়দ্রাবাদ থেকে বিজয়ওয়াড়া যাওয়ার পথে ৬৫ নম্বর জাতীয় সড়কে সূর্যপেট থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে পালামারি গ্রামে অবস্থিত। পর্যটকরা সহজেই এই তীর্থস্থানে পৌঁছাতে পারেন।
কাকাতিয়া যুগ থেকে এই গ্রামটি মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। পুরোহিতরা বলছেন, দেবী সরস্বতীর এই মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করা। আরও বলা হয়, এখানে যেসব শিশু লেখাপড়ার জন্য আসে, তাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি লেখাপড়া ভালো হয়। কাকাতিয়া ভাস্কর্য এবং আধ্যাত্মিক মহিমায় সমৃদ্ধ, এই মন্দিরটি ভক্তদের একটি অনন্য আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
বালসামারী শ্রী ব্রহ্মা সরস্বতী মন্দির শুধুমাত্র একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, এটি ভক্তদের বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রও বটে। এখানে আসা লোকেরা কেবল আধ্যাত্মিক শান্তিই অর্জন করে না, এই স্থানটি তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনও নিয়ে আসে।
No comments:
Post a Comment