নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১২ নভেম্বর: রাজ্যের ছয়টি আসনে বুধবার অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন, তার আগেই বাড়ি থেকে ডেকে তৃণমূল কর্মীকে নৃশংস খুন। ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার অন্তর্গত ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজরাতলা মাঠপাড়া এলাকায়। মৃতের নাম আনন্দ সরকার, বয়স ৪৪ বছর।
জানা গিয়েছে, আনন্দ সরকার তৃণমূলের সক্রিয় নেতা। সোমবার রাতে তাঁকে ফোন করে বাড়ির বাইরে আসতে বলা হয়। অভিযোগ, তিনি বাইরে এলে বাড়ির পাশে পুকুরের সামনেই তাঁকে মাথায় গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করে, ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন আনন্দ। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে বসিরহাট থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় বসিরহাট থানার পুলিশ দুই সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম ফারুক বিশ্বাস ও জাকির গাজী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি মোবাইল ফোনের কল লিস্ট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় কারা জড়িত, কী কারণে খুন, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোটা টাকার বিনিময়ে ধৃত দুজন সুপারি কিলার এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মৃতের স্ত্রী অষ্টমী সরকার জানান, প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি বিবাদ চলছে। রাস্তাঘাটে প্রায়ই হুমকি, এমনকি এর আগে মৃত তৃণমূল কর্মীর দাদা ভৈরব সরকার ও ভাই অশোক সরকারকে সীমান্তে ফেনসিডিল পাচারের অভিযোগে বিনা কারণে জেলও খাটিয়েছিল। এরপর জেল থেকে বেরোনোর পরে ফের আবার তাদের ওপরে আক্রমণ হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মৃতের বাবা কার্তিক সরকার অভিযুক্তদের শাস্তি ও ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন।
কিন্তু রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নৃশংসভাবে গুলি করে খুন, শুধুই কি জমি বিবাদ? না এর নেপথ্যে রয়েছে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য? তদন্ত করে দেখছে বসিরহাট থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে দলীয় নেতাদের কাছ থেকে।
No comments:
Post a Comment