নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৭ নভেম্বর: সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে,স্ত্রীকে বাড়িতেই সন্তান প্রসব করানোর সিদ্ধান্ত নেন স্বামী। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়াল, বাড়িতে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু হল গৃহবধূর। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার অন্তর্গত মালিপোতা এলাকার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে ননী দেবনাথ এর সাথে বিয়ে হয়েছিল বসিরহাটের সুমনা দেবনাথের। মাথায় টিকি, গলায় মালা ধার্মিক মানুষের বেশ ধরে থাকলেও স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ননী মাঝেমধ্যেই নানা কারণে স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করত।অভিযোগ, এর আগেও ৩-৪ বার স্ত্রীকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করানো হয়। তাঁদের আট বছরের একটি
কন্যা সন্তানও আছে।
ফের সন্তান সম্ভবা হয়েছিলেন গৃহবধূ সুমনা। শুক্রবার রাতেই প্রসব যন্ত্রণা ওঠে তার। কিন্তু হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে বাড়িতেই প্রসব করান স্বামী ননী দেবনাথ। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে বধূকে বনগাঁ হাসপাতালে আনা হয়। একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেও গৃহবধূকে বাঁচানো যায়নি। নবজাতক বর্তমানে এসএনসি ইউনিটে ভর্তি রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বাড়িতেই শিশু কন্যাকে জন্ম দিয়েছিলেন গৃহবধূ। প্রসব যন্ত্রণা হওয়ার পর রক্তক্ষরণ হয় বেশি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, মৃত্যু হল সুমনার। যদি হাসপাতালে প্রসব করানো হতো তাহলে হয়তো এভাবে মৃত্যু হতো না সুমনার, এমনই মনে করছেন সকলে। দেশ স্বাধীনতার হওয়ার এতটা বছর পরেও এমন ঘটনা বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এদিকে দিদির মৃত্যুর খবর পেয়েই বসিরহাট থেকে ছুটে আসেন তাঁর ভাই। স্থানীয়রাও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি করছেন বলেই খবর।
No comments:
Post a Comment