Thursday, June 5, 2025

২০১৫ এর পর আবার দেবের সঙ্গে ছবি তার, দর্শকদের উত্তেজনার প্রভাব কতটা!



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৫ জুলাই : আশা করা যায় দেব-শুভশ্রী জুটির শেষ ছবি হল 'ধূমকেতু'। নয় বছর আগে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল যে ছবি, অবশেষে আইনি জটিলতা কাটিয়ে প্রেক্ষাগৃহের আলো দেখতে চলেছে সেই ছবি। মাঝে দীর্ঘ সময় পেরলেও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত এই সিনেমা নিয়ে সিনেপ্রেমীদের উন্মাদনায় বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি! তাই তো, সম্প্রতি রিলিজের দিনক্ষণ ১৪ আগস্ট ঘোষণা হতেই উত্তেজনায় ফুটছেন বাংলার সিনেদর্শকরা। 'ধূমকেতু' নিয়ে উন্মাদনার পারদ কতটা চড়ল? দর্শক-অনুরাগীদের নাড়িস্পন্দন মেপে দেখতে ইচ্ছুক শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।


অতীতে 'অপুর সংসার' টক শোয়ে সঞ্চালক শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের 'গুগলি'র মুখে পড়ে শুভশ্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন ছবির মুক্তি নিয়ে। তবে অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে যখন সেই ছবি প্রেক্ষাগৃহের আলো দেখতে চলেছে, তখন 'ধূমকেতু'র মুক্তি ঘিরে একসময়কার 'সুপারস্টার জুটি'র অনুরাগীদের অ্যাড্রিনালিন রাশ তুঙ্গে! স্বাভাবিকভাবেই একাংশের কৌতূহল শুভশ্রীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, "দর্শক ভীষণ এক্সাইটেড, আর ওঁদের জন্যই আমি খুশি। সত্যি কথা বলতে কী, ছবিটা খুবই ভালো। কিন্তু আমি তো এখন অনেকটাই আপগ্রেডেড ভার্সন। আমার অভিনয় দেখে মানুষের কতটা ভালো লাগবে, সেটা নিয়ে নিশ্চিত নই।" তবে এবার 'ধূমকেতু' সুপারহিট করানোর দায়িত্ব দর্শকদের উপরই সঁপলেন অভিনেত্রী।


গৃহপ্রবেশ'-এর প্রচারে দেবের সঙ্গে আসন্ন সিনেমার রিলিজ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। প্রশ্নের উত্তরে শুভশ্রী বলেন, "এইমুহূর্তে আমি শুধু এটুকুই বলব যে, এত বছরের উন্মাদনা। সকলে মুখিয়ে ছিলেন 'ধূমকেতু' কবে আসবে বলে। অবশেষে সেই ছবি আসছে ১৪ আগস্ট। এবং এখন আমি সত্যিই দেখতে চাই যে, দর্শকদের এই উন্মাদনা কতটা বড় আকার ধারণ করতে পারে। এই ছবিটাকে দর্শকরা কত বড় করতে পারে, সেটা আমি দেখতে চাই। আমাদের যা করার আমরা করেছি। সিনেমা রিলিজের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছি। 'ধূমকেতু' রিলিজ করছে কি করছে না, সেই উত্তর আমরা দিয়ে দিয়েছি। এবার দর্শকদের পরীক্ষা এবং তাঁদের সেই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।" তাহলে ‘ধূমকেতু’র প্রিমিয়ারে কি দেব-শুভশ্রীকে আবার একসঙ্গে পাওয়া যাবে? সেই উত্তর সময়ের গর্ভেই লুকিয়ে!

"ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফের হতে পারে সংঘাত", সতর্ক করলেন প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ২২:২০:০১ : ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতে, চীন প্রকাশ্যে ইসলামাবাদকে সমর্থন করেছিল। যদিও চার দিনের উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচএস পানাগ সতর্ক করে দিয়েছেন যে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে ভারতকে আবার পাকিস্তানের সাথে সংঘর্ষের মুখোমুখি হতে হতে পারে এবং এবারও চীনের যোগসাজশে এটি করতে পারে। পানাগ একটি নিবন্ধে লিখেছেন যে এর কারণে, ভারতের প্রস্তুত থাকা উচিত এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং তার প্রতিরক্ষা বাজেট দ্বিগুণ করে জিডিপির চার শতাংশ করা উচিত।

'দ্য প্রিন্ট'-এ লেখা একটি নিবন্ধে জেনারেল পানাগ লিখেছেন, "চীন দীর্ঘদিন ধরে ভারতের প্রধান প্রতিপক্ষ, অন্যদিকে পাকিস্তান কেবল একটি সমস্যা সৃষ্টিকারী। চীনের জোরালো যোগসাজশে পুনরুজ্জীবিত পাকিস্তানের সাথে আরেকটি সংঘাতের সম্ভাবনা বেশি। আমি বিশ্বাস করি এতে কমপক্ষে ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর সময় লাগতে পারে। তবে, ভারত যদি পাকিস্তানকে আরও জোরদারভাবে পরাজিত করার এবং একই সাথে চীনকে অচল করে দেওয়ার জন্য সামরিক সক্ষমতা তৈরি করে, তাহলে সংঘাত রোধ করা হবে।"

পানাগ লিখেছেন, "পাকিস্তান এবং অচলাবস্থার মুখে থাকা চীনের উপর একটি অপ্রতিরোধ্য প্রযুক্তিগত সামরিক অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর রূপান্তর একটি অনিবার্য প্রয়োজন, তাও এমন একটি সংঘাতের জন্য যখন উভয় প্রতিপক্ষই জোটবদ্ধ এবং এই রূপান্তর ঘটতে হলে, আমাদের প্রথমে আমাদের প্রতিরক্ষা বাজেট দ্বিগুণ করে জিডিপির চার শতাংশ করতে হবে।" তিনি আরও লিখেছেন যে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি কাঠামোগত পদ্ধতি গ্রহণ করা দরকার। এটি এমন একটি সামরিক কৌশলের পথ প্রশস্ত করবে যা সংঘাতের সকল দিক মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।


গত মাসে একটি মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে পাকিস্তান ভারতকে একটি অস্তিত্বগত হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন সহ তার সামরিক আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্রাগার আধুনিকীকরণ করছে এবং তার পারমাণবিক উপাদান এবং পারমাণবিক কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণের নিরাপত্তা বজায় রাখছে।" প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে পাকিস্তান মূলত চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক উদারতার উপর নির্ভরশীল। এটি অর্জন করা হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রতি বছর চীনের পিএলএ-এর সাথে বেশ কয়েকটি যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করে, যার মধ্যে ২০২৪ সালের নভেম্বরে সম্পন্ন হওয়া একটি নতুন বিমান মহড়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রিয়্যালিটি শো বলতে এখন সবটাই স্ক্রিপ্টেড, রিয়্যালিটি শো নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য গায়িকা রূপরেখার




প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৫ জুলাই : একসময় রিয়ালিটি শো-এর জন্যই গানের দুনিয়ায় পরিচিতি পেয়েছেন আগরপাড়ার মেয়ে রূপরেখা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বইয়ের ‘ফেম গুরুকুল’ জয়ীও হন রূপরেখা। এরপর ‘রয়্যাল বেঙ্গল সুপারস্টার, ‘জো জিতা ওহি সুপার স্টার’ নামক একাধিক রিয়ালিটি শোতে যোগদান করেন গায়িকা।


এর মাঝে বাংলা ও ভোজপুরি, গুজরাতি গানের রেকর্ড করেন তিনি। টি-সিরিজ থেকে রূপরেখার কণ্ঠে নতুন হিন্দি গান ‘তুম’ রিলিজ করে। সম্প্রতি রিয়েলিটি শো নিয়ে মুখ খুললেন গায়িকা।



রূপরেখা বলেন, ‘তখন আমাদের কিছুই স্ক্রিপ্টেড থাকত না। আর এখন তো সবটাই স্ক্রিপ্টেড। তখন একটা বেসিক প্ল্যান থাকত। সেভাবে এগোতাম। প্ল্যান তো একটা থাকবেই। না হলে এগোব কীভাবে। কিন্তু বিচারটা নিপাট ছিল। শুধু ভোট নয়। এখন তো ভোটের উপরেই বেশি নির্ভর করে বিচার বিবেচনা।’


এমনকি বিচারকদের নিয়েও নিজের মতামন জানান রুপরেখা। গায়িকা বলেন, ‘কেকে, জাভেদ আখতার জি, শঙ্কর মহাদেবন জি সকলেই আমাকে স্নেহ করতেন। তখন বিচারকরা আমাদের থেকে অনেকটা দূরে বসতেন। কারওর গান খুব ভালো হলে স্টেজে আসতেন। এখনকার মতো অহরহ প্রতিযোগীর সামনে চলে আসতেন না বা কারওকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলতেন না।’


গানে এ আই-এর ব্যবহার প্রসঙ্গে রূপরেখা বলেন, ‘অনেক কারুকাজ এআই করে। কিন্তু সেই ফিলিংস আনার ক্ষমতা তার নেই।’

ক্যান্সার যুদ্ধে জয়ী হয়ে আবারও কাজে ফিরছেন অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৫ জুলাই : প্রায় দেড় বছর আগে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী। মারণ রোগ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। ফলে ধারাবাহিক থেকে সরে আসতে হয়েছিল তাকে।


অনেকদিন ধরে চিকিৎসায় শারীরিক দুর্বলতা, কেমোথেরাপির যন্ত্রণা সবটাই হাসিমুখে সহ্য করেন মিঠু। তার এই কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন স্বামী সব্যসাচী চক্রবর্তী। তবে এবার ক্যান্সার যুদ্ধে জয়ী হয়ে আবারও পর্দায় ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী। বহুদিন পর অভিনেত্রী একা নন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন সব্যসাচীও। চিকিৎসা এখনও চললেও আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ মিঠু।



জানা যাচ্ছে কোন সিনেমা বা ধারাবাহিক নয়, একটি বিশেষ বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে চলেছেন মিঠু এবং সব্যসাচী। ইতিমধ্যেই শ্যুটিংয়ের কিছু অংশ সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি সম্প্রচারের তারিখ বা বিজ্ঞাপনটি কীসের তা এখনও জানা না গেলেও খুব শীঘ্রই টিভির পর্দায় দেখা যাবে টা জানা গেছে সংস্থার তরফ থেকে।

আট মাস ধরে হাতে কোনও কাজ নেই তার, পর্দা থেকে হঠাৎ হারিয়ে গেলেন অভিনেত্রী তনিমা সেন



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৫ জুলাই : বাংলা ইন্ডাস্ট্রি থেকে হঠাৎ হারিয়ে গেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনিমা সেন। পর্দায় কখনও আদর্শ মা, কখনও কড়া শাশুড়ি হিসাবে দর্শকের মনে আজও গেঁথে আছেন তিনি। তবে তার হাস্যরসাত্মক চরিত্র বেশিরভাগ মানুষ ভালোবাসতেন।


দীর্ঘদিন টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও আজ অভিনেত্রী কাজহীন। বেশকিছুদিন আগেও স্টার জলসায় ‘উড়ান’ ও ‘তেঁতুলপাতা’ সিরিয়ালে নিয়মিত দেখা যেত অভিনেত্রীকে। প্রায় সাত-আট মাস হয়ে গেল, হাতে কোনও কাজ নেই।




অভিনেত্রীর কথায়, ‘হয়তো আমার স্পষ্ট কথা বলার অভ্যাসটাই কাল হল, আজও দর্শক আমাকে ভালোবাসেন। অনেকেই জানতে চান কেন আর দেখা যাচ্ছে না পর্দায়। প্রায় সাত-আট মাস হয়ে গেল, কোনও কাজ নেই। সত্যিই জানি না, কেন এমন ঘটল।’


অভিনয় থেকে বিরত থাকায় শুধু মানসিক নয়, শারীরিক ভাবেও দুর্বল তনিমা। অভিনেত্রীর কথায়, মুম্বই থেকেও বহুবার ডাকও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু বয়স ও মানসিকতা এই দুই কারণেই এত দূরে গিয়ে কাজ করতে পারেননি তিনি।


তবে থেমে থাকা তার অভিধানে নেই। তাই ইউটিউব চ্যানেলে অঙ্কনশিল্পীদের নিয়ে কিছু কাজের পরিকল্পনা করছেন। তনিমার কথায়, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমার এখনও বাজারে দাম আছে, তাই অনেকেই আমায় পাত্তা না দিয়ে থাকতে পারেন না। এটাও তো বড় কথা, তাই না?’ জীবনে যতই ঝড় আসুক না কেন, হাসিমুখেই সবটা সামলানোয় বিশ্বাসী অভিনেত্রী।

প্রেমে আঘাত পেলে দেখান থেকে সরে আসা উচিত, প্রেমের অভিজ্ঞতা নিয়ে কি বললেন ফুলকি



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৫ জুলাই : অভিনেত্রী দিব্যানী মণ্ডলের পরিচয় নতুন করে দর্শকদের কাছে না দিলেও চলে। এই মুহূর্তে অভিনেত্রীকে সকলে ফুলকি নামেই বেশি চেনেন। কেরিয়ারের প্রথম সিরিয়াল হলেও দিব্যানী ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে ফেলেছেন। পর্দায় ফুলকি ও রোহিতের কেমিস্ট্রি ইতিমধ্যেই দারুণভাবে হিট।


অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও দর্শকের বেশ কৌতূহল দেখা যায়। একটা সময় টলিপাড়ায় গুঞ্জন উঠেছিল অভিনেতা ঋষভ চক্রবর্তী সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে সকলের প্রিয় ফুলকির। তবে টা যে একেবারে সত্য নয় টা নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং দিব্যানী।



দিব্যানী স্পষ্ট জানান, ‘আমি একেবারেই সিঙ্গেল। আমার জীবনে এখন কোন প্রেম নেই। তবে আমি মনে করি প্রেম ততক্ষণই সুন্দর যতক্ষণ সেটা ভালো লাগছে, ভালো অনুভূতি দিচ্ছে। যতক্ষণ জিনিসটা তোমার ভালো লাগছে ততক্ষণ চালিয়ে যাও। কিন্তু যখনই মেন্টালি সেটা এফেক্ট করবে বা তুমি যখন কাঁদবে তখন জিনিসটা একেবারেই ভালো নয়। এই বয়সটা কাজে মন দেওয়ার বয়স জীবন গড়ে তোলার বয়স।’

অনুমতি ছাড়াই জয়ের মিছিল! আরসিবির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ১৮:২৮:০১ : চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর পুলিশ এই ব্যবস্থা নিয়েছে। আরসিবি, ডিএনএ (ইভেন্ট ম্যানেজার), কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে কাবন পার্ক থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় অপরাধমূলক অবহেলার কথা বলা হয়েছে। এফআইআরে ১০৫, ১২৫ (১) (২), ১৩২, ১২১/১, ১৯০ আর/ডব্লিউ ৩ (৫) ধারা আরোপ করা হয়েছে।

৩ জুন আরসিবি তাদের প্রথম আইপিএল শিরোপা জিতেছিল, যার পরে দলের বিজয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৪ জুন সকাল থেকেই রাস্তায় ভিড় জমে উঠতে শুরু করে। ভিড় দেখে পুলিশ বিজয় কুচকাওয়াজের অনুমতি দেয়নি এবং এটি বাতিল করা হয়। পুলিশ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উদযাপন স্থগিত করারও অনুরোধ করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন যে, ভক্তদের মধ্যে এখনই প্রচুর উৎসাহ রয়েছে, কারণ দলটি মাত্র একদিন আগে ট্রফি জিতেছে।

পুলিশ চেয়েছিল আরসিবি রবিবার এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করুক, কিন্তু আরসিবি যুক্তি দিয়েছিল যে তাদের বিদেশী খেলোয়াড়রা তাদের দেশে ফিরে আসবে, তাই তারা ৪ জুন এই অনুষ্ঠানটি করতে চায়। বেঙ্গালুরু নগরের ডেপুটি কমিশনার জি জগদীশ আগেই বলেছিলেন যে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার তদন্তে যোগদানের জন্য কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ), রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দকে নোটিশ জারি করা হবে।

বুধবার যেখানে পদপিষ্ট হয়েছিল সেখানে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করা হয়েছিল। বুধবার (৪ জুন, ২০২৫) বেঙ্গালুরুতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের কাছে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জন মারা যান এবং ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) এই পদপিষ্ট হওয়ার বিষয়টি আমলে নিয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং পুলিশকে নোটিশ পাঠিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে।

এনএইচআরসি জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে এবং আশ্চর্যজনকভাবে, ট্র্যাজেডিটি ঘটে যাওয়া এবং স্টেডিয়ামের বাইরে মৃতদেহ পড়ে থাকা সত্ত্বেও, স্টেডিয়ামের ভিতরে উৎসব এবং উদযাপন অব্যাহত ছিল।

জামিন পেলেন ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলি, তবে জমা দিতে হবে পাসপোর্ট



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ১৮:২০:০১ : সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলিকে কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে যে শর্মিষ্ঠা পানোলিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কোনও প্রয়োজন নেই কারণ তার দেশ ছেড়ে পালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।

আরও বলা হয়েছে যে শর্মিষ্ঠাকে তদন্তের জন্য ১০,০০০ টাকা জামিন এবং পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে শর্মিষ্ঠা এই সময়ের মধ্যে দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট এখন শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে। একই সময়ে, এর আগে ৩ জুন, ইনফ্লুয়েন্সারের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছিল।


মেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়ার পর, শর্মিষ্ঠার বাবা পৃথ্বীরাজ পানোলির বক্তব্য সামনে এসেছে। বাবা মেয়ে সম্পর্কে বলেছেন যে সে খুব বুদ্ধিমতী মেয়ে এবং আমি তাকে তার ভবিষ্যৎ নিজেই নির্ধারণ করতে দেব। সে তার ভুল সম্পর্কে সচেতন এবং আমি আশা করি সে তার ভুল থেকে শিক্ষা নেবে।

পুনের ২২ বছর বয়সী আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে অপারেশন সিন্দুরের উপর একটি ভিডিও তৈরির জন্য কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে তার একটি ভিডিওতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে শর্মিষ্ঠাকে গুরুগ্রামে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওকে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে, পানোলি ভিডিওটি মুছে ফেলেন এবং ১৫ মে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।

পানোলি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে তিনি অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে বলিউড অভিনেতাদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই ভিডিওতে, তিনি সাম্প্রদায়িক মন্তব্যও করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর কারণে, ৩০ মে রাতে প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গ্রেপ্তারের পর, পুলিশ তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে যায় এবং শনিবার আদালতে হাজির করা হয়। যেখানে তার জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়। তবে, এখন তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে বিদ্বেষপূর্ণ কাজ, ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান এবং শান্তি ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে উস্কানি দেওয়ার মতো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এখন ভারতেই তৈরী হবে রাফালে যুদ্ধবিমানের বডি, ডাসাল্ট এবং টাটার মধ্যে চুক্তি



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ১৮:০০:০১ : আগামী বছরগুলিতে ভারত তার বিমান শক্তি আরও শক্তিশালী করতে চলেছে। রাফালে যুদ্ধবিমান তৈরিকারী কোম্পানি ডাসল্ট এভিয়েশন এবং টাটা গ্রুপের মধ্যে একটি বড় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ডাসল্ট এভিয়েশন এখন টাটা গ্রুপের সহযোগিতায় ভারতে রাফালে যুদ্ধবিমানের বডি তৈরি করবে। এটিই প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে যুদ্ধবিমানের বডি তৈরি করা হবে।

রাফালের ফিউজেলেজ (ফাইটার জেটের কাঠামো বা মূল বডি) এখন ভারতে তৈরি করা হবে। টাটা গ্রুপ এবং ডাসল্ট এভিয়েশনের মধ্যে চারটি উৎপাদন স্থানান্তর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি দেশের মহাকাশ উৎপাদন ক্ষমতা এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হবে।

ডাসল্টের সাথে চুক্তির আওতায়, টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস হায়দ্রাবাদে সর্বশেষ প্রযুক্তিতে সজ্জিত একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। রাফালের প্রধান কাঠামোগত অংশগুলি এই টাটা প্ল্যান্টে তৈরি করা হবে। এখানে রাফালের পিছনের ফিউজেলেজ, কেন্দ্রীয় ফিউজেলেজ, সম্পূর্ণ পিছনের অংশ এবং সামনের অংশের পার্শ্বীয় খোলস তৈরি করা হবে। সূত্রমতে, ২০২৮ সালের মধ্যে এই উৎপাদন কেন্দ্র থেকে রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম কাঠামো প্রস্তুত করা হবে।

ডাসল্ট এভিয়েশনের এরিক ট্র্যাপিয়ার বলেন, "ভারতে আমাদের সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ একটি নির্ধারক পদক্ষেপ। ভারতীয় মহাকাশ শিল্প সহ আমাদের স্থানীয় অংশীদারদের সম্প্রসারণের জন্য ধন্যবাদ। এই সরবরাহ শৃঙ্খল রাফালের সফল র‍্যাম্প-আপে অবদান রাখবে। এটি ভারতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং স্থানীয় প্রকৌশলীরা বিশ্বমানের প্রযুক্তি শেখার সুযোগ পাবেন।"

টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী আধিকারিক সুকরণ সিং বলেন, "এই চুক্তি ভারতের মহাকাশ খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই চুক্তি দেখায় যে ভারতের প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মগুলিকে সমর্থন করতে পারে।" টাটা গ্রুপ এবং ডাসল্ট ইতিমধ্যেই রাফাল এবং মিরাজ ২০০০ এর মতো বিমানের যন্ত্রাংশ তৈরিতে একসাথে কাজ করছে।

জগদ্ধাত্রীকে হারিয়ে এবার বাজিমাত করল পরশুরাম ও রাঙামতি, জায়গা পেল না ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৫ জুলাই : প্রকাশ পেল বাংলা ধারাবাহিকের টিআরপির তালিকা। জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিককে হারিয়ে বাংলার প্রথম স্থানে উঠে এলো দুই মেগা পরশুরাম এবং রাঙামতি তীরন্দাজ। দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেল জগদ্ধাত্রী। ভালো ফল করেছে স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকটি।


অন্যদিকে এত ভালো গল্প হওয়া সত্ত্বেও প্রথম পাঁচে জায়গা পেল না দিতিপ্রিয়া আর জিতুর অসমবয়সী প্রেমের গল্প ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ তবে নম্বর বেড়েছে এই মেগার। পঞ্চম স্থান থেকে নবম স্থানে নেমে গেল এই মেগা। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় নম্বর বেড়েছে।



গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিক জায়গা করে নিল ষষ্ঠ স্থানে। সবমিলিয়ে জি-কে হারিয়ে বাজিমাত জলসার।


চলতি সপ্তাহে ৭.৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল ক্রল পরশুরাম এবং রাঙামতি, ৬.৯ রেটিং পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিক। ৬.৮ নম্বর নিয়ে তৃতীয় স্থানে পরিণীতা এবং ৬.৫ নম্বরে চতুর্থ স্থানে ফুলকি। পঞ্চম স্থানে রয়েছে চিরসখা, তার প্রাপ্ত নম্বর ৬.৪।


প্রথম – পরশুরাম এবং রাঙামতি (৭.৫)


দ্বিতীয় – জগদ্ধাত্রী (৬.৯)


তৃতীয় – পরিণীতা (৬.৮)


চতুর্থ – ফুলকি (৬.৫)


পঞ্চম – চিরসখা (৬.৪)


ষষ্ঠ – গৃহ প্রবেশ (৬.০)


সপ্তম – কথা (৫.৮)


অষ্টম – কোন গোপনে মন ভেসেছে (৫.৪)


নবম – চিরদিনই তুমি যে আমার (৫.২)


দশম – অনুরাগের ছোঁয়া ও রোশনাই (৪.৯)

জার্মানিতে চুপিসারে বিয়ে করে নিলেন মহুয়া মৈত্র, গাঁটছড়া বাঁধলেন ওড়িশার নেতার সঙ্গে



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ১৪:৫৯:০১ : তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) সাংসদ মহুয়া মৈত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি বিজু জনতা দল (বিজেডি) নেতা পিনাকী মিশ্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। রাজনীতি জগতের এই দুই তারকা জার্মানিতে বিয়ে। জানা গেছে যে, দুবারের লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৩০ মে বিয়ে করেছেন। মহুয়ার স্বামী পিনাকী মিশ্র ওড়িশার পুরী থেকে সাংসদ ছিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির সম্বিত পাত্রের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।


এটি সবচেয়ে স্পষ্টবাদী সাংসদদের একজন মহুয়া মৈত্রের দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি ডেনিশ অর্থমন্ত্রী লার্স ব্রোসেনকে বিয়ে করেছিলেন, যাকে তিনি তালাক দিয়েছিলেন। মহুয়া মৈত্র তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে দ্বিতীয়বার লোকসভায় পৌঁছেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন।

সাংসদ হওয়ার আগে, মহুয়া একজন বিধায়ক ছিলেন। তিনি ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত করিমপুরের প্রতিনিধিত্বকারী পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মহুয়া মৈত্রের জন্ম ১৯৭৪ সালের ১২ অক্টোবর আসামে। সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবেও পরিচিত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস থেকেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি ১৯৯৮ সালে ম্যাসাচুসেটসের মাউন্ট হলিওক কলেজ সাউথ হ্যাডলি থেকে অর্থনীতি এবং গণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনীতিতে যোগদানের আগে তিনি একজন ব্যাংকার ছিলেন। ২০০৯ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের জন্য তিনি লন্ডনের জেপি মরগান চেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেন।

চায়ের কাপ থেকে শুরু করে জলের বোতল, শরীর বিষাক্ত করছে প্লাস্টিকের এই জিনিসপত্র! জেনে নিন কীভাবে বাড়ছে ক্যান্সার


বিনোদন ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫: প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। মানুষ যেভাবে প্রকৃতির সাথে খেলা খেলছে তার ফল আমাদের এবং আগামী অনেক প্রজন্মকে বহন করতে হবে, এ নিয়ে কোনও। এই বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ এর প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে 'প্লাস্টিক দূষণকে পরাজিত করা'। মাইক্রোপ্লাস্টিক নামক খুব ছোট প্লাস্টিকের কণা কেবল পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে না বরং শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরেও প্রবেশ করছে। এই প্লাস্টিকের কণাগুলি ফুসফুস, মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য অংশে জমা হচ্ছে এবং গুরুতর রোগের ঝুঁকি তৈরি করছে। শুধু তাই নয়, রান্নাঘরে প্লাস্টিকের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।


রান্নাঘরে বিপজ্জনক প্লাস্টিক

আপনার রান্নাঘরের দিকে একবার দেখুন। মশলার বাক্স থেকে শুরু করে মসুর ডালের বাক্স, জলের বোতল থেকে শুরু করে শিশুদের টিফিন পর্যন্ত, আপনি অনেক প্লাস্টিকের জিনিস পাবেন। আপনি কোনও দ্বিধা ছাড়াই সহজেই এই জিনিসগুলি ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয়, কিছু মানুষ দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার এবং নিক্ষেপের জিনিসপত্র এবং নিষ্পত্তিযোগ্য জিনিসপত্র ব্যবহার করে।


শুধু প্লাস্টিক নয়, কাগজের চায়ের কাপও বিপজ্জনক

চায়ের দোকানে প্লাস্টিক বা কাগজের কাপে যে চা পান করেন তাতেও মাইক্রো প্লাস্টিক কণা থাকে। কাগজের কাপের ওপর প্লাস্টিকের একটি সূক্ষ্ম স্তর আটকে থাকে যা গরম চা ঢাঋলে চায়ের সাথে সাথে মিশে পেটে চলে যায়। অতএব, আপনি যদি কাগজ বা প্লাস্টিকের কাপও ব্যবহার করেন, তাহলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে।


প্লাস্টিকের কারণে সৃষ্ট রোগ

হাওয়ায় উপস্থিত মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই ছোট কণাগুলি ফুসফুসে জমা হতে পারে, যার ফলে প্রদাহ, জ্বালা, হাঁপানি এবং দীর্ঘমেয়াদী ফুসফুসের রোগ হতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, রক্তপ্রবাহে উপস্থিত মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করতে পারে, যা ধমনীগুলিকে শক্ত করে। এমন পরিস্থিতিতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ন্যানো প্লাস্টিক কণা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহকে প্রভাবিত করে। অনেক মাইক্রোপ্লাস্টিকে বিপিএ বা ফ্যাথালেটস (phthalates)- এর মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে বা আকর্ষণ করে, যা হরমোনের অনুকরণ করতে পারে এবং এন্ডোক্রাইন সিস্টেমকে ব্যাহত করতে পারে। এটি প্রসব এবং শিশুদের বিকাশকে প্রভাবিত করে। মাইক্রোপ্লাস্টিকের সংস্পর্শে আসার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হতে শুরু করে।


প্লাস্টিক থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি

প্লাস্টিকের কারণে দুটি রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে; একটি হল হাঁপানি এবং অন্যটি হল ফুসফুসের ক্যান্সার। প্লাস্টিকে পাওয়া বিষাক্ত পদার্থের কারণে মানুষ হাঁপানির শিকার হচ্ছেন, যা শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করে। এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। প্লাস্টিক পোড়ানো হলে তা থেকে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসে, এই গ্যাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে।

"ভারত কখনও ট্রাম্পকে মধ্যস্থতার জন্য অনুরোধ করেনি" রাহুলের আত্মসমর্পণের বক্তব্যের মাঝেই বললেন থারুর



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ১১:৫০:০১ : পহেলগাম হামলার পর, অপারেশন সিন্দুরের অধীনে, ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি সন্ত্রাসী আস্তানায় বিমান হামলা চালায়। এর পর পাকিস্তান প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু ভারত তীব্র প্রতিশোধ নেয়। এই হামলায় পাকিস্তানের অনেক বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যায়। এর পর, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এর ঠিক আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি দাবী করেছিলেন এবং এর কৃতিত্ব নিজেই নিয়েছিলেন। অপারেশন সিন্দুরের পর, ভারত সরকার সাতজন সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। শশী থারুরও একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার প্রতিনিধিদল বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছে, যেখানে তিনি ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ভারত-পাক মধ্যস্থতার ট্রাম্পের দাবী প্রত্যাখ্যান করে, শশী থারুর বলেছেন যে "আমরা কখনও কারও কাছে মধ্যস্থতা চাইনি" থারুর স্পষ্টভাবে বলেছেন যে ভারত কখনও নিজের এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ নিরসনের জন্য কারও কাছে মধ্যস্থতা চায়নি। তিনি আরও বলেন যে ১০ মে, পাকিস্তান ভারতকে তাদের সামরিক অভিযান বন্ধ করার অনুরোধ করেছিল, কারণ তারা ভারতীয় আক্রমণ থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করেছে।

শশী থারুর বলেন, "মার্কিন রাষ্ট্রপতি এবং রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আমাদের পরম শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু যতদূর আমরা উদ্বিগ্ন, আমরা কখনও কারও কাছ থেকে মধ্যস্থতা আশা করিনি।"

এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণের অভিযোগ করছেন। তিনি এমনকি নরেন্দ্র মোদীকে আত্মসমর্পণ করুন বলেও অভিহিত করেছেন।

পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘাঁটির বিরুদ্ধে ভারত কর্তৃক শুরু করা 'অপারেশন সিন্দুর' সম্পর্কে বলতে গিয়ে থারুর বলেন, "গত রাতে, যাকে গত রাতে বিবেচনা করা হয়েছিল, সেই সংঘর্ষের রাতে ভারত কার্যকরভাবে পাকিস্তানের ১১টি সামরিক বিমান ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছিল।" তিনি আরও বলেন, "উপলব্ধ পাবলিক স্যাটেলাইট চিত্র থেকে স্পষ্ট যে রানওয়েতে গর্ত রয়েছে, কমান্ড সেন্টারগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। অর্থাৎ, ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।"

থারুর একটি গোপন পাকিস্তানি ডসিয়ারের কথাও উল্লেখ করেছেন যা পরে প্রকাশ করা হয়েছিল। এতে, পাকিস্তান নিজেই স্বীকার করেছে যে ভারতীয় আক্রমণগুলি এতটাই ব্যাপক ছিল যে তারা দক্ষিণে হায়দ্রাবাদ থেকে উত্তর-পশ্চিমে পেশোয়ার পর্যন্ত অঞ্চলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। "পাকিস্তান ভারতের উপর যে ক্ষতি করেছে বলে দাবী করেছে তা এতটা উল্লেখযোগ্য ছিল না যে ভারতকে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত রাখা যেত। তাই তারা নিজেরাই ভারতের কাছে অভিযান বন্ধ করার আবেদন করেছিল এবং আমরা আনন্দের সাথে তাতে রাজি হয়েছিলাম," থারুর বলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে থারুর বলেন, "আমি মনে করি আমেরিকা এখন খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে যে ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। যদি কেউ আমাদের মন্দিরের দিকে বন্দুক তাক করে, তাহলে আমরা কথা বলব না। এমন নয় যে আমরা পাকিস্তানের সাথে কথা বলতে পারি না। তারা যে সমস্ত ভাষায় কথা বলে আমরা তা জানি। আমরা আনন্দের সাথে তাদের সাথে সেই ভাষায় যোগাযোগ করতে পারি।" থারুর আরও স্পষ্ট করে বলেন যে, "পাকিস্তান যদি তার মাটিতে সক্রিয় সন্ত্রাসী উপাদানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ না করে, তাহলে ভারত আবার সামরিক পদক্ষেপ নেবে এবং জবাব দেবে।"

বিন্দু-বিন্দু জলের জন্য আকুল পাকিস্তান! ভারতে সঙ্গে কথোপকথনে ইচ্ছুক, বললেন বিদেশমন্ত্রী


ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের পর সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দুই দেশের সম্পর্ক এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। একই সাথে সিন্ধু জল চুক্তির অবসানের পর পাকিস্তান জলের জন্য আকুল। এই আবহে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার বলেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে আবার সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এর পাশাপাশি, তিনি জল সহ অনেক বিষয়ে ভারতের সাথে বৃহৎ পরিসরে আলোচনার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।


ইশাক দার বলেছেন যে, তিনি ভারতের সাথে ব্যাপক কথোপকথন চান, যার মধ্যে জল সহ অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু ভারত কেবল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বলতে চায়। এভাবে হয় না। ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে দার বলেন যে, তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু ব্যাকুল নন।


ইশাক দারকে আবারও দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে, এর সম্ভাবনা খুবই কম। দার বলেন, 'যুদ্ধবিরতি হয়েছে। উভয় দেশের সৈন্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আবার সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।' তিনি বলেন, 'যুদ্ধবিরতি বহাল রয়েছে।' তবে, সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনা সরাসরি উড়িয়ে দেওয়ার পরিবর্তে, তিনি বলেন যে, তিনি ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবেন না।


প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে চার সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিরস্ত্র ও নিরীহ পর্যটকদের নির্মম ভাবে খুন করে। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। হামলাকারীরা পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। এর পর ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত সহ অনেক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পাকিস্তানি নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয় এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলিকে নিশানা করা হয়। এর পর উভয় দেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। প্রায় চার দিন ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল। এর পর পাকিস্তানি ডিজিএমও ভারতীয় ডিজিএমওর সাথে কথা বলে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

বিজেপিতে যোগ দেবেন নাকি কংগ্রেসেই থাকবেন থারুর? আমেরিকা থেকে দিলেন উত্তর



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ১০:৩০:০১ : কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক জল্পনা চলছে, যিনি পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে অন্যান্য দেশ সফরে ব্যস্ত। তবে, এখন তিনি এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। কংগ্রেস নেতাদের সমালোচনারও মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন যে, যদি কেউ মনে করেন যে দেশের স্বার্থে কথা বলা দলবিরোধী, তাহলে তাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করা উচিত।

যখন থারুরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি কংগ্রেসে থাকবেন নাকি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন? তখন অনেক জল্পনা চলছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ৪ বছর মেয়াদ বাকি আছে। আমি বুঝতে পারছি না কেন এই ধরনের প্রশ্ন করা হচ্ছে।'

প্রতিনিধিদলের আমেরিকা সফরের সমালোচনা নিয়েও থারুরের বক্তব্য ছিল। তিনি বলেন, 'সত্যি বলতে, আমি মনে করি যে যখন কেউ দেশের সেবা করে, তখন আমার মনে হয় না যে কারও এই বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তা করার দরকার আছে। আমি আমার বন্ধু সালমান খুরশিদকে প্রশ্ন করতে দেখেছি যে আজকাল আমাদের দেশে দেশপ্রেমিক হওয়া কি এত কঠিন?'

তিনি আরও বলেন, 'আর যারা মনে করেন যে জাতীয় স্বার্থে কাজ করা এক ধরণের দলবিরোধী কার্যকলাপ, তাদের আমাদের প্রশ্ন করার পরিবর্তে নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত। সত্যি কথা বলতে, আমি মনে করি এই মুহূর্তে আমাদের আমাদের লক্ষ্যের উপর মনোযোগ দিতে হবে এবং আমরা কোথায় কী হচ্ছে এবং কী হচ্ছে না তা নিয়ে খুব বেশি সময় ব্যয় করি না। কারণ এই বিষয়টিতে মনোযোগ দেওয়া আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।'

‘চীন থেকে সস্তা জিনিসপত্র কেনা লোকেরা', বিলাওয়াল ভুট্টোকে নিশানা তেজস্বী সূর্যর



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৫০:০১ : পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো আবারও প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। ভারতের মতোই, পাকিস্তানও পাঁচটি দেশে তাদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। নিউ ইয়র্কে ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেও, বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য তাকে তীব্র জবাব দিয়েছেন। তিনি পাকিস্তানকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে চীন থেকে সস্তায় পণ্য কেনার ফল পাকিস্তানকে ভোগ করতে হয়েছে, কারণ চীন থেকে প্রাপ্ত তাদের অস্ত্র ভারতের সামনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

তেজস্বী সূর্য বলেছেন, "ভুট্টো তার প্রতিনিধিদলকে 'শান্তি প্রতিনিধিদল' বলে ডাকছেন, যা একটি বড় বিড়ম্বনা কারণ পাকিস্তানের প্রতিনিধিদল শান্তির কথা বলছে। এটি ধর্মগ্রন্থের কথা বলার মতো শয়তান। ব্যর্থ জেনারেলদের ফিল্ড মার্শাল বানিয়ে মিথ্যা নায়ক বানানোর চেষ্টা করা দেশটির প্রকৃত নেতারা কেমন তা বোঝা উচিত।"

বিলাওয়াল ভুট্টো এবং পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে তেজস্বী সূর্য বলেছেন, "পাকিস্তান চীন থেকে সস্তায় পণ্য কিনে, যার মধ্যে তাদের অস্ত্রও রয়েছে, কিন্তু এই অস্ত্রগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সম্ভবত সে কারণেই পাকিস্তান বুঝতে পারে না যে গণতান্ত্রিক দেশগুলি কতটা শক্তিশালী এবং প্রকৃত নেতৃত্ব কী।"

তেজস্বী আরও বলেন যে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেরই পাকিস্তানের প্রতি কোনও সহানুভূতি নেই। আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতের প্রতিনিধিদল ভালো সাড়া পাচ্ছে।

বিলাওয়াল ভুট্টো বর্তমানে নিউইয়র্কে আছেন এবং 'অপারেশন সিন্দুর'-এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিশ্বের কাছে তার পক্ষ তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। এই সময় তিনি বলেন, "মোদী নেতানিয়াহুর তেমু সংস্করণের মতো। একটি অনুলিপির মতো, আমরা ভারত সরকারকে সবচেয়ে খারাপ উদাহরণ দ্বারা অনুপ্রাণিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।"

রহস্যময় শিবলিঙ্গ! নিষিদ্ধ জল নিবেদন, জানুন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৩০:০১ : উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ কেবল যোগ এবং ধ্যানের কেন্দ্র নয়, এখানকার প্রতিটি ঘাট, প্রতিটি মন্দির নিজস্ব অনন্য গল্প এবং বিশ্বাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লক্ষ্মণ ঝুলার কাছে এমনই একটি বিশেষ মন্দির। অখিলেশ্বর মহাদেব মন্দির এমন একটি স্থান যেখানে ভগবান শিবের পূজা ভিন্নভাবে করা হয়। এই মন্দিরে স্থাপিত শিবলিঙ্গে জল নিবেদন নিষিদ্ধ। এর পিছনে কেবল ধর্মীয় নয়, বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। এই কারণেই এই মন্দির ভক্তদের মধ্যে বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্র।


এই মন্দিরের পুরোহিত জিতেন্দ্র কুমার বলেন যে এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ পারদ দিয়ে তৈরি। সংস্কৃতে বুধকে পারদ বলা হয় এবং ধাতু শাস্ত্রে এটি অত্যন্ত পবিত্র এবং উদ্যমী বলে মনে করা হয়। পারদ শিবলিঙ্গ শুধুমাত্র বিশেষ প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি শিবের নির্গুণ রূপের প্রতীক। পারদ শিবলিঙ্গে জল বা অন্য কোনও তরল নিবেদন করা উচিত নয় কারণ জলের সংস্পর্শে এলে এটি রাসায়নিকভাবে বিক্রিয়া করতে পারে। এটি কেবল শিবলিঙ্গের ক্ষতি করতে পারে না বরং আশেপাশের পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।

এই কারণে, এই মন্দিরে শিবলিঙ্গে কেবল ফুল, বেলপত্র, ধতুরা ইত্যাদি নিবেদন করা হয়। ভক্তরা পূর্ণ ভক্তির সাথে শিবলিঙ্গের সামনে মাথা নত করে শান্তি অনুভব করেন। এই ঐতিহ্য প্রতীকী যে পূজা কেবল আচার-অনুষ্ঠান দ্বারা নয়, আবেগ এবং বিশ্বাস দ্বারা সম্পন্ন হয়। এখানে জলের পরিবর্তে প্রেম এবং নিষ্ঠা নিবেদন করা হয়। একটি প্রাচীন বিশ্বাস রয়েছে যে এই শিবলিঙ্গটি তান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল শিবের নির্গুণ রূপের পূজা করা।

আফগানিস্তান-ইরান সহ ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ! সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮:৫৫:০১ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আফগানিস্তান ও ইরান সহ মোট ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। ট্রাম্প সম্প্রতি একটি ইশতেহারে স্বাক্ষর করেছেন। এর অধীনে, সন্ত্রাসবাদ সহ অন্যান্য হুমকির কথা বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প সরকার বিশ্বাস করে যে আমেরিকার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্প সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, নিরক্ষীয় গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর সাথে, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের প্রবেশ আংশিকভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞার পরিধি নির্ধারণে তিনি পররাষ্ট্র নীতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবিরোধী লক্ষ্যের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বলেছেন যে অন্যান্য দেশ থেকে আসা লোকেরা ভিসার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও আমেরিকায় অবৈধভাবে অবস্থান করে। এখন এটিও যত্ন নেওয়া হবে। আমেরিকার এই ঘোষণা ৯ জুন থেকে কার্যকর করা হবে।

ট্রাম্প ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত বড় সিদ্ধান্ত এই প্রথম নয়। তিনি এর আগেও এমনটি করেছেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্প তার শাসনামলে কিছু মুসলিম দেশের উপর একই রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ২০১৭ সালে হাজার হাজার পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য মানুষকে সমস্যায় ফেলেছিল। সেই সময় অনেক লোককে তাদের ভ্রমণ শেষ না করেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যারা অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল তাদেরও প্রশাসন বেরিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে।

মানুষের মাংস খায় এই ফল!




প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:৩০:০১ : ফল আমাদের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাদ ছাড়াও, এগুলি পুষ্টির একটি দুর্দান্ত উৎস। আম, কলা, আপেল, কমলা এবং আরও অনেক রঙিন ফল। সকলেরই আলাদা স্বাদ এবং আলাদা গুণ রয়েছে। কিন্তু এই ফলের মধ্যে একটি অদ্ভুত ফল রয়েছে যা শুনে আপনি অবাক হবেন। এই ফলটি ভারতে খুবই জনপ্রিয় এবং আপনি অবশ্যই এর মিষ্টি এবং টক স্বাদের স্বাদ পেয়েছেন। বলা হয় যে এই ফলটি মানুষের মাংস খায়। এখন একজন মানুষের ফল খাওয়া স্বাভাবিক কিন্তু একটি ফল যে একজন মানুষকে খায় তা খুবই আশ্চর্যজনক। যদি আপনি মনে করেন এটি কেবল একটি মিথ্যা বা কথার খেলা, তাহলে বিশ্বাস করুন এটি সত্য। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ফলটি কোনটি, যাকে মানুষের মাংস ভক্ষণকারী বলা হয়।

আনারসকে এমন একটি ফল বলা হয় যা মানুষের মাংস খায়। এটি কোনও ধাঁধা বা পরিভাষা নয়, তবে এর পিছনে একটি খুব আকর্ষণীয় বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। আসলে, আনারসে 'ব্রোমেলেন' নামক একটি বিশেষ এনজাইম উপস্থিত থাকে। এই এনজাইমটি এক ধরণের 'প্রোটিওলাইটিক এনজাইম', যার অর্থ এটি প্রোটিন ভাঙতে কাজ করে। মানুষের মাংসও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। এমন পরিস্থিতিতে এটি শরীরে উপস্থিত প্রোটিন খুব দ্রুত ভেঙে ফেলে, তাই একে মানুষের মাংস খায় এমন ফল বলা হয়।

আপনি যদি কখনও তাজা আনারসের টুকরো খেয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই মুখে হালকা জ্বালাপোড়া বা চামড়া ছুলে যাওয়ার অনুভূতি হয়েছে। আসলে এটি 'ব্রোমেলেন' এনজাইমের কারণে ঘটে কারণ এটি মুখের ভেতরে উপস্থিত নরম প্রোটিনকে ভেঙে ফেলতে শুরু করে। বিশ্বাস করা হয় যে যদি প্রতিদিন আনারস খাওয়া হয়, তাহলে এতে উপস্থিত বিশেষ প্রোটিন শরীরের নোংরা মাংস দূর করতে শুরু করে। এটি কেবল পেটের চর্বিই দূর করে না বরং স্থূলতা কমাতেও সাহায্য করে।


অবশ্যই, আনারস খাওয়া একেবারেই নিরাপদ। আনারস একটি পুষ্টিকর সমৃদ্ধ ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তবে, যদি আপনার মুখ খুব সংবেদনশীল হয়, তাহলে খাওয়ার সময় সামান্য জ্বালাপোড়া হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

ঋণ,বিবাহ বিলম্বের সমস্যার সমাধান! বৃষ্টির জল দিয়ে করুন এই প্রতিকার



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ০৭:৩০:০১ : প্রচণ্ড গরমের পরে যখন বৃষ্টির ফোঁটা পৃথিবীতে পড়ে, তখন আপনার ভাগ্য উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আসলে, আপনি যদি বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে রাখেন এবং তারপরে এর সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রতিকার করেন, তাহলে আপনি জীবনের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনি যদি আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, ঋণ থেকে মুক্তি পেতে চান, বিবাহ বিলম্বিত হচ্ছে, তাহলে আপনাকে বৃষ্টির জল সম্পর্কিত কিছু কার্যকর প্রতিকার চেষ্টা করতে হবে। আসুন বৃষ্টির জলের প্রতিকারগুলি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ঋণের জালে আটকে থাকা ব্যক্তিকে অবশ্যই বৃষ্টির জলের প্রতিকার করতে হবে। যদি অনেক চেষ্টা করার পরেও ঋণের বোঝা শেষ না হয়, তাহলে একটি পরিষ্কার পাত্রে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করুন। হনুমানজির সামনে জল ভর্তি পাত্রটি রাখুন এবং হনুমান চালিশা পাঠ করুন। ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন এবং আর্থিক সংকট দূর হবে। বৃষ্টির জলে সামান্য দুধ যোগ করুন এবং স্নান করুন, এক মাস ধরে এটি করুন। ভগবান লক্ষ্মী নারায়ণের ধ্যান করে এই প্রতিকারটি করুন। ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ খুলে যাবে।

বিলম্বিত বিবাহের প্রতিকার

যদি অনেক চেষ্টা করার পরেও কোনও ছেলে বা মেয়ের বিয়ে না হয়, তাহলে বৃষ্টির জলের প্রতিকার করা উচিত, এতে সমস্যার সমাধান হতে পারে। বৃষ্টির জল সংগ্রহ করুন এবং তা দিয়ে ভগবান গণেশকে অভিষেক করুন। বিবাহের পথ খুলে যাবে।

আর্থিক সমস্যা দূর করতে বৃষ্টির জলের প্রতিকার খুবই কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। যদি আপনি একটি পরিষ্কার মাটির পাত্রে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করেন এবং তারপর পাত্রটি বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে বা উত্তর দিকে রাখেন, তাহলে অর্থের সমস্যা সমাধান হবে।

কেমন কাটবে ০৫ জুন? পড়ুন রাশিফল



প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৫ জুন ২০২৫, ০৭:০০:০১ : বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে মোট ১২টি রাশির চিহ্ন বর্ণিত হয়েছে।  প্রতিটি রাশির অধিপতি একটি গ্রহ।  রাশিফল ​​গ্রহ এবং নক্ষত্রের গতিবিধি দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়। ০৫ জুন ২০২৫ বৃহস্পতিবার।  জেনে নিন ০৫ জুন কোন রাশির চিহ্নগুলি উপকৃত হবে এবং কোন রাশির চিহ্নগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে।  মেষ থেকে মীন রাশির অবস্থা পড়ুন।


মেষ - রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজকের দিনটি শুভ হবে। কিছু লোক নতুন সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করতে পারেন, তবে আর্থিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না। অফিসের সিনিয়রদের পরামর্শ কাজের ভালো ফলাফল দেবে।

বৃষ- বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের আজ পরিবারে অপ্রয়োজনীয় তর্ক এড়াতে হবে। পারিবারিক জীবনে সুসংবাদ আসবে। অফিসে প্রদত্ত কাজের দায়িত্ব উপেক্ষা করবেন না এবং সময়সীমার আগে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করুন।

মিথুন- আজ আপনার ব্যস্ত সময়সূচী থাকবে। কাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব আপনার হাতে থাকবে। নতুন পরিবর্তন সম্পর্কে একটু সতর্ক থাকুন। অন্য কারও উপর নির্ভর করবেন না। এতে কাজ বিলম্বিত হতে পারে। পরিবারের সাথে সময় কাটান। এতে চাপের মাত্রা কমবে।

কর্কট- কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা আজ বিলাসবহুল জিনিসপত্রের জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারেন। আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে। কিছু লোক নতুন বাড়ি বা নতুন সম্পত্তি কিনতে পারেন। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ থাকতে পারে। কাজে আপনাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতে পারে।

সিংহ- মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজকের দিনটি স্বাভাবিক হবে। অফিসে কাজের ব্যস্ত সময়সূচী থাকবে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান হবে। ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন। ব্যবসায়িক বিষয়ে একটু সাবধান থাকুন। সাবধানে সিদ্ধান্ত নিন।

কন্যা - আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। সমস্ত কাজে ইতিবাচক ফলাফল আসবে। পরিবারের সদস্যদের সাথে আপনার ইচ্ছা নিয়ে আলোচনা করুন। আর্থিক বিষয়ে কোনও ঝুঁকি নেবেন না। ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত বুদ্ধিমানের সাথে নিন। আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি নতুন কৌশল তৈরি করুন।

তুলা - পারিবারিক জীবনের সমস্যাগুলিকে উপেক্ষা করবেন না। প্রয়োজনে পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ নিন। কোনও বড় ঝুঁকি নেবেন না। আজ আপনি আটকে থাকা অর্থ ফেরত পেতে পারেন। সঙ্গীর সহায়তায় মন খুশি হবে।

বৃশ্চিক - অফিস রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন। পারিবারিক জীবনে কিছুটা উত্তেজনা থাকতে পারে। পুরানো ভুল থেকে শিক্ষা নিন এবং জীবনে এগিয়ে যান। আজ আপনার দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে। আপনি পরিবারের সদস্যদের আশীর্বাদ পাবেন।

ধনু - আপনার সমস্ত বিরোধের সমাধান হবে। পেশাগত জীবনে কঠোর পরিশ্রমের ফল পাবেন। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। পরিবারের সদস্যদের আশীর্বাদে, মুলতুবি কাজগুলি সফল হবে।

মকর - মন খুশি থাকবে। আপনি সুখী জীবনযাপন করবেন। পুরনো বিনিয়োগ থেকে ভালো রিটার্ন পাবে। আয়ের নতুন উৎস তৈরি হবে। আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হবে। আপনি বস্তুগত আরাম-আয়েশে জীবনযাপন করবেন।

কুম্ভ- আপনি ক্যারিয়ারের উন্নতির জন্য নতুন সুযোগ পাবেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগত কাজে নতুন সাফল্য অর্জন করবে। সহকর্মীদের সহযোগিতায় করা কাজ চমৎকার ফলাফল দেবে। তাড়াহুড়ো করে কোনও কাজ করবেন না। আর্থিক বিষয়ে সাবধানতার সাথে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।

Wednesday, June 4, 2025

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন হিনা খান, ক্যান্সারের সাথে লড়াইয়ের মাঝেই শুরু নতুন অধ্যায়


বিনোদন ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫: বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী হিনা খান। হিনা তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিক রকি জয়সওয়ালের সাথে তাঁর সম্পর্ককে বিবাহের নাম দিয়েছেন। রকিকে প্রতিটি অনুষ্ঠানে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করা হিনার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে, দুজনেই কিছুদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁরা শীঘ্রই বিয়ে করতে চলেছেন। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অনুরাগীদের এই বিষয়টি জানিয়েছেন অভিনেত্রী। 


হিনা খান সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিয়ের ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে তাঁকে একটি সুন্দর সবুজ রঙের শাড়িতে কনে হিসেবে দেখা যাচ্ছে। হিনা খান এই বিশেষ অনুষ্ঠানে ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার তৈরি একটি সুন্দর টিস্যু সিল্ক শাড়ি পরেছেন। হিনা এবং রকি রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছেন।


হিনা খান তাঁর পোস্টে লিখেছেন, "দুটি ভিন্ন জগৎ থেকে, আমরা ভালোবাসার এক মহাবিশ্ব তৈরি করেছি। আমাদের পার্থক্যগুলি অদৃশ্য হয়ে গেছে, আমাদের হৃদয় এক হয়ে গেছে, এমনভাবে সংযুক্ত হয়েছে যে আমরা জীবনের শেষ অবধি সংযুক্ত থাকি।"



হিনা খান এবং রকি তাঁদের পোস্টে লিখেছেন, "আমরা আমাদের নিজস্ব জগৎ, আমাদের নিজস্ব আলো, আমাদের নিজস্ব আশা এবং আমাদের নিজস্ব সাহচর্য হয়ে উঠি। সমস্ত সীমানা এবং বাধা অতিক্রম করে। আজ আমাদের মিলন প্রেম এবং আইনে সিল করা হয়েছে।"


হিনা খান লিখেছেন, "স্বামী এবং স্ত্রী হিসাবে, আমাদের আপনার আশীর্বাদ এবং শুভকামনা প্রয়োজন।" হিনা খান এবং রকি তাদের পোস্টে তাঁদের পোশাক এবং গয়না সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিবরণও দিয়েছেন।



হিনা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তাঁর বিয়ের ছবি শেয়ারের পাশাপাশি ক্যাপশনে তাঁর পোশাক সম্পর্কেও জানিয়েছেন। নিজের বিয়ে উপলক্ষে, হিনা খান, সর্বদা যেমন উজ্জ্বল, একটি ওপাল সবুজ হ্যান্ডলুম শাড়ি পরেছিলেন। এই শাড়ির বুনে সোনা এবং রূপার সুতো দিয়ে সুন্দরভাবে খোদাই করা শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মোটিফ ছিল।


সবুজ শাড়ির সাথে, হিনা তাঁর মাথায় সুতোর কাজ সহ হালকা গোলাপী বর্ডারযুক্ত একটি ওড়না এবং মাথায় জারদোজি সূচিকর্ম ছিল। যা এই লুকটিকে আরও বিশেষ করে তুলেছিল। তিনি এই শাড়িটি একটি কনট্রাস্ট ব্লাউজের সাথে পরেছিলেন।


এই শাড়িতে প্লিটেড গোটার ডিটেইলিং ফ্যাব্রিককে আরও গভীর করে তুলেছে, অন্যদিকে নরম গোলাপী ওড়না এবং স্ক্যালপড হেম এই লুকটিতে একটি স্বপ্নময় অনুভূতি যোগ করেছে। শাড়ির সবচেয়ে বিশেষ জিনিস ছিল হিনা এবং তাঁর স্বামীর নাম। এই নামগুলি শাড়িতে সুন্দরভাবে সূচিকর্ম করা হয়েছে।


শুধু শাড়ি নয়, মনীশ মালহোত্রার রাজকীয় উত্তরাধিকারী গয়না হিনার রাজকীয় লুককে আরও বিশেষ করে তুলেছে। হিনাকে হাত থেকে গলা পর্যন্ত সুন্দর কুন্দনের গয়না পরতে দেখা গেছে। কপালে টিক্কা, গলায় সবুজ পান্নার নেকলেস এবং হাতে সুন্দর কুন্দনের গয়না। দুলহান বেন স্টাইলে হিনাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল।


অন্যদিকে তাঁর বর অর্থাৎ রকিও মনীশ মালহোত্রার স্বাক্ষরিত এক্রু কুর্তা পরেছেন।

আবার নতুন প্রোজেক্টে ‘মেয়েবেলা’ খ্যাত অর্পণ ঘোষাল, বিপরীতে কে জানেন?



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৪ জুলাই : অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল, দর্শকের কাছে আজও তিনি ডোডো হিসাবেই পরিচিত। প্রথম ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’, আর এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই অর্পণ হয়ে উঠেছেন দর্শকের ঘরের ছেলে।


 অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল, এই প্লাটফর্মে সকলেই তাকে ডোডো দা হিসাবে চেনেন। মেয়েবেলা ধারাবাহিকের সুবাদেই দর্শকের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন অর্পণ। এই মুহূর্তে ছোটপর্দায় কাজ না করলেও তাকে একাধিক ওয়েব সিরিজ এবং সিনেমায় তাকে দেখা যাচ্ছে।


এবার আরও একবার নতুন প্রোজেক্ট নিয়ে পর্দায় ফিরছেন অর্পণ। তবে ছোটপর্দায় নয়, এবারেও বড়পর্দাতেই নাম লেখালেন অভিনেতা।


জানা যাচ্ছে ‘জঙ্গলে মিতিনমাসি’র পর আবারও বড়পর্দায় পরিচালনায় ফিরছেন অরিন্দম শীল। তারই পরিচালনায় থাকছে আরও একটি রহস্যময় ছবি। সূত্রের খবর, ছবির মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে সাহেব চট্টোপাধ্যায়, অর্পণ ঘোষালকে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে সঞ্জীব সরকারকে।


অর্পণের বিপরীতে নায়িকা কে? পর্দায় অর্পণের সাথে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে অভিনেত্রী লহমা ভট্টাচার্য কে। এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবার একফ্রেমে ধরা দেবেন অর্পণ ও লহমা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহেব চট্টোপাধ্যায় ছবির গোটা টিমের সাথে ছবি পোস্ট করে জানান, ইতিমধ্যেই চিত্রনাট্য পড়া শেষ হয়েছে। জুলাই মাসেই শুটিং ফ্লোরে যাবে ছবিটি।

আরসিবির বিজয় কুচকাওয়াজে পদপিষ্টের ঘটনা! মৃত ১১, আহত ২০



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫, ১৮:৪০:০১ : আরসিবি আইপিএল ২০২৫ জিতেছে এবং এর পর বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পুরো দলকে সম্মানিত করা হচ্ছে। তবে, এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে এমন কিছু ঘটেছিল যা কেউ কল্পনাও করেনি। আসলে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের কাছে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জন মারা গেছেন। পদপিষ্ট হয়ে ২০ জন আহত হয়েছেন। রিপোর্ট অনুসারে, ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পদপিষ্ট হয়ে নিহতদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছেন।

রিপোর্ট বিশ্বাস করলে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে আরসিবির বিজয় কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারীরা বিপুল সংখ্যক উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে এবং এর পরে পদপিষ্ট হয়। বিজয় কুচকাওয়াজ বিকেল ৫টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। খেলোয়াড়রা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে দেখা করতে বিধানসভায় পৌঁছেছেন এবং এর পরে খেলোয়াড়দের টিম বাস চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে যাবে। এখানে বড় বিষয় হলো পুরো রুটে হাজার হাজার মানুষ, যার ফলে তাদের সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

আরসিবির জয় উদযাপন শোকে পরিণত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই পদপিষ্ট হওয়ার কারণ কী? জনতার উপর লাঠিচার্জের নির্দেশ কে দিয়েছিল? এই বড় দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে? এই ভক্তরা তাদের দলের জয়ে খুবই খুশি ছিলেন। উল্লেখ্য, আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে আরসিবি পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়েছে। আরসিবি প্রথমবারের মতো আইপিএল শিরোপা জিতেছে। এই জয়ের পর থেকে কর্ণাটক সহ অনেক শহরে জয় উদযাপন করা হয়েছিল, কিন্তু এখন এই দলের জয়ের কুচকাওয়ার সময় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা এই জয়কে ম্লান করে দিয়েছে।

বিয়ের পর রুবেল খেলেন তার প্রথম জামাইষষ্ঠী ,কী কী আয়োজন ছিল জেনে নিন!



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৪ জুলাই : বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী শ্বেতা-রুবেলের। নেটিজেনদের অনেকেই জানতে উৎসুক কেমন কাটল শ্বেতা-রুবেলের প্রথম জামাইষষ্ঠী? নতুন জামাইয়ের জন্য কি কি আয়োজন করলেন শ্বেতার মা?


জামাইষষ্ঠীর দিনে সকাল থেকেই জামাইকে আশীর্বাদ করা থেকে শুরু করে ফলের বাটার উপহার, সবতাই সেরেছেন শ্বেতার মা। এখানেই শেষ নয়, শ্বাশুরি মায়ের থেকে সুন্দর একটি টি-শার্টও উপহার পান রুবেল।



এরপরি দুপুরের মেনুতে শুক্তো থেকে শুরু করে পাঁচ রকমের ভাজা, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মোচা চিংড়ি, দই কাতলা, বেগুন-ইলিশ, মটন কষা সবটাই সাজানো ছিল নতুন জামাইয়ের পাতে। শেষ পাতে ছিল তিন রকমের মিষ্টি, চাটনি, পাঁপড় ও আইসক্রিমও। যাকে বলে বাঙালির রাজকীয় ভোজ।


এদিন রুবেলও ডায়েট ভুলে শ্বাশুরি মায়ের হাতের রান্না কবজি ডুবিয়ে খেলেন। সবশেষে শ্বেতার মায়ের জন্য জামাইষষ্ঠীর উপহার হিসেবে রুবেল এনেছিলেন একটি সালোয়ার সেট। সব মিলিয়ে জামাইষষ্ঠী ধুমধাম করেই কাটিয়েছেন রুবেল-শ্বেতা।


এদিন জামাইষষ্ঠী উদযাপনের কিছু ছবি পোস্ট করে রুবেল লেখেন, ‘শাশুড়ি আমার হিট, সবার সাথে ফিট, এ যে শাশুড়ি নম্বর 1, প্রথম জামাইষষ্ঠী , জামাই আদর, প্রচুর খাওয়াদাওয়া আর উপহার।’

৫০ টাকার বিজ্ঞাপন থেকে ২০০ টাকার গার্ডের কাজ করেছেন! অভিনেতা রজতাভের জীবনকাহিনী জানলে চোখে জল আসবে



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৪ জুলাই : টলিউডের নামকরা অভিনেতাদের তালিকায় আছেন বিশিষ্ট অভিনেতা রজতাভ দত্ত। পর্দায় খলনায়ক থেকে কৌতুক চরিত্র সর্বত্রই নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন অভিনয়ের মাধ্যমে। তবে পর্দার আড়ালে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানলে হয়ত আপনিও কিছুটা অবাক হবেন।


অল্প বয়সেই বাবা- মা কে হারান অভিনেতা, ছোটবেলা থেকেই ডানপিটে স্বভাবের জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে মার পর্যন্ত খেয়েছেন। স্কুল শেষে একেবারেই বিপথে চলে যাচ্ছিলেন অভিনেতা। সেইসময় তার বন্ধুরা তাকে উৎসাহ যোগায় থিয়েটারে যোগ দেওয়ার জন্য। সেইসময় মন থেকে তেমন ইচ্ছা হয়নি অভিনয় করার।


প্রথম জীবনে অ্যাকাউন্টেন্ট এর চাকরি করতেন। চাকরি করাকালীন বন্ধুদের কথায় সেই সময়ের বিখ্যাত পত্রিকা ‘জনগন-জনমত’-এ থিয়েটারের রিভিউ লেখার কাজ করতেন তিনি। পাশাপাশি সরকারি পরীক্ষাগুলোতে গার্ড দেওয়ার কাজও করেছেন। দু-চারশ টাকার বিনিময়ে এই কাজ করতেন তিনি।


জানলে অবাক হবেন, মাত্র ৫০-১০০ টাকার বিনিময়ে অন্যের ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য বিজ্ঞাপনের কাজও করেছেন রজতাভ। ছোট যাত্রা থেকে আজ বড়পর্দায় একজন সফল অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন অভিনেতা।

সদ্যই পিতা হয়েছেন পরম, এরই মধ্যে সদ্যোজাতের নাম প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেতা পরম



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৪ জুলাই : বিয়ের দেড় বছরের মাথায় সুখবর শেয়ার করেছেন। জানিয়েছিলেন সব ঠিক থাকলে জুন মাসেই বাবা-মা হবেন পরম-প্রিয়া।


তার আগে সাধ খেয়েছিলেন অভিনেতার স্ত্রী প্রিয়া চক্রবর্তী। অফিস থেকে সাধ খাওয়ানো হয়েছিল। প্রিয়া নিজেই সেই ছবি শেয়ার করে নিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।


এবার অপেক্ষার অবসান হয়েছে পয়লা জুনেই। ১লা জুন রবিবার, জামাইষষ্ঠীর দিনেই মা-বাবা হলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তী। পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন পিয়া। সদ্যই ছেলের বাবা হলেন পরমব্রত।


পিয়ার সহকর্মী, প্রখ্যাত মনোবিদ রত্নাবলী রায় প্রথম সমাজমাধ্যমে এই খুশির খবর দেন। রবিবার পোস্টে রত্নাবলী পিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমরা সকলে অত্যন্ত খুশি। ‘জুনিয়র ভাল আছে।’




অন্যদিকে ছেলেকে নিয়ে পরমব্রত সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘আমাদের প্রথম সন্তান পৃথিবীতে এসেছে, যাঁরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।’ সাথে দু’টি হাতের উপর ছোট্ট পায়ের ছবি শেয়ার করেছেন। পোস্টে ছেলেকে আদুরে ডাকনামও রাখেন পরমব্রত। ভালোবেসে ছেলেকে ‘জুনিয়র’ বলেন তিনি।


চলতি বছর ভালবাসা দিবসে সন্তান আসার সুখবর দিয়েছিলেন তারকা দম্পতি। বর্তমানে নতুন বাবা-মা হওয়ার সুন্দর মুহূর্ত কাটাচ্ছেন পরম-পিয়া।

দেশে কবে থেকে শুরু আদমশুমারি? সামনে এল দিনক্ষণ, জেনে নিন আপনার এলাকায় কবে!



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫, ১৭:৪০:০১ : দেশে জাতি-গণনা কবে হবে তার তারিখ এখন প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতে জাতি-গণনা দুটি ধাপে পরিচালিত হবে। এর প্রথম ধাপ শুরু হবে ১ অক্টোবর, ২০২৬ থেকে, দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ১ মার্চ, ২০২৭ থেকে। প্রথম ধাপে চারটি রাজ্যে জাতি-গণনা করা হবে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর।


দেশে প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি করা হয়। সর্বশেষ আদমশুমারি ২০১১ সালে হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে, ২০২১ সালে আদমশুমারি করার কথা ছিল, কিন্তু কোভিডের কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। একই সময়ে, ১৯৩১ সাল থেকে ভারতে জাতি-ভিত্তিক কোনও আদমশুমারি করা হয়নি। SC/ST-র জনসংখ্যার পরিসংখ্যান আছে, কিন্তু OBC-র নয়, যার কারণে সংরক্ষণ নীতি অস্পষ্ট রয়ে গেছে।


এবার সরকার দুটি ধাপে আদমশুমারি পরিচালনা করছে। এতে প্রশ্নের একটি দীর্ঘ তালিকা থাকবে, যার মধ্যে বর্ণ এবং উপ-বর্ণ সম্পর্কিত প্রশ্নও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ৩০ এপ্রিল, মোদী সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতিশুমারি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সরকার জানিয়েছিল যে আমাদের সামাজিক কাঠামো যাতে রাজনৈতিক চাপের মুখে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার জন্য, পৃথক জরিপ হিসাবে না করে মূল আদমশুমারিতে জাতি গণনা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দেশে সাধারণত প্রতি দশ বছর অন্তর আদমশুমারি করা হয়। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালে। এরপর করোনা মহামারীর কারণে ২০২১ সালে আদমশুমারি স্থগিত করা হয়। বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত জাতিগত আদমশুমারির দাবী জানিয়ে আসছে। মন্ত্রিসভা এটি অনুমোদন করার পর, বিরোধী দলগুলিও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

জাতিসংঘে অপমানিত পাকিস্তানের বিলাওয়াল! মিথ্যা দাবী ফাঁস, উঠে এল কর্নেল সোফিয়ার কথা



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫, ১৭:৩০:০১ : আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান আবারও অপমানের মুখোমুখি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সভাপতি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে সম্প্রতি জাতিসংঘের এক সংবাদ সম্মেলনে জনসমক্ষে অপমানের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সংবাদ সম্মেলনের সময়, একজন সাংবাদিক তার দাবীর তথ্য-যাচাই করেন যেখানে তিনি বলেছিলেন যে ভারতে মুসলমানদের 'দানব' বানানো হচ্ছে। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর দিতে পারেননি।

জাতিসংঘে ইসলামাবাদের কূটনৈতিক দলের সদস্য ভুট্টো, এক সংবাদ সম্মেলনের সময় এই মন্তব্য করেন, যেখানে কাশ্মীরের বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন যে ভারতে মুসলমানদের 'দানব' বানানো হচ্ছে। তিনি পহেলগামে হামলার পর এই অভিযোগ করেন, যেখানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং তিনি আরও বলেন যে ভারতীয় মুসলমানদের অপমান করার জন্য এই হামলাকে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে।

এই কথোপকথনে উপস্থিত একজন বিদেশী সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি বলেছিলেন যে কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ভারতের মুসলমানদের অপমান করার জন্য রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু স্যার, আমি উভয় পক্ষের ব্রিফিং দেখেছি এবং যতদূর মনে পড়ে, ভারতীয় পক্ষের ব্রিফিং মুসলিম ভারতীয় সামরিক অফিসাররা করছিলেন।” এই কথা শুনে ভুট্টো খুব বিরক্ত হয়েছিলেন, তিনি কিছু অস্বীকার করেননি এবং কেবল বলেছিলেন, “যতদূর অভিযানের কথা, আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন।”

এই সাংবাদিক কর্নেল সোফিয়া কুরেশির দেওয়া অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের ব্রিফিংয়ের কথা উল্লেখ করছিলেন, যিনি আরেক মহিলা অফিসার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং-এর সাথে দেশজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। অপারেশন সিন্দুরের সময়, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সংবাদ মাধ্যমের সাথে মুহূর্ত-মুহূর্তের তথ্য ভাগ করে নিতেন।

বাংলায় শুরু দলত্যাগের খেলা! শঙ্করের দলবদলের দিনে, প্রচুর কর্মী-সহ তৃণমূলের বড় নেতার যোগ কংগ্রেসে



কলকাতা, ০৪ জুন ২০২৫, ১৭:১৫:০১ : আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এবং দল বদলানোর খেলা শুরু হয়েছে। বুধবার, প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। শঙ্কর মালাকারের কংগ্রেস ত্যাগ উত্তরবঙ্গে দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কার্তিক সাহা সহ তিন ডজনেরও বেশি তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি, তৃণমূল এখন উত্তরবঙ্গের উপরও কড়া নজর রাখছে। তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা জন বার্লাকে তৃণমূল কংগ্রেসে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এবার শঙ্কর মালাকার কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। দুইবারের কংগ্রেস বিধায়ক দলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সী এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

শঙ্কর মালাকার ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক ছিলেন। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে জেলা কংগ্রেস সভাপতিও ছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে কংগ্রেসের মধ্যে তাঁর সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা যায় না। নির্বাচনের আগে শঙ্কর মালাকার কংগ্রেস ত্যাগ করাকে অধীর চৌধুরী এবং রাজ্য সভাপতি শুভঙ্করের জন্য একটি বড় 'প্রভাব' বলে মনে করা হচ্ছে।

শঙ্কর মালাকারের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে সুব্রত বকশি বলেন যে এটি কেবল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অক্সিজেন দেবে না, বরং দলের শক্তিও বৃদ্ধি করবে। সুব্রত বকশি বলেন, "তিনি ১৫ বছর ধরে দার্জিলিং জেলার জেলা সভাপতি ছিলেন। তাঁর যোগদান তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করবে।"

অরূপ বিশ্বাস বলেন যে তিনি দলীয় নেতার নির্দেশে শঙ্কর মালাকারকে তৃণমূল কংগ্রেসে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। অন্যদিকে, শঙ্কর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং একাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনি বলেন যে বিজেপি উত্তরবঙ্গে তাণ্ডব চালাচ্ছে। কখনও তারা কামতাপুরী, গোর্খাল্যান্ড, আবার কখনও উত্তরবঙ্গ ভাগ করতে চায়। কংগ্রেসের ভেতরে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, অধীর চৌধুরী মুর্শিদাবাদে ক্রমাগত তার শক্তি বৃদ্ধি করছেন। বুধবার, পঞ্চাশেরও বেশি কর্মী ও সমর্থকদের সাথে কার্তিক সাহা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে আসেন। বুধবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস অফিসে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কার্তিক কংগ্রেসে ফিরে আসেন।

কার্তিক সাহা আগে কংগ্রেসে ছিলেন, কিন্তু ২০২২ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। দল পরিবর্তনের আগে তিনি শহর কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তবে, তৃণমূলে যোগদানের পরেও তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাকে শহর তৃণমূলের সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়। অধীরের হাত ধরে কার্তিকের কংগ্রেসে ফিরে আসা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। কার্তিক বলছেন যে ২০২২ সালে পৌর বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণেই তিনি বাড়ি ফিরে এসেছেন।

বাংলাদেশের নোট থেকে বাদ মুজিবের ছবি, ভারতে এই বিষয়ে কী কী নিয়ম জানুন



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫, ১৬:৩৫:০১ : বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সেখানে অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক রবিবার ২০, ৫০ এবং ১০০০ টাকার নতুন নোট জারি করেছে, যেগুলি থেকে শেখ হাসিনার বাবা তথা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই বিষয়ে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হুসেন খান তার বিবৃতিতে বলেছেন যে নতুন নকশায় কোনও ব্যক্তির ছবি থাকবে না, তবে দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলিকে স্থান দেওয়া হয়েছে।

আরিফ হুসেন খান বলেছেন যে নতুন নোটগুলিতে হিন্দু এবং বৌদ্ধ মন্দিরের ছবি মুদ্রিত হবে। আপনাকে জানিয়ে রাখি যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গঠনের পর থেকে, এই নোটগুলির নকশা প্রায় পাঁচবার পরিবর্তন করা হয়েছে। আপনি কি জানেন ভারতে নোটে ছবি লাগানো এবং সরানোর নিয়ম কী। আসুন জেনে নেওয়া যাক। ভারতে ছবি ছাপানোর নিয়ম কী?

কয়েক বছর আগে, ভারতে খবর ছিল যে নোট থেকে গান্ধীর ছবি সরিয়ে ফেলা হবে, কিন্তু পরে অস্বীকার করা হয়েছিল যে এমন কিছু নেই। ভারতে নোটে ছবির নিয়ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে, রিজার্ভ ব্যাংক তথ্য অধিকার আইনের অধীনে চাওয়া তথ্যে বলেছে যে, ১৯৩৪ সালের আরবিআই আইনের ২৫ ধারা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং কেন্দ্রীয় সরকার একসাথে নোটে ছবি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি যদি এতে কোনও পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হয়, তবে উভয় প্যানেল একসাথে সিদ্ধান্ত নেবে এবং কেবল তখনই এই পরিবর্তন করা যাবে।

ভারতে নোটে ছবি ছাপানোর সিদ্ধান্তটি নিয়মের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ বেশি। ভারতে নোটে গান্ধীজির ছবি ছাপানোর প্রক্রিয়াটি ১৯৬৬ সালে নেওয়া হয়েছিল। এর আগে, নোটে অশোক স্তম্ভের ছবি ছাপানো হয়েছিল। এর পাশাপাশি, রয়েল বেঙ্গল টাইগার্স, কৃষি, আর্যভট্ট স্যাটেলাইট এবং শালিমার গার্ডেনের মতো ছবিও নোটে মুদ্রিত হয়েছে। ভারতে, ২০১৬ সালে, মহাত্মা গান্ধীর ছবির জায়গায় ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের ছবি রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও পরে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছিল।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব তুরস্ক! পুতিনের এই নতুন শত্রুর সাথে অস্ত্র চুক্তি



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫, ১৫:৪০:০১ : তুরস্ক, যাকে এতদিন রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত দেখা যেত, এখন প্রকাশ্যে এসেছে। ইসলামিক বিশ্বের এই বৃহৎ খেলোয়াড় এখন রাশিয়ার 'নতুন শত্রু' ফিনল্যান্ডের সাথে একটি বড় অস্ত্র চুক্তি করেছে। এটি কেবল একটি চুক্তি নয়, বরং রাশিয়াকে ঘিরে ন্যাটোর কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফিনল্যান্ড তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর কারণ ছিল তুরস্কের "অপারেশন পিস স্প্রিং" যা সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি সামরিক অভিযান ছিল।

ফিনল্যান্ড এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ২০২৩ সালের প্রথম দিকে, ফিনল্যান্ড কেবল এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি, বরং তুরস্কে ১২,০০০ টন আর্মার-গ্রেড ইস্পাত পাঠিয়েছে এবং অস্ত্র রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করেছে। বিনিময়ে, তুরস্ক ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদে সবুজ সংকেতও দিয়েছে। এখান থেকেই সম্পর্কের উষ্ণতা শুরু হয়েছিল, যা এখন এই সমঝোতা স্মারকে (সমঝোতা স্মারক) পৌঁছেছে।

সোমবার, প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ সহযোগিতার জন্য তুরস্ক ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে একটি বড় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে তুরস্কের এসএসবি প্রধান হালুক গরগুন এবং ফিনল্যান্ডের অলি রুতু স্বাক্ষর করেছেন। ফিনল্যান্ডের কোম্পানি প্যাট্রিয়া এবং তুর্কি কোম্পানি ASELSAN এবং রোকেটসান যৌথভাবে অস্ত্র তৈরি করবে। ASELSAN-এর রিমোট কন্ট্রোল অস্ত্র ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ার ৬×৬ এবং ৮×৮ সাঁজোয়া যানে স্থাপন করা হবে। এই অস্ত্র এবং যানবাহন মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার মতো বাজারে বিক্রি করা হবে।

তুরস্ক ও ফিনল্যান্ডের এই জুটি কেবল ব্যবসা করছে না, এটি ন্যাটোর জন্য নতুন শক্তিও তৈরি করছে। তুরস্কের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং স্থল যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থাকলেও, ফিনল্যান্ডের আর্কটিক যুদ্ধের প্রযুক্তি এবং উচ্চ প্রযুক্তির উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা প্রধান আরও বলেছেন যে এই চুক্তি ন্যাটোর শক্তিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে সংযুক্ত করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।

২০২৩ সালে, ফিনল্যান্ড ৩৩৩ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানি করেছে। গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বেশিরভাগই সুইডেন, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়ার মতো দেশে সরবরাহ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এর প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ৪০৬০% রপ্তানিতে যায়, বিশেষ করে যোগাযোগ, সাঁজোয়া যান এবং আর্কটিক প্রযুক্তিতে। ২০২৫ সালে, ফিনল্যান্ড প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির ২.৫% ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছে, যা ন্যাটোর ২% সীমার চেয়েও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে F-35A যুদ্ধবিমান এবং ন্যাটো মিশনের জন্য ভারী বিনিয়োগ।

তুরস্ক ইতিমধ্যেই আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়ায় তার প্রতিরক্ষা পণ্য বিক্রি করছে। কিন্তু ইউরোপ এবং নর্ডিক দেশগুলিতে তার দখল এখনও সীমিত ছিল। ফিনল্যান্ডের সাথে এই নতুন অংশীদারিত্ব তুরস্ককে সরাসরি ইউরোপীয় বাজারে নিয়ে যাবে। অন্যদিকে, ফিনল্যান্ড তুরস্কের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের মতো বড় বাজারেও প্রবেশের সুযোগ পাবে।

ঘি খাওয়ার সঠিক উপায় কী? দিনে কতটুকু খাওয়া উচিৎ? উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি এড়াতে অবশ্যই জানুন


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫: শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঘি শক্তি এবং সুস্থতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্তু ঘি তখনই উপকারী যখন এটি সঠিক উপায়ে খাওয়া হয়। বিজ্ঞানও নিশ্চিত করেছে যে ঘি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। হেলথলাইনের মতে, এক চা চামচ ঘিতে প্রায় ১৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে, তবে এই ফ্যাট অত্যন্ত শক্তিশালী। এটি ক্ষতি করে না। এতে স্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এর পাশাপাশি, এতে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ই এবং কেও থাকে। কিন্তু যদি ঘি ভুল উপায়ে ব্যবহার করা হয়, তবে এটি ক্ষতির কারণও হতে পারে।


ঘি কখন খারাপ হয়?

নিউজ এইটটিন হিন্দির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান ডাঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি বলেন, ঘিয়ে মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি হজমের জন্য খুবই ভালো। এটি সহজে হজম হয়। কিন্তু ঘি বেশি গরম করলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হবে কারণ এতে থাকা ফ্যাটি চেইনের গঠন ভেঙে যাবে। এর জারণের কারণে, এটি খাওয়ার সময় ফ্রি র‍্যাডিকেল তৈরি হতে শুরু করবে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বৃদ্ধি করবে, যা অনেক রোগের কারণ হতে পারে। ঘি ৬০-৭০ ডিগ্রির বেশি গরম করা উচিৎ নয়। তাই, আগের দিনে কাঁচা ঘি গরম রুটির ওপর দিয়ে খাওয়া হত। আজও এটি এভাবেই খাওয়া উচিৎ।


ঘিয়ের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা

ঘিতে উপস্থিত মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড সহজেই হজম হয়। তাই এটি শরীরকে শক্তি দিতে সাহায্য করে। এটি হৃদপিণ্ডের জন্যও খুবই উপকারী কারণ হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকর চর্বি প্রয়োজন। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাই, যখনই আপনি ঘি খান, তখন এটি কম আঁচে গলিয়ে নিন অথবা সরাসরি গরম খাবারে যোগ করুন যাতে এটি ধীরে ধীরে গলে যায় এবং এর পুষ্টি অক্ষুণ্ণ থাকে।


ঘি কত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ?

ডঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি বলেন, দিনে দুই চামচের বেশি ঘি খাওয়া উচিৎ নয়। ঘি যতই পুষ্টিকর হোক না কেন, বেশি খেলে চর্বি বাড়বে। বেশি ঘি খেলে শক্তিতে রূপান্তরিত হবে না। এটি শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হতে পারে। তাই সীমিত পরিমাণে ঘি খান।

লাদাখে ইংরেজি-হিন্দি সহ এই ভাষাগুলি পেল সরকারি ভাষার স্বীকৃতি



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫, ১৪:০৭:০১ : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লাদাখের সরকারি ভাষা আইন ২০২৫ অনুমোদন করেছেন। এখন এটি সমগ্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কার্যকর হয়েছে। এর আওতায়, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, ভোটি এবং পুরগি ভাষাগুলিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সকল রাজ্যের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এটি এই অঞ্চলের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপনের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে, যার লক্ষ্য লাদাখের জনগণের বহুভাষিক সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা। এটি লাদাখের অনেক ভাষাকে রক্ষা করবে।

এই পদক্ষেপ অঞ্চলের ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষা করবে এবং ভাষা প্রচারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিল্প, সংস্কৃতি ও ভাষা একাডেমিও প্রতিষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সম্প্রদায়, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। এই উদ্যোগ তৃণমূল পর্যায়ে শাসনব্যবস্থা জোরদার করবে, যোগাযোগ উন্নত করবে এবং লাদাখীদের মধ্যে তাদের মাতৃভাষা সম্পর্কে গর্বের অনুভূতি পুনর্নবীকরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার লাদাখের জন্য নতুন নিয়ম জারি করেছে। যা স্থানীয়দের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে, স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদার জন্য ১৫ বছর ধরে লাদাখে বসবাস বাধ্যতামূলক করে, পার্বত্য কাউন্সিলে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ করে এবং অঞ্চলের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে পাঁচটি সরকারি ভাষা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।

এই নতুন নিয়মগুলিতে, চাকরির জন্য স্থায়ী বাসিন্দাকে এমন ব্যক্তি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যিনি ১৫ বছর ধরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বসবাস করেছেন, ৭ বছর ধরে পড়াশোনা করেছেন এবং লাদাখে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছেন। এর অর্থ হল, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর লাদাখে বসতি স্থাপনকারী যে কোনও বহিরাগত ২০৩৪ সালে স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য হবেন।

মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতেও জানানো হয়েছে যে, লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সংরক্ষণ (সংশোধন) বিধিমালায় বলা হয়েছে যে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণ ব্যতীত, কোনও অবস্থাতেই সংরক্ষণ ৮৫% এর বেশি হবে না। এতে বলা হয়েছে যে ৮০ শতাংশ সংরক্ষণ সংখ্যাগরিষ্ঠদের জন্য। ৪ শতাংশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখায় বসবাসকারীদের জন্য। তফসিলি জাতির জন্য ১% এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য ১০%।

অনেক গুরুতর রোগের নিরাময় এই কালো শুকনো ফল! ত্বক ও হাড়ের জন্য ওষুধের চেয়ে কম নয়


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫: সুস্থ থাকার জন্য মানুষ প্রায় সব ধরণের শুকনো ফল খায়। শারীরিক ও মানসিক উভয় সমস্যার সাথে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে এগুলো। যদিও সব শুকনো ফলের নিজস্ব স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, কিশমিশের উপকারিতা সত্যিই অবাক করা। সাধারণত মানুষ বাড়িতে গাঢ় হলুদ রঙের কিশমিশ খায়। কিন্তু, কালো কিশমিশ আরও বেশি উপকারী হতে পারে। এটি খেলে ত্বকের সমস্যার পাশাপাশি পাইলসের মতো গুরুতর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হল কালো কিশমিশের উপকারিতা কী? কালো কিশমিশে কী কী পুষ্টিগুণ থাকে? দিল্লী ডায়েট ক্লিনিক নয়ডার ডায়েটিশিয়ান অমৃতা মিশ্র, নিউজ এইটটিন-কে এই বিষয়ে জানিয়েছেন -


কালো কিশমিশে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান-

বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো কিশমিশে ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন-বি৬ এর মতো উপাদান সমৃদ্ধ। এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, শক্তি, প্রোটিন, চিনি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড ইত্যাদির মতো অনেক ধরণের ভিটামিন থাকে।


গ্রীষ্মে কালো কিশমিশ কেন খাবেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশ শীতল প্রকৃতির, যা গ্রীষ্মে আমাদের জন্য খুবই উপকারী। এই কারণেই আয়ুর্বেদে কালো কিশমিশকে সুপারফুডের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাই, কালো কিশমিশ খাওয়ার অনেক আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকতে পারে।


কালো কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা-

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, কালো কিশমিশে উপযুক্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল পাওয়া যায়। এছাড়াও, এটি ভিটামিন সমৃদ্ধ, যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন ৮-১০টি কালো কিশমিশ খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।


ত্বক উজ্জ্বল করে: কালো কিশমিশে কিছু প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রক্ত পরিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক তরল, বিষাক্ত পদার্থ, ময়লা ইত্যাদি বের করে দিতে সাহায্য করে। এই সমস্ত জিনিস ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করে যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি, বলিরেখা, দাগ ইত্যাদি।


পাইলসে উপকারি: বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলসের সমস্যায় ফাইবার সমৃদ্ধ কালো কিশমিশ খাওয়া উপকারী হতে পারে। এর পাশাপাশি, এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য খুবই কার্যকর। আপনার যদি অন্ত্রের কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে আপনার প্রতিদিন কালো কিশমিশ খাওয়া উচিৎ। 


হাড় মজবুত করে: কালো কিশমিশ খেলে হাড় সুস্থ থাকে, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। এতে বোরন উপাদানও থাকে, যা একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। শরীরের এটির প্রয়োজন কম, তবে এটি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৮-১০টি কালো কিশমিশ খাওয়া উচিৎ।


স্থূলতা কমায়: কালো কিশমিশ রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে এবং সেই জল পান করলে আমাদের বর্ধিত ওজন খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি আমাদের ফ্যাটি কোষগুলিকে খুব দ্রুত দমন করে। এর পাশাপাশি, ওজন কমানোর সময় মিষ্টির প্রাকৃতিক বিকল্প হিসেবে কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়।


শক্তি বৃদ্ধি করে: আপনি যদি জিমে যান, ওয়ার্কআউট করেন এবং কয়েকদিন ধরে আপনার শরীরে শক্তি ও স্ট্যামিনার অভাব অনুভব করেন, তাহলে কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করুন। গ্রীষ্মকালে যদি আপনার ক্লান্তি বা শক্তির অভাব বোধ হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক শক্তি পেতে জলে ভিজিয়ে রাখা কালো কিশমিশ খান। এটি আপনার শরীরকে সতেজ করবে এবং আপনাকে নতুন জীবন দেবে।


কিডনি সুস্থ রাখে: কালো কিশমিশ কিডনিতে পাথর তৈরি হতে বাধা দেয়। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রচুর জল পান করেন এবং কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খান, তাহলে কিডনিতে পাথর দূর করা সম্ভব।


কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: কালো কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা সম্ভব। আসলে, কালো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে, যা মল আলগা করে এবং অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করে। এর ফলে মলত্যাগের সময় খুব বেশি চাপের প্রয়োজন হয় না। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে, যা পেট ফাঁপা, বদহজম, গ্যাসের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও এক ইউটিউবার, জ্যোতির সাথে সংযোগ

 


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫, ১৩:২৫:০১ : ভারতে পাকিস্তানি গুপ্তচরবৃত্তি সম্পর্কিত একটি বড় খবর পাঞ্জাব থেকে এসেছে। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রূপনগর থেকে জসবীর সিং নামে আরও একজন ইউটিউবারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জসবীর সিং একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান এবং জ্যোতি মালহোত্রার সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন।

জসবীর সিং 'জান মহল' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান এবং ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা এবং পাকিস্তানি নাগরিক এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন, যারা ইতিমধ্যেই গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। দানিশ পাকিস্তানি হাই কমিশনের একজন আধিকারিক ছিলেন।

এই মামলায় পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি গৌরব যাদবের একটি বিবৃতি বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলেছেন যে মোহালি-ভিত্তিক স্টেট স্পেশাল অপারেশনস সেল (SSOC) রূপনগরের মহলান গ্রামের বাসিন্দা জসবীর সিং-এর সাথে যুক্ত একটি বড় গুপ্তচরবৃত্তির নেটওয়ার্ক ধরেছে। জসবীর 'জান মহল' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান এবং সন্ত্রাসবাদী-সমর্থিত গুপ্তচরবৃত্তির অংশ পিআইও শাকির ওরফে জাট রন্ধাওয়ার সাথে যুক্ত, যিনি পিআইও শাকির ওরফে জাট রন্ধাওয়ার সাথে যুক্ত।

তিনি হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা (যাকে ইতিমধ্যেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে) এবং বহিষ্কৃত পাকিস্তান হাই কমিশনের আধিকারিক এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন।

তদন্তে জানা গেছে যে জসবীর দানিশের আমন্ত্রণে দিল্লিতে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানি সেনা আধিকারিক এবং ব্লগারদের সাথে দেখা করেছিলেন। তিনি ২০২০, ২০২১ এবং ২০২৪ সালে তিনবার পাকিস্তান সফর করেছিলেন। তার ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বেশ কয়েকটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নম্বর পাওয়া গেছে, যা ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেপ্তারের পর, জসবীর তার কথোপকথন এবং যোগাযোগের প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। মোহালির এসএসওসি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং পুরো নেটওয়ার্কটি ভেঙে ফেলার জন্য তদন্ত চলছে।

প্রোটিন শেক বেশি পানের অভ্যাস থাকলে সাবধান! বাড়িয়ে দিতে পারে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫: আপনি যদি জিমে যান, তাহলে অবশ্যই প্রোটিন শেকও পান করছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার যদি প্রতিদিন প্রোটিন শেক পানের অভ্যাস থাকে, তাহলে একবার ভেবে দেখুন কারণ একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত প্রোটিন শেক পানের অভ্যাস কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ইয়োগার্ট এবং প্রোটিন শেক সাধারণত স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়, তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে এতে ইমালসিফায়ার নামক উপাদান রয়েছে। এগুলি খুবই ক্ষতিকারক। এই জিনিসগুলিতে জ্যান্থান গাম, সুক্রলোজ এবং সয়া লেসিথিন নামক রাসায়নিক যোগ করা হয়, যা এগুলিকে ইমালসিফায়ার করে তোলে।


ভালো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে-

গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই পদার্থগুলি অন্ত্রে উপস্থিত ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে অন্ত্রের জৈবিক পরিবর্তন ঘটে। এই অবস্থা প্রদাহ এবং গ্যাস বৃদ্ধি করে, যা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। আমেরিকার গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মারিয়া আব্রেউ বলেছেন যে, 'দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ কোলন ক্যান্সারের কারণ হয় এবং আমি মনে করি এটি যুবদের মধ্যে ক্যান্সারের ঘটনা বৃদ্ধির পিছনে একটি প্রধান কারণ।' তিনি বলেন, আমাদের খাবারে যে জিনিসটি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে তা হল ইমালসিফায়ার ব্যবহার। অনেক খাবারই ইমালসিফায়ার। পূর্ববর্তী গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে, ইমালসিফায়ারগুলি অন্ত্রে উপস্থিত প্রতিরক্ষামূলক স্তরকে ধ্বংস করতে পারে, যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। কিন্তু এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ইমালসিফায়ারগুলি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে।


ইমালসিফায়ার এড়িয়ে চলুন

অনেক খাবারে ইমালসিফায়ার ব্যবহার করা হয়। যেমন মিষ্টি, সালাদ, প্রক্রিয়াজাত মাংস ইত্যাদি। এই জিনিসগুলি ইতিমধ্যেই খারাপ বলে বিবেচিত হয়, তবে কম চর্বিযুক্ত দই, প্রোটিন পণ্যের মতো ভালো ও স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত জিনিসগুলিও ইমালসিফায়ার হয়ে ওঠে। ডাক্তাররা ইমালসিফায়ারের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সতর্ক করলেও, মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এগুলোকে নিরাপদ বলে মনে করে। ২০২৫ সালে, আমেরিকায় ৫০,০০০ এরও বেশি লোক কোলন ক্যান্সারে মারা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং ১.৫ লক্ষেরও বেশি লোকের মধ্যে এর নতুন আক্রান্ত পাওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এই খাদ্যদ্রব্যগুলিকে এর প্রধান কারণ বলে মনে করেন। তাই, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ইমালসিফায়ারযুক্ত জিনিসগুলি না খাওয়াই ভালো।


এই জিনিসগুলি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়

প্রোটিন শেকগুলিতে প্রায়শই ক্যারাজিনান নামক একটি ইমালসিফায়ার থাকে, যা লাল শৈবাল থেকে তৈরি। শেক ঘন করতে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সুরক্ষিত রাখতে এটি যোগ করা হয়। ক্যারাজিনানে উপস্থিত অ্যাসিডিক প্রকৃতি এটিকে পেটে একটি বিষাক্ত পদার্থে পরিণত করতে পারে। ডাঃ আব্রু বলেন যে, এই পদার্থের সংস্পর্শে ক্রোনস রোগের মতো প্রদাহজনক রোগ হতে পারে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। ক্যারাজিনান এবং অন্যান্য কিছু ইমালসিফায়ার হালকা দই এবং মিষ্টি ছাড়া গ্রীক দইতে পাওয়া যায়। 


ডাঃ আব্রু বলেন যে, অন্ত্রে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার অবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে এবং এটি ক্রমাগত প্রদাহ সৃষ্টি করছে। এই প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি মাইক্রোবায়াল সিস্টেমে প্রচুর ব্যাঘাত ঘটায়। যেসব জিনিসগুলিতে ইমালসিফায়ার যোগ করা হয়, যেমন ক্রিমি জিনিস, চর্বিহীন দই এবং এই জাতীয় অন্যান্য জিনিস, এগুলি সবই ভালো ব্যাকটেরিয়ার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। ডাক্তাররা বলছেন যে, চিনাবাদাম মাখন, কফি ক্রিমারের বিকল্প, বাদামের দুধ, গ্রেটেড পনির এবং এনার্জি বারগুলিও কোলন ক্যান্সারের বিকাশ বাড়িয়ে তুলতে পারে।