Monday, September 1, 2025

বেশি হাবভাব বেড়ে গেছে, নিজেকে অনেক বড় সেলিব্রেটি মনে করছে’, সুস্মিতার আচরণে কটাক্ষ করছেন দর্শক



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর : কয়েক মাস আগেই অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়ের ঘর ভেঙেছেন। সাংবাদিক সব্যসাচী চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হতেই চর্চায় উঠে আসে। অনেকেই তাকে সমর্থন করেছেন তো আবার অনেকে সমালোচনার মুখে ফেলেছেন। তবে নিন্দুকের কথা পাত্তা না দিয়েই নিজের ব্যবসা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।


সুস্মিতা এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী। নিজের অফিস খুলেছেন, ছেলেমেয়েদের চাকরি দিয়েছেন। তিনি আরও একটি নতুন সংস্থা খুলেছেন যার নাম ‘ক্লিয়ারকাট’।


তবে সুস্মিতার সাজসজ্জা, হাবভাব নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তার বেশ কিছু ভিডিওতে তার কথাবার্তা, ছবিতে তার সাজসজ্জা দেখে অনেকের মনে হচ্ছে তিনি পাল্টে গেছেন।


বিশেষ করে অভিনেত্রীর হাবভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। অনেকের দাবি সুস্মিতা নাকি নিজের ব্যক্তিত্ব থেকে সরে যাচ্ছে। আবার কারো মতে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে আসার চেষ্টা করছেন।


অনেকে লিখেছেন, “সায়েন্স সিটি প্রাঙ্গণে এবং মঞ্চে দু’জন বাউন্সার নিয়ে এমনভাবে সুস্মিতা হেঁটে আসছে যেন নিজেকে কত বড় সেলিব্রেটি ভাবছেন তিনি।’


যদিও নিন্দুকদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী। তার কিছু ছবি পোস্ট করে সুস্মিতা লেখেন, “যারা আমার লড়াইয়ের পাশে থেকে আমার কাজকে বাহবা দিয়েছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। যারা আমার লড়াইয়ের পাশে থেকে আমার কাজকে বাহবা দিয়েছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। উফ এই বাউন্সার গুলো আবার কোথায় গেল।”

টিভি ছাড়িয়ে বড় পর্দায় আয়েন্দ্রি, কোন চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে?



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর : অদ্রিজা রায় থেকে দেব চন্দ্রিমা সিংহ রায়, বর্তমানে অনেক বাঙালি অভিনেত্রী মুম্বইতে পাড়ি দিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন ছোটপর্দার আরও এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী আয়েন্দ্রী রায়। সুদূর মুম্বাই পাড়ি দিলেন অভিনেত্রী। শুধু মুম্বই পাড়ি দেওয়া নয়, সেখানে একটি হিন্দি প্রজেক্টে কাজ শুরু করে দিয়েছেন অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমে সেই সুখবর প্রকাশ্যে আনলেন তিনি।


বাংলা সিরিয়ালে নেগেটিভ কিংবা পজিটিভ চরিত্রে অভিনয় করে অল্প সময়ে দর্শকের নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী আয়েন্দ্রী রায়। বর্তমানে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’-তে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে আয়েন্দ্রী কে। তবে এবার টেলিভিশনের গন্ডি পেরিয়ে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছেন অভিনেত্রী।


সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেন আয়েন্দ্রী। সেখানে তাকে দেখা যায় ডাবিং রুমে। অভিনেত্রীর এই ছবি ঘিরেই গুঞ্জন, তবে কি নতুন কোন প্রোজেক্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিনেত্রী?


একদমই তাই, টলিউডের বড়পর্দায় অভিনয় করতে চলেছেন আয়েন্দ্রী। রাহুল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত নতুন প্রেমের গল্প ‘মন মানে না’ ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে আয়েন্দ্রীকে।


ছবিতে মুখ্য চরিত্রে থাকছেন ঋত্বিক ভৌমিক, সৌম্য মুখোপাধ্যায় এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে হিয়া চট্টোপাধ্যায়। ঋত্বিকের প্রাক্তন প্রেমিকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন আয়েন্দ্রী। ইতিমধ্যেই ছবিটি ঘিরে কৌতূহল বাড়ছে দর্শকদের মধ্যে।

"ভারত এখন শুল্ক কমাতে চাইছে, কিন্তু দেরি হয়ে গেছে", নয়া দাবী ট্রাম্পের

 


প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৫০:০১ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও শুল্ক নিয়ে ভারতকে লক্ষ্য করে বলেছেন। তিনি বলেছেন যে "ভারতের সাথে একতরফা সম্পর্ক রয়েছে। ভারত আমাদের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, তাও অন্য যেকোনও দেশের তুলনায়।" ট্রাম্প বলেছেন যে "খুব কম লোকই বোঝে যে আমরা ভারতের সাথে খুব কম বাণিজ্য করি, যদিও তারা আমাদের সাথে প্রচুর বাণিজ্য করে।"


তিনি বলেছিলেন যে তারা (ভারত) আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে, কিন্তু আমরা খুব কম বিক্রি করি। ভারত তার বেশিরভাগ তেল এবং সামরিক পণ্য রাশিয়া থেকে কিনে, আমেরিকা থেকে খুব কম। তারা এখন তাদের শুল্ক সম্পূর্ণরূপে কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাদের বহু বছর আগেই তা করা উচিত ছিল। ট্রাম্প বলেছেন যে ভারতের অনেক আগেই শুল্ক কমানো উচিত ছিল।

ট্রাম্পের ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এই অবনতির পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে। আসলে, আমেরিকা চায় না ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনুক। সম্প্রতি তারা এর আপত্তি জানিয়েছিল। আমেরিকা বলেছিল যে ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনছে এবং তা থেকে বিপুল লাভ করছে। ভারত এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।

তিনি বলেন, "ভারত বলেছিল, রাশিয়া থেকে আমাদের ক্রয় বিশ্ব বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে। রাশিয়ান তেল কিনে আমরা বিশ্বব্যাপী তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করেছি। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলি নিজেরাই আমাদের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে। ভারত বলেছে যে সে রাশিয়ান তেল কেনা চালিয়ে যাবে।"

ট্রাম্পের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন চীনের তিয়ানজিনে ভারত-রাশিয়া ও চীন জোট দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে যে ট্রাম্প কি ভারত-রাশিয়া ও চীন জোটে ভীত? তিয়ানজিনে প্রধানমন্ত্রী মোদী, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন এবং শি জিনপিংয়ের মধ্যে অসাধারণ কূটনীতি দেখা যাওয়ায় এসসিও এবং ব্রিকসের শক্তির কারণে ট্রাম্প কি টেনশনে পড়েছিলেন?

রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা দেশের শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে কেন ক্ষেপিয়ে দেয় আমাদের ? জানলে চমকে যাবেন


ডেস্ক বিশ্লেষণ: রাশিয়ান তেল কেনা নিয়ে এবার জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করলেন ট্রাম্পের বাণিজ্য পরামর্শদাতা পিটার নাভারো। নাভারো বলেন, “ভারত ক্রেমলিনের জন্য লন্ড্রি ছাড়া আর কিছুই নয়…আপনি ভারতীয় জনগণের খরচে ব্রাহ্মণদের মুনাফা অর্জন করতে সাহায্য করেছেন। আমাদের এটি বন্ধ করা দরকার।” কিন্তু কেন হঠাৎ ব্রাহ্মণদের কথা বললেন তিনি, সেই বিষয়ে কিছুই খোলসা করেননি নাভারো। 


নাভারোর মন্তব্য ডিকোড করে অনুমান করলে দাঁড়ায়, দেশের যারা তেল শোধন করে বিক্রি করছেন সেই শিল্পপতিদের কথা বলতে চেয়েছেন তিনি। আমাদের দেশের অনেকেই বলতে পারেন প্রধান মন্ত্রী নিজেদের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি বা ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে ভূ রাজনীতিতে শত্রু বাড়ালেন। স্থিরতা নেই ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। 


আমাদের দেশের রাজনীতিকরা সাধারণত জনগনকে শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার চল শুরু হয়েছে ইন্দিরা শাসনকাল থেকে। তখন টাটা ছিল। বর্তমানে আদানি, আম্বানী ইত্যাদি ইত্যাদি কয়েকজন আছেন। যাদের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে দেওয়া হয় নানা মন্তব্য করে। তাদের ঋণ মওকুব থেকে নানা বিষয়ে আগুন ঝরা মন্তব্য করেন। কেন করেন তারা? যাদের নামে বলছেন তাদের পণ্য হাতে নিয়ে, কাছে রেখে বা ব্যবহার করে তাদের নামেই বলছেন। এসবের পিছনে আছে অর্থনৈতিক রাজনীতির বিরাট ছক। 


দেশের শিল্পপতিদের শ্রী বৃদ্ধি আটকে দিতে পারলে তাদের পণ্য উৎপাদনের রকমফের হবে না। ওই পণ্য গুলো বিদেশ থেকে আনতে হবে। গল্পটা এখানেই। সেসবের বিস্তারিত লিখলে চাপ আছে। বুঝে নিন। যদিও রাজনৈতিক দলগুলোর অন্ধ অনুগামী পোষ্যরা মানতেই চাইবেন না। 


বর্তমান সময়ের আলোচিত পণ্যের মধ্যে আছে, আমেরিকার অ্যাপল ও বোয়িং। ফ্রান্সের ড্যাসল্ট। সংস্থাগুলো দেশগুলির সরকারি নয়। তবে তারা কাদের কাছে কোন শর্তে পণ্য বিক্রি করবে তা নির্ধারণ করেন দেশগুলো। তেমনি তেল রাশিয়ার সংস্থা গুলোর সাথে ভারতীয় সংস্থা গুলো ব্যবসা করে এবং বিক্রি ব্যবসা করে। এক্ষেত্রে সরকারের নানা অংশগ্রহনে মুনাফা আসে। 


ট্রাম্প চীনের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপালে চীন আমেরিকান বিমান তৈরি সংস্থার বোয়িং বিমান কেনা চুক্তি বাতিল করলে ট্রাম্প প্রশাসন বোয়িং প্রতিষ্ঠানকে বলেন, চীনকে কোনও সরঞ্জাম পাটানো যাবেনা। চীনের কাছে থাকা বোয়িং বিমান রক্ষণাবেক্ষণ করতে বিপদে পড়েছে । তেমনি ট্রাম্প অ্যাপল সংস্থাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। অ্যাপল কথা শোনেনি। 


এভাবেই আমেরিকা বিশ্বের বহু দেশকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তাদের সাম্রাজ্যবাদের রোলার চালায়। মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয় না। উন্নতি নিয়ন্ত্রণ করে। 


আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতারা যেভাবে শিল্পপতি বা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে দেয় তা আমেরিকায় হয় না। জাপানে হয় না। ফ্রান্সে হয় না। রাশিয়ায় হয় না। চীনে হয় না। বিশ্লেষণ করলে প্রশ্ন ওঠে স্বদেশী আন্দোলনের দেশ ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর কেন পণ্য উৎপাদনে রাজনৈতিক সহযোগীতা না করে রাজনৈতিক বিরোধীতা করে। জনগনকে ক্ষেপিয়ে দেওয়া হয় শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে। 


গরিবদের চিন্তায়? এসি গাড়ি বাড়িতে অভ্যস্ত নেতারা নেতাদের অর্থনৈতিক দৈন্যতা নিয়ে সত্যিই যদি উদ্বিগ্ন হতেন তাহলে শ্রম আইন প্রয়োগ করে শিল্প সংস্থা গুলোকে সহযোগীতা করতে পারে পণ্য উৎপাদনে। সেটা কি বাস্তবে সর্বত্র এদেশে হয় ? সংসদ থেকে মাঠে ঘাটের মঞ্চ কাঁপিয়ে দেশের শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে দেন রাজনীতিকরা আমরা বিদেশি মোবাইল কিনে সেগুলো দেখি। ওই ফোনগুলো কিনতে তো বিদেশী সংস্থা ‌ ও দেশকে কর দিতে হয়। তারা বড় লোক হয়। আমরা বেশি দামে কিনি। খরচ তো আমাদের হয়। 


নাভারোর ব্যবহার করা ব্রাক্ষণ আর আমাদের দেশের শিল্পপতি যদি এক হয় তাহলে ট্রাম্প প্রশাসনের সুরেই এতদিন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা কেন আমাদের ক্ষেপিয়ে দিচ্ছিল ? বেশি খুলে বললে চাপ আছে। বুঝে নিন পাঠক সমাজ। ভাবুন, ঠিক বুঝে যাবেন কি বলতে চাইছি আমি। কি বোঝাতে চাইছি আমি। 


কেন বিদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যায় আমাদের দেশের পড়ুয়ারা। দেশের নেতারা তাদের টাকা দিয়ে তো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে কম খরচে পড়তে দিতে পারত। গরিব, মধ্যবিত্তদের উদ্বিগ্ন হওয়া নেতারা আমাদের পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষার জন্য লোন দেওয়া ছাড়া কিছু করেছে কি? এটাই ওদের গরীব দরদ। মানব দরদ। 


রাজনৈতিক দলগুলোর ভক্ত পোষ্য অনুগামী হয়ে কি পেয়েছি? কতটা সুস্থ আমরা? আমরা কেমন আছি। নেতারা কেমন আছে? নেতা হয়ে হঠাৎ কেন এত শ্রীবৃদ্ধি? এসবগুলো নিয়ে ভাবতে দোষের কি? আমাদের পণ্য করে নেতাদের আর্থিক বৃদ্ধি তাদের সন্তানদের বৃদ্ধি যতটা হচ্ছে আমাদের ঠিক ততটাই ক্ষয় হচ্ছে। বিপাকে পড়ছি। সেই হিসেবটা না করে রাজনৈতিক দলের নেতার গালমন্দ করছি। এই বিকলাঙ্গ মানসিকতা ত্যাগ করলেই অনেক পরিবর্তন দেশের ও জনগনের।

‘জোয়ার ভাটা’র জন্য আচমকাই বন্ধ হল জনপ্রিয় মেগা ধারাবাহিক



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর : জি-বাংলার নতুন মেগা ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’। যার মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি এবং অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। দুই বোনের গল্প নিয়ে তৈরি এই মেগা ধারাবাহিক।


ধারাবাহিকের প্রোমো অনুযায়ী, বড়ো বোন নিশা (শ্রুতি), যে কিনা গুন্ডামি করে টাকা অর্জন করে, অন্যদিকে উজি (আরাত্রিকা) ছোট বোন পড়াশুনো করে সৎ পথে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়।


প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে গুন্ডাদের সাথে মারপিট করে টাকা আদায় করছে শ্রুতি, অন্যদিকে আরাত্রিকা পরীক্ষায় বসছে। দিদি’র খবর পেয়ে পরীক্ষার হল থেকে ছুটে বেরিয়ে যায়। পুলিশের হাত থেকে দিদিকে বাঁচায়।


দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সল্ট পেল শ্রুতি দাস এবং আরাত্রিকা মাইতির নতুন মেগা ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’। রাত ৯টার স্লট দেখা যাবে এই মেগা ধারাবাহিকে অর্থাৎ চিরসখার বিপরীতে লড়বে এই নতুন মেগা।


দুই বোনের গল্প বলবে এই নতুন মেগা। একেবারেই অন্যরকম ধারাবাহিক হতে চলেছে। আশা করা যাচ্ছে, ভালো টিআরপি আসতে পারে। ৮ ই সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ‘জোয়ার ভাঁটা’। এবার দেখার বিষয় হাইভোল্টেজ ড্রামা চিরসখার সাথে লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারে কিনা?


তবে এই নতুন ধারাবাহিকের জন্য বন্ধ হয়ে গেল আরেক জনপ্রিয় মেগা ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’। শ্যামলী আর অনিকেতে গল্প ফুরলো। খুব সম্ভবত শ্যামলী মা হওয়া দেখিয়ে বন্ধ হবে। হ্যাপি এন্ডিং দেখিয়ে গল্প সমাপ্ত করবেন নির্মাতারা। তবে আচমকাই কোন গোপনে শেষ হওয়ার মন ভেঙেছে ভক্তদের।

অভিনয়ের পর এবার নতুন পেশায় পা রাখতে চলেছেন যিশু সেনগুপ্ত

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর : বর্তমানে টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। টেলিভিশনের পর্দায় পা রেখে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন যিশু। ‘চৈতন্য মহাপ্রভু’ ধারাবাহিকটি এনে দেয় বিপুল জনপ্রিয়তা। একেরপর এক হিট বাংলা ছবি থেকে শুরু করে বলিউডেও নিজের পরিচিতি গড়েছেন অভিনেতা। সম্প্রতি ‘খাদান’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে।


টলিউড থেকে শুরু করে বলিউড, সর্বত্রই প্রথম সারির নায়কদের টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গেছেন অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। অভিনয়ের পর নতুন পেশায় পা রাখলেন অভিনেতা। এবার পরিচালকের আসনে যিশু সেনগুপ্ত।


দুর্গাপুজোর আর বাকি মাত্র একমাস তার আগেই পুজোর নতুন গান নিয়ে আসছে যিশু সেনগুপ্ত ও সৌরভ দাসের প্রযোজনা সংস্থা ‘হোয়াই সো সিরিয়াস’। যেখানে পরিচালনার আসনে রয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত। ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্তের সুরে অন্তরা মিত্রর কন্ঠে শোনা যাবে ‘দুগ্গা মা এসেছে’। গানটি লিখেছেন প্রসূন।


মুখ্য ভূমিকায় থাকছেন কোন অভিনেতা অভিনেত্রী? জানা যাচ্ছে, এই গানের প্রধান মুখ হিসাবে রয়েছেন অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। এছাড়াও থাকছেন ইন্দ্রাশিস রায় ও রাহুল মজুমদার। ইতিমধ্যে গানের শুটিং শেষে প্রকাশ্যে এসেছে লাল শাড়িতে দর্শনা বণিকের প্রথম ঝলক।


যিশু সেনগুপ্তর কথায়, “পুজো আমাদের কাছে রিইউনিয়নের মতো। গোটা পাড়াটাই যেন একটা পরিবারের মতো হয়ে ওঠে৷ বন্ধুত্ব, প্রেম, খুনসুটি সব রকমের আবেগ মিলেমিশে যায় উৎসবকে কেন্দ্র করে। এই মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে সেরকম একটা গল্প বলতে চেয়েছি।”

মোদী-পুতিন বৈঠকে ল্যাভরভ রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির পাশে বসেছিলেন, তাহলে ভারতের পক্ষ থেকে দায়িত্ব নিলেন কে?


 সোমবার সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠকটি নানা কারণে খবরে ছিল। চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পুতিনের পাশে বসেছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ভারতের পক্ষ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যগত কারণে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।


এই গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ইউক্রেন সংকট থেকে শুরু করে জ্বালানি সহযোগিতা পর্যন্ত অনেক বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনার সময় মোদী এবং পুতিন আবারও ভারত-রাশিয়া অংশীদারিত্বের শক্তির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও এই সম্পর্ক শক্তিশালী থাকবে।

অজিত ডোভাল কূটনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন
বিদেশমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অজিত ডোভাল ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চে, ডোভাল কেবল নিরাপত্তা ও কৌশলগত বিষয়ে ভারতের পক্ষই উপস্থাপন করেননি, বরং রাশিয়া এবং অন্যান্য সদস্য দেশগুলির সাথে সংলাপের দায়িত্বও গ্রহণ করেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এনএসএর এই ভূমিকা ভারতের কূটনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির ইঙ্গিত দেয়।

মোদি-পুতিন একসাথে একটি অরাস গাড়িতে করে এসেছিলেন
এই বৈঠকের আরেকটি আকর্ষণীয় মুহূর্ত আসে যখন রাষ্ট্রপতি পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি রাশিয়ায় তৈরি একটি অরাস সেডান গাড়িতে একসাথে চড়েন। উভয় নেতা এই গাড়িতে রিটজ-কার্লটন হোটেলে পৌঁছান, যেখানে তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।



প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ এই বিশেষ গাড়ি যাত্রা সম্পর্কে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, "এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির পর, রাষ্ট্রপতি পুতিন এবং আমি একসাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকস্থলে গিয়েছিলাম। তার সাথে কথোপকথন সর্বদা তথ্যবহুল।"

এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের এজেন্ডা

মোদী-পুতিন বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার কৌশল এবং আঞ্চলিক সংযোগের মতো বিষয়গুলিও আলোচনা করা হয়েছিল। ল্যাভরভ রাশিয়ার পক্ষ থেকে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন এবং তাকে ধারাবাহিকভাবে নোট নিতে দেখা গেছে। একই সময়ে, ডোভাল ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনা এগিয়ে নিয়েছিলেন।

জয়শঙ্করের অনুপস্থিতি

বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের অনুপস্থিতি নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা উঠে এসেছে। সূত্র বলছে যে তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি। তবে, বিদেশ মন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।

ভারত-রাশিয়া অংশীদারিত্বের উপর আস্থা

ভারত ও রাশিয়া কয়েক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ অংশীদার। প্রতিরক্ষা চুক্তি হোক, জ্বালানি সরবরাহ হোক বা বৈশ্বিক ফোরামে সমর্থন হোক, উভয় দেশই সর্বদা একে অপরকে সমর্থন করে আসছে। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে মোদী এবং পুতিনের সাক্ষাৎ আবারও এই সম্পর্কের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

অজিত ডোভালের উপস্থিতি এই বার্তাও দিয়েছে যে ভারত কূটনৈতিক স্তরে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত এবং বিদেশমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেও তার প্রতিনিধিত্ব শক্তিশালী হাতে রয়েছে।

১০ মিনিট অপেক্ষা, গাড়িতে ৪৫ মিনিট কথা... প্রধানমন্ত্রী মোদী ও পুতিনের বন্ধুত্বের আলোচনা সর্বত্র


সোমবার যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন চীনের তিয়ানজিনে সাক্ষাৎ করেন, তখন সকলের দৃষ্টি তাদের উপর নিবদ্ধ ছিল। দুই নেতা একে অপরের সাথে এমনভাবে সাক্ষাৎ করেন যেন একজন বন্ধুর সাথে দেখা হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করেন যাতে তারা উভয়েই তাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য একসাথে এগিয়ে যেতে পারেন। এই সাক্ষাৎ সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের স্থান থেকে কিছু দূরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।


জানা গেছে যে পুতিন এসসিও শীর্ষ সম্মেলন স্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে ভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি দুই নেতার মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে চীনের তিয়ানজিনে শীর্ষ সম্মেলন স্থলের বাইরে তার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগমনের সময়, তারা উভয়েই একই গাড়িতে তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকস্থলে যান। তারা যে গাড়িতে ভ্রমণ করেছিলেন তা ছিল পুতিনের অরাস লিমোজিন।

পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী গাড়িতে একসাথে বসেছিলেন

তাদের সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আরও জানা গেছে যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকস্থলে পৌঁছানোর পরেও তারা গাড়িতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় কাটিয়েছিলেন। যৌথ গাড়ি ভ্রমণের পরপরই, প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি পোস্টে লিখেছেন, "এসসিও শীর্ষ সম্মেলন স্থলে কার্যক্রমের পর, রাষ্ট্রপতি পুতিন এবং আমি একসাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকস্থলে ভ্রমণ করেছি।"

পুতিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে 'প্রিয় বন্ধু' বলেছেন

দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উদ্বোধনী ভাষণে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জি' (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) এবং 'প্রিয় বন্ধু' বলে সম্বোধন করেছেন। চীনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) বৈঠকের ফাঁকে পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির অনুবাদকরা হিন্দি এবং রাশিয়ান ভাষায় কথোপকথন করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে দেখা করতে পেরে পুতিন খুশি

পুতিন বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রিয় বন্ধু, ২১শে ডিসেম্বর ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আমাদের 'বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব' অর্জনের ১৫ বছর পূর্ণ করবে। আমাদের একটি বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে আমাদের সম্পর্ক নীতি-ভিত্তিক এবং বহুমুখী সহযোগিতা রয়েছে।" তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আরও বলেন যে তিনি তার সাথে দেখা করতে পেরে "খুশি"। তিনি বলেন, "আপনার সাথে দেখা করতে পেরে আমি খুব খুশি। আজকের বৈঠক ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।"

সংলাপ হল একজন অক্ষম অভিনেতার আত্মরক্ষার বর্ম’, বললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর : বাংলা চলচ্চিত্র জগতে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনলেই মনে পড়ে নজরকাড়া সব অভিনয়, যা কখনও দর্শকদের হাসিয়েছেন আবার কখনও তার অভিনয়ে চোখে জল এসেছে দর্শকের। বছরের পর বছর এভাবেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে চলেছেন তিনি।


ভালবাসার অনেক নাম , বোম্বাইয়ের বোম্বেটে, রয়েল বেঙ্গল রহস্য, গোঁসাইবাগানের ভূত, দ্য জাপানিজ ওয়াইফ, টনিক, বব বিশ্বাস, বাদশাহী আংটি, ছায়াময়, গয়নার বাক্স, প্রলয়, কিডন্যাপার , যেখানে ভূতের ভয় , ভূতের ভবিষ্যৎ, নোবেল চোর ইত্যাদি তার অভিনীত কয়েকটি সেরা চলচ্চিত্র। বর্তমানেও দাপটের অভিনয় করে চলেছেন তিনি। এখনো প্রধান, টেক্কার মতন ছবিতে অভিনয় করে চলেছেন।


বর্তমান সময়ের অভিনয়ের ধরন, এমনকি অক্ষম অভিনেতাদের নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মনের কথা জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


অভিনেতার কথায়, ‘সিনেমাতে সংলাপ হলো একজন অক্ষম অভিনেতার আত্মরক্ষার বর্ম। যেখানে সংলাপ বলা যাবে না অথচ অনেক কিছু বোঝানো যাবে সেটাই হলো সিনেমা। সেক্ষেত্রে সংলাপ একজন অক্ষম অভিনেতার আত্মরক্ষার বর্ম, যে অভিনয় করতে জানে না সংলাপ তাকে রক্ষা করে। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ল্যাঙ্গুয়েজ এবং শ্রেষ্ঠ ল্যাঙ্গুয়েজ হলো বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। যখন ভাষার উৎপত্তি হয়নি তখন তো এই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়েই মনের ভাব প্রকাশ করা হতো।’


সংলাপ বলা ছাড়াও একজন দক্ষ অভিনেতা নিজের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেই দর্শকের কাছে নিজের চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে পারে এমনটাই বোঝাতে চেয়েছেন অভিনেতা।

‘ব্রাহ্মণরা মুনাফাখোরি করছে’, রুশি তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্প উপদেষ্টার বিস্ফোরক মন্তব্য



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৯:০১ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতকে রাশিয়ান তেল কিনে লাভবান করার অভিযোগ করেছেন। নাভারো বলেন, 'ভারত ক্রেমলিনের জন্য অর্থ পাচারের যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনি দেখেছেন যে ব্রাহ্মণরা ভারতীয় জনগণের ব্যয়ে লাভ করছে। আমাদের এটা বন্ধ করতে হবে।' নাভারো অভিযোগ করেছেন যে ভারতীয় শোধনাগারগুলি সস্তা দামে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কিনছে এবং পরিশোধন করার পরে, তারা এটি বেশি দামে রপ্তানি করছে।


পিটার দাবী করেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ভারত রাশিয়া থেকে খুব বেশি তেল কিনত না, কিন্তু এখন তারা রাশিয়ান যুদ্ধযন্ত্রকে প্রচার করছে। এর ফলে ইউক্রেনের মানুষ নিহত হচ্ছে, অথচ করদাতা হিসেবে আমাদের কী করার আছে? আমাদের তাদের আরও অর্থ পাঠাতে হবে।

নাভারো ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপের ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকেও সমর্থন করেছেন। তিনি আরও দাবী করেছেন যে মস্কো এবং বেইজিংয়ের সাথে নয়াদিল্লীর সম্পর্ক বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করছে। নাভারো বলেন, "মোদী একজন মহান নেতা, আমি বুঝতে পারছি না কেন তিনি পুতিন এবং শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করছেন, যদিও এটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র।"

নাভারো এই কথাগুলি এমন এক সময়ে বলেছিলেন যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য চীনে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেছেন। ৭ বছরের মধ্যে এটি ছিল মোদীর প্রথম চীন সফর। প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথেও দেখা করবেন। এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন আমেরিকা ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তীব্র বক্তব্য রাখছে।

২৯ আগস্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেছিলেন যে ভারতের উপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে পুতিনের যুদ্ধযন্ত্রকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২৮ আগস্ট নাভারো রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকে মোদীর যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছিলেন। নাভারো অভিযোগ করেছিলেন যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনে এই যুদ্ধে ইন্ধন জোগাচ্ছে।

'হাইড্রোজেন বোমা আসছে, মোদীজি দেশকে মুখ দেখাতে পারবেন না', ভোট চুরি ইস্যুতে রাহুলের নতুন প্রকাশ



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪২:০২ : আজ বিহারে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবের ভোটার অধিকার যাত্রার শেষ দিন। সমাপনী সমাবেশে রাহুল গান্ধী এখন একটি বড় ঘোষণা করেছেন। ভোট চুরি নিয়ে রাহুল গান্ধী ক্রমাগত বিজেপিকে কোণঠাসা করে চলেছেন। এদিকে, তিনি এখন বলেছেন, "আমরা মহাদেবপুরায় পরমাণু বোমা ফেলেছি, এখন হাইড্রোজেন বোমা আসতে চলেছে। মোদীজি দেশকে মুখ দেখাতে পারবেন না।"

বিহারে SIR (ভোটার তালিকা সংশোধন) এবং ভোট চুরির বিরুদ্ধে ১৭ আগস্ট এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই যাত্রা সাসারাম থেকে শুরু হয়েছিল। এই যাত্রা বিহারের প্রায় ২৫টি জেলা জুড়ে ১৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখন এটি পাটনায় শেষ হচ্ছে। অনেক বিরোধী নেতা এই যাত্রায় জড়িত।

রাহুল গান্ধী যাত্রার সমাপ্তিতে বলেন, "এই যাত্রা বিহারে শুরু হয়েছিল এবং আমরা এর নাম দিয়েছি ভোটার অধিকার যাত্রা। শিবসেনা নেতারা এখানে বসে আছেন। মহারাষ্ট্রে NCP, কংগ্রেস এবং শিবসেনা থেকে নির্বাচন চুরি করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর ভোটার তালিকায় প্রায় ১ কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়। নতুন ভোটাররা এসে ভোট দেয়। আমাদের জোট লোকসভায় বিধানসভায় যত ভোট পেয়েছিল, লোকসভায়ও তত ভোট পেয়েছে। নতুন ভোট সব বিজেপির অ্যাকাউন্টে গেছে। আমরা লোকসভায় জিতেছি কিন্তু বিধানসভায় আমাদের তিনটি শক্তিশালী দলই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।"

রাহুল গান্ধী আরও বলেন, "কারণ নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি একসাথে ভোট চুরি করেছে। এরপর আমরা স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি যে মহাদেবপুরার একটি এলাকায় ১ লক্ষেরও বেশি ভুয়ো ভোটার রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের ভোটার তালিকা এবং ভিডিওগ্রাফি দেয় না।"

রাহুল গান্ধী ভোট চুরির অর্থ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, "ভোট চুরি মানে অধিকার চুরি, ভোট চুরি মানে সংরক্ষণ চুরি, ভোট চুরি মানে কর্মসংস্থান চুরি, ভোট চুরি মানে শিক্ষা চুরি, ভোট চুরি মানে গণতন্ত্র চুরি, ভোট চুরি মানে তরুণদের ভবিষ্যতের চুরি। তারা কেবল ভোট নিচ্ছে না, তারা তোমাদের জমি, তোমাদের রেশন কার্ড, সবকিছু কেড়ে নেবে। তারা আদানি এবং আম্বানিকে তা দেবে।"

রাহুল গান্ধী আরও বলেন, "মহাত্মা গান্ধীকে হত্যাকারী শক্তিগুলিই এই সংবিধানকে খুন করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদেরকে সংবিধান খুন করতে দেব না। সেই কারণেই আমরা বিহারে ভ্রমণ করেছি। বিহারের সমস্ত যুবক এই যাত্রায় আমি দাঁড়িয়েছি। উপরে। মাঝখানে, বিজেপির লোকেরা কালো পতাকা দেখাচ্ছে।"

রাহুল গান্ধী বলেন, "এখন বিজেপির এই গুরুত্বপূর্ণ কথাটি শোনা উচিত।" বিজেপি সম্পর্কে তিনি বলেন, "আপনারা পরমাণু বোমার নাম শুনেছেন, এর চেয়েও বড় একটি হাইড্রোজেন বোমা আছে। আমরা মহাদেবপুরায় একটি পরমাণু বোমা ফেলেছি। বিজেপির লোকেরা, প্রস্তুত হন, হাইড্রোজেন বোমা আসছে। ভোট চুরির সত্যতা পুরো দেশ জানতে পারবে। হাইড্রোজেন বোমার পর, মোদীজি এই দেশকে মুখ দেখাতে পারবেন না।"

ভোলে বাবা পার করেগা-তে নতুন রূপে মধুমিতা, প্রকাশ্যে প্রোমো



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর : প্রতিদিনই নতুন নতুন ধারাবাহিক শুরু হওয়ার খবর জানতে পারি আমরা। ইতিমধ্যে জি বাংলা, স্টার জলসার পর্দায় বেশ কিছু নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে। আবার বেশি কিছু ধারাবাহিক শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। বেশ কিছু নতুন ধারাবাহিকে যেমন নতুন নায়ক-নায়িকাকে দেখেছি আমরা আবার তেমন অনেক ধারাবাহিকে পুরনো অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও ফিরেছেন।


অবশেষে মধুমিতার নতুন ধারাবাহিকের প্রোমো প্রকাশ পেল স্টার জলসার পর্দায়। ধারাবাহিকের নাম ‘ভোলে বাবা পার করে গা’। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের প্রোমপ প্রকাশ পেয়েছে। শেষবার মধুমিতাকে ছোট পর্দায় কুসুমদোলা ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। তারপরই বড় পর্দায়, ওয়েব সিরিজে কাজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। তবে তার ছোট পর্দায় ফেরার কথা শুনে সকলেই খুশি হয়েছিলেন।

কুসুম দোলা ধারাবাহিকের বহু বছর পর আবার পর্দায় কামব্যাক অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের। বড়পর্দা ছেড়ে আবারও ছোটপর্দায় মন অভিনেত্রীর। বেশ কিছু আগেই খবর সামনে এসেছিলেন। তার বিপরীতে নায়ক হিসাবে দেখা মিলবে অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যের।


প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, আগের ধারাবাহিকের মতো শান্তশিষ্ট মেয়ে নয়, বরং প্রাণবন্ত, চঞ্চল রকস্টার রুপে মধুমিতা। যিনি ব্রান্ডের হয়ে গান গায়। ধারাবাহিকের প্রোমোতে মধুমিতাকে এরকম রুপে দেখে অবাক হয়েছেন দর্শকেরা। তবে তার ফেরার খবরে খুশি সকলে।

অভিনেত্রী মাচা অনুষ্ঠান করেন শুধু টাকার জন্য, শ্বেতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ দর্শক!



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর : বাংলা টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন শ্বেতা ভট্টাচার্য। যিনি একাধিক বাংলা ধারাবাহিকে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে শ্যামলী চরিত্রে অভিনয় করছেন।


বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনার শিরোনামে রয়েছেন ছোটপর্দার ‘শ্যামলী’ ওরফে শ্বেতা ভট্টাচার্য। বাংলা সিরিয়ালে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তবে এবার অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়ল।


শ্বেতা জানান, “মাচা অনুষ্ঠান করতে আমার ভালো লাগে না, মাথার উপর অনেক দায়িত্ব, টাকার দরকার তাই এই ধরনের শো করি।” সম্প্রতি শ্বেতার মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দর্শকমহল।


একটা সময় প্রতিটি পাড়ার প্রাণকেন্দ্র ছিল মাইক বাজিয়ে মাচা অনুষ্ঠান, যদিও সময়ের সঙ্গে বদলেছে অনুষ্ঠানের ধরন। তবে শ্বেতার এমন মন্তব্য অনেকের কাছে আত্মসন্মান জনক। অনেকেই মনে করেছেন মাচা মঞ্চকে হেয় করেছেন শ্বেতা।


শ্বেতার মন্তব্যে একজন লিখেছেন, ‘যেই জায়গা টা আপনি ভালোবাসেন না, সেই জায়গাটা অনেক শিল্পীর কাছে মন্দির। বেশি ভালো সাজতে সাজতে ভুলভাল কথা বলে ফেলছেন।’ অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করে একজন লেখেন, ‘কত বড় বড় শিল্পীরা মাচা করছেন, আর উনি কি যে বলেন নিজেই জানে না, তাহলে এই পেশায় উনার আসা উচিত হয়নি।’ অন্য এক নেটিজেন লিখেছেন, অতিরিক্ত ভালো সাজতে গেলে যা হয়! সিম্প্যাথী নিতে পছন্দ করে সবসময়! ১৫ বছর ধরে অভিনয় করছে এরপরও ওর টাকার অভাব ফুরায় না! কতটাকা লাগে বাপু।

ভূমিকম্পে হাহাকার আফগানিস্তানে! প্রানহানি বেড়ে ৮০০, পাশে থাকার বার্তা ভারতের



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২০:০১ : রবিবার (৩১ আগস্ট) আফগানিস্তানে আঘাত হানা ভূমিকম্পে ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, শত শত মানুষ আহতও হয়েছেন। কুনার প্রদেশে ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৬.০ ছিল। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে মৃতের সংখ্যা ২৫০ জনে পৌঁছেছিল, কিন্তু দুপুর নাগাদ তা ৮০০ ছাড়িয়ে যায়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টের মাধ্যমে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে এই কঠিন সময়ে ভারত আফগানিস্তানকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করবে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, ৩১ আগস্ট স্থানীয় সময় রাত ১১:৪৭ মিনিটে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং আট কিলোমিটার গভীরে। আফগানিস্তান ভূমিকম্পের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এটি বেশ কয়েকটি ফল্ট লাইনের উপরে অবস্থিত। ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেট এখানে মিলিত হয়। পূর্ব আফগানিস্তানের পাহাড়ি ভূখণ্ডও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে, যার ফলে জরুরি অবস্থায় উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়ে।

তালেবান সরকার উদ্ধার কাজের জন্য দল মোতায়েন করেছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে শত শত বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত বছর পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। তালেবান সরকার অনুমান করেছিল যে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে কমপক্ষে ৪,০০০ মানুষ নিহত হয়েছিল। এটি ছিল সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত দশকে আফগানিস্তানে ৭,০০০ এরও বেশি মানুষ ভূমিকম্পের কারণে মারা গেছে। ভূমিকম্পের ফলে প্রতি বছর গড়ে ৫৬০ জন মারা যায়।

এবার বড় পর্দায় জুটি বাঁধতে চলেছেন বিক্রম-কিরণ



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১ সেপ্টেম্বর :   টলিপাড়ার একজন জনপ্রিয় হ্যান্ডসাম নায়ক হলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। ছোটপর্দা হোক বা বড়পর্দা তাকে দেখলেই ঘুম উড়ে যায় মহিলা ভক্তদের। এতদিন তাকে দর্শক দেখেন কখনো প্রেমিক আবার কখনো অ্যাকশন হিরো হিসাবে।



তবে এবার বিক্রমকে দর্শক দেখবেন বাবা’র ভূমিকায়। ছবির নাম ‘বাবা’। ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী। দেড় বছরের এক শিশু এবং তার পিতার লড়াই ঘিরে তৈরি হবে ছবির গল্প।


সবচেয়ে বড় চমক পেশায় মডেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর কিরণ মজুমদার এই ছবির হাত ধরে প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখতে চলেছে। তাও আবার অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সাথে জুটি বেঁধে।


বিক্রম এবং কিরণের চরিত্র নাম থাকেব গৌরব আর রাই। নতুন ভূমিকায় সুযোগ পেয়ে ভীষণ খুশি বিক্রম। আজকাল ডট ইন-কে অভিনেতা জানান, জীবনে এই প্রথমবার বাবার চরিত্রে অভিনয় করছি। ফলে দর্শক আমাকে নতুন ভাবে পাবেন এই ছবিতে। সন্তানের জীবনে মায়ের ভূমিকা নিয়ে আমরা বেশির ভাগ সময়ে কথা বলে থাকি। কিন্তু সন্তানকে বড় করার জন্য, তাকে রক্ষা করার জন্য একজন সাধারন বাবা যে কতটা দূর যেতে পারে, সুপারহিউম্যান হয়ে উঠতে পারে, সেই গল্প নিয়ে এই ছবিটা’।


ছবিতে বিক্রম এবং কিরণ ছাড়াও থাকবেন অপরাজিতা আঢ্য, দেবরাজ ভট্টাচার্য, বিশ্বনাথ বসু, কাঞ্চন মল্লিক, অরিত্র গঙ্গোপাধ্যায় সহ একাধিক তারকা। বিশেষ চরিত্রে দেখা মিলবে মমতা শঙ্করের।

চীনে এসসিও বৈঠকে মোদী-পুতিন দীর্ঘ আলাপ: কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটলেন দুই নেতা, আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধও


 চীনে অনুষ্ঠিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের সময়, তিন বৃহৎ শক্তি ভারত, চীন এবং রাশিয়াকে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং একে অপরের সাথে দেখা করেছিলেন এবং একটি বৈঠক করেছিলেন। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের অনুষ্ঠানের পরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি পুতিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। একদিকে আমেরিকা বর্তমানে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করছে এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য তাদের লক্ষ্যবস্তু করছে, সেখানে দুই দেশের মধ্যে এই সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।


চীনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পর, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি পুতিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। চীনের তিয়ানজিনে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমি সবসময় মনে করি যে আপনার সাথে দেখা একটি স্মরণীয় বৈঠক। আমরা অনেক বিষয়ে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমরা ক্রমাগত যোগাযোগে রয়েছি। নিয়মিতভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে অনেক উচ্চ-স্তরের বৈঠক হয়েছে। ১৪০ কোটি ভারতীয় এই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আমাদের ২৩তম শীর্ষ সম্মেলনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এটি আমাদের বিশেষ অংশীদারিত্বের গভীরতা এবং প্রস্থকে প্রতিফলিত করে।"

“উভয় দেশই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়েছে”

রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারত ও রাশিয়া সবসময়ই কঠিনতম পরিস্থিতিতেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়েছে। আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা কেবল উভয় দেশের জনগণের জন্যই নয়, বরং বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা ইউক্রেনে চলমান সংঘাত নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করে আসছি। শান্তির জন্য সাম্প্রতিক সকল প্রচেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি সকল পক্ষ গঠনমূলকভাবে এগিয়ে যাবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এটি সমগ্র মানবতার আহ্বান।


প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে দেখা করে পুতিন আনন্দ প্রকাশ করেছেন

এই অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে দেখা করে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আপনার সাথে দেখা করে আমি আনন্দিত। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের সময় আমাদের দেখা হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা বিশ্বব্যাপী দক্ষিণ এবং পূর্বের দেশগুলিকে একত্রিত করে।

“ভারত রাশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার”

রাষ্ট্রপতি পুতিন এই অনুষ্ঠানে বলেন, এই সময় পুতিন বলেন, ভারত রাশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এই বৈঠক উভয়ের মধ্যে সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। কঠিন পরিস্থিতিতেও ভারত-রাশিয়া একসাথে ছিল। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সর্বদা জাতিসংঘ (UN) বা BRICS এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে একসাথে আমাদের আওয়াজ তুলেছি।

পুতিন বলেন, আজকের বৈঠক আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং এটি ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। এটি রাজনীতির বাইরে, কারণ এই সম্পর্কে জনগণেরও পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ২১শে ডিসেম্বর, আমাদের বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের ১৫ বছর পূর্ণ হবে। আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে আমাদের সম্পর্ক নীতির উপর ভিত্তি করে এবং অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা রয়েছে।

চীনের সার নিয়ে দুঃসংবাদ ভারতের

 


নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: চীন অক্টোবর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা পুনঃপ্রবর্তন করতে যাচ্ছে, যা দাম বাড়িয়ে কৃষকদের সরাসরি ক্ষতি করতে পারে, শনিবার একজন ঊর্ধ্বতন শিল্প কর্তা বলেছেন।


চীনের বিশেষায়িত সারের রপ্তানিতে সংক্ষিপ্ত শিথিলকরণ সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে, তবে এটি শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে, বেইজিং আগামী মাস থেকে কঠোর পরিদর্শন এবং চালান বিলম্ব সহ কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করছে।


চীন কি আবার সার সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে?

ভারত ও চীনের মধ্যে সমস্যাগুলি আপাতত সমাধান হয়ে গেলেও, নিষেধাজ্ঞার ধরণটি আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। "এটি একটি অস্থায়ী সমাধান কারণ চীন অক্টোবর থেকে রপ্তানি উইন্ডো বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা কেবল ভারতের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্ব বাজারের জন্য এটি বন্ধ করে দেবে," দ্রবণীয় সার শিল্প সমিতির সভাপতি রাজীব চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে পিটিআইকে বলেন।


  “একবার তারা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় অথবা সরবরাহ সীমিত করতে শুরু করে, তারা এটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে না। তারা পরিদর্শন আরোপ করে এবং চালান বিলম্বিত করে এটি সীমিত করে। তাই অক্টোবর থেকে সেই প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে,” চক্রবর্তী বলেন।


ভারতীয় সার কোম্পানিগুলি বর্তমান এক মাসের সময় পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য হিমশিম খাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী সোর্সিং সংস্থাগুলি নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগে তাদের সম্পূর্ণ মৌসুমী প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ওভারটাইম কাজ করছে।


“আমাদের বাজারে খুব ভালো গ্লোবাল সোর্সিং খেলোয়াড় রয়েছে যারা এই এক মাসের মধ্যে তাদের সম্পূর্ণ চালান এবং প্রয়োজনীয়তা সোর্সিং করবে। তাদের অনেকেই SFIA সদস্যও,” চক্রবর্তী বলেন।


শিল্প আশা করছে যে মধ্য মৌসুমের মধ্যে দেশীয় সরবরাহ পাওয়া যাবে, যা কিছু সরবরাহ সীমাবদ্ধতা পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, দাম বৃদ্ধি অনিবার্য বলে মনে হচ্ছে।


"আমরা এবার দাম বৃদ্ধি ছাড়া খুব বেশি প্রভাব দেখতে পাব না... যাই হোক, দাম বৃদ্ধি সরাসরি কৃষকদের উপর প্রভাব ফেলবে," তিনি যোগ করেন।


ভারত কীভাবে চীনের সারের উপর নির্ভরশীল?

২০০৫ সাল থেকে, যখন ইউরোপীয় সরবরাহকারীরা ভারতীয় বাজারে পরিবেশন করার জন্য চীন থেকে উৎস শুরু করে, তখন থেকে চীনা বিশেষায়িত সারের আমদানির উপর ভারতের নির্ভরতা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।


আজ, দেশটি তার বিশেষায়িত সারের ৮০ শতাংশ সরাসরি চীন থেকে আমদানি করে, বাকি ২০ শতাংশ পরোক্ষভাবে চীনা উৎসের মাধ্যমে লেনদেন হয়। ৫ শতাংশ NPK ফর্মুলেশন দেশীয়ভাবে উৎপাদিত হলেও, ভারত ৯৫ শতাংশ বিশেষায়িত সারের জন্য চীনা সরবরাহের উপর নির্ভরশীল।তবে, সময়টি কৃষিকাজে তাৎক্ষণিক ব্যাঘাত সীমিত করতে সাহায্য করেছে।


"এবার প্রভাব তেমন দৃশ্যমান ছিল না কারণ সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষায়িত সারের ব্যবহারের আসল মরসুম শুরু হয়, যেখানে বিভিন্ন অর্থকরী ফসল, আঙ্গুর, কলার মতো উদ্যান ফসল, কৃষকরা ড্রিপ সেচ ব্যবহার শুরু করে এবং তারপরে তারা দ্রবণীয় সার এবং বিশেষায়িত সার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে," চক্রবর্তী বলেন।

পুতিনের দৃঢ় পরিকল্পনা! ভারত ও চীনের সাথে একসাথে ডলারের জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি, গুন্ডামি ট্রাম্পকে চরম মূল্য দিতে হবে


 মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাম্ভিকতা এবং ভারত সহ বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলিকে ধমক দেওয়ার মনোভাব এখন তাকে চরম মূল্য দিতে চলেছে। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ১০টি দেশ ট্রাম্প এবং আমেরিকাকে জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এমনকি এসসিও প্ল্যাটফর্ম থেকে ডলারকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তিনি কোনও দ্বিধা ছাড়াই স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে সংস্থায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলি তাদের নিজস্ব মুদ্রায় ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেবে।


এসসিওর প্ল্যাটফর্ম থেকে আমেরিকাকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়া একটি স্বাধীন পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি এবং এসসিওর জন্য একটি সেটেলমেন্ট কাঠামো স্থাপনে সম্পূর্ণ সহায়তা করবে। তিনি বলেন, পারস্পরিক বাণিজ্যের জন্য আমাদের জাতীয় মুদ্রা ব্যবহার করা উচিত। পুতিন আমেরিকাকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে এসসিওর সমস্ত সদস্য দেশ তাদের নিজস্ব মুদ্রায় পেমেন্ট এবং সেটেলমেন্ট করতে পারে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যে ট্রাম্প অবশ্যই বিরক্ত হবেন, কারণ সাম্প্রতিক ব্রিকস সম্মেলনের সময়, ট্রাম্প ডলারকে দুর্বল করে শুল্ক আরোপের জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন। এখন যেহেতু তিনি ভারত সহ বেশিরভাগ দেশের উপর শুল্ক আরোপ করেছেন, তাই এই ভয় কেটে গেছে।

ইউরোপ-আমেরিকার দিন শেষ
রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি এসসিও প্ল্যাটফর্ম থেকে আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলিকে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে এসসিও বিশ্বে সত্যিকারের বহুমেরুত্ব আনবে। এর অর্থ হল এখন ক্ষমতা কেবল কয়েকটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পুতিন বলেন যে ইউরোকেন্দ্রিক এবং ইউরো-আটলান্টিক মডেলগুলি পুরানো হয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে এর কোনও মূল্য নেই।

আমার কারণে ইউক্রেন ধ্বংস হয়নি: পুতিন
পুতিন বলেছেন যে ইউক্রেন সংকট রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের কারণে হয়নি, বরং পশ্চিমা দেশগুলির কিয়েভের উপর বারবার উস্কানির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলি চায় ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক, কিন্তু এটি রাশিয়ার জন্য একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরি করবে এবং এটিই সমস্ত সমস্যার মূল। অন্যান্য দেশ যখন সম্প্রসারণবাদী মনোভাব গ্রহণ করছে তখন কোনও দেশই তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না।

শান্তির পূর্ণ আশা
পুতিন বলেন যে সম্প্রতি আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের পর শান্তির আশা রয়েছে। তিনি বলেন যে SCO-তে পারস্পরিক সহযোগিতার গতি খুব দ্রুত এবং রাশিয়া সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উল্লেখ্য যে এই সংস্থাটি ২০০১ সালে সাংহাইতে গঠিত হয়েছিল, যার প্রধান সদস্য ছিল রাশিয়া এবং চীন। এ ছাড়া কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের মতো দেশগুলি সদস্য ছিল। ভারত ২০১৭ সালে এবং পাকিস্তান ২০২৩ সালে এই সংস্থার সদস্য হয়। আজ মোট ১০টি দেশ এতে অন্তর্ভুক্ত।

প্রিয় গাড়ি আর পুতিন মোদীকে বসিয়ে ট্রাম্পকে বার্তা দিলেন চীনের শি


নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: রবিবার এবং সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুটি গাড়িতে চড়ে এবং শারীরিক ভাষায় বিশ্ব মঞ্চে ভারতের প্রভাব সারসংক্ষেপে তুলে ধরা যেতে পারে। ছবি এবং ভিডিওতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে মোদীর আন্তরিকতা স্পষ্ট হলেও, তাঁর এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে নতুন উষ্ণতা পর্যবেক্ষকদের আগ্রহ আকর্ষণ করেছে। গাড়িতে চড়ে এবং ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতার গল্প হিসেবে SCO-তে মোদী। পুরো ছবিটা যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বার্তা দিলেন চীনের শি জিনপিং।


সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, SCO শীর্ষ সম্মেলনের জন্য শি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি Hongqi L5 লিমুজিন উপহার দিয়েছেন। এটিকে কূটনৈতিক ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ শি তার রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য একই মডেল পছন্দ করেন। Hongui L5 কে "মেড ইন চায়না" প্রতীক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এই গাড়িটি "রেড ফ্ল্যাগ" সিরিজের একটি অংশ যা শি জিনপিং বেশ কয়েকবার ব্যবহার করেছিলেন, যার মধ্যে ২০১৯ সালে ভারত সফরও ছিল।


সোমবার, শীর্ষ সম্মেলনের মূল অনুষ্ঠানের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য যাওয়ার সময় মোদী এবং পুতিনকে একই গাড়ির যাত্রী আসনে একসাথে ছবি তোলা হয়েছিল। তারা পুতিনের সরকারী অরাস সেনাট লিমোজিনে বসে ছিলেন। এটি আসলে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মোদীর রাশিয়া সফরের সময় পুতিনের বাসভবনে একটি ভিন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িতে দুই নেতার ভ্রমণের পুনরাবৃত্তি।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ এবং রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতের শাস্তির মধ্যে মোদী, পুতিন এবং শি জিনপিংয়ের একত্রিত হওয়া এসেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেন যুদ্ধকে উস্কে দিচ্ছে।


শীর্ষ সম্মেলনের ছবি এবং ভিডিও থেকে তাদের শারীরিক ভাষা সৌহার্দ্য প্রকাশ পেয়েছে। বৈশ্বিক উত্তেজনার মধ্যে কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের লক্ষণ হিসেবে মোদী, শি এবং পুতিন উভয়ের সাথেই উল্লেখযোগ্য উষ্ণতা প্রদর্শন করেছেন।


তিনজিয়ানে পৌঁছানোর পর, মোদীকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়, একটি শিশু ফুল উপহার দেয় এবং শি ব্যক্তিগতভাবে চীনা পার্লামেন্টের আসন গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে তাকে স্বাগত জানায়।


মোদীর হংকি এল৫ লিমোজিন ব্যবহারকে একজন বিশ্বনেতার প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 আলোচনায় মোদী এবং শি সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার কারণে বিপর্যস্ত সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বিষয়ে আলোচনা করেন। মোদি শান্তি ও অগ্রগতির উপর জোর দেন, অন্যদিকে শি জোর দিয়ে বলেন যে ভারত ও চীন দুটি মহান সভ্যতা, একই সাথে 'হাতি ও ড্রাগনের একসাথে নাচ'-এর গুরুত্বের উপর জোর দেন। শীর্ষ সম্মেলনে এবং তাদের একের পর এক আলাপচারিতায়, পুতিনের সাথে মোদীর সম্পর্ক দৃশ্যমান ছিল, একটি ছবিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে প্রায় উপেক্ষা করে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে, যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এবং রাশিয়ান নেতা একটি প্রাণবন্ত কথোপকথন করছিলেন। দুই নেতা বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সহ গভীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। পুতিন ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের চেষ্টা করার জন্য মোদীর প্রশংসা করেন, অন্যদিকে মোদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের ভূমিকা পুনর্ব্যক্ত করেন।

ভারতের কূটনৈতিক জয়! চীনের মাটিতে SCO ঘোষণায় সর্বসম্মতিক্রমে নিন্দা পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:০৮:০১ : সোমবার চীনের তিয়ানজিন শহরে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে এসসিও নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে এসসিও ঘোষণাপত্র জারি করেন। এই ঘোষণাপত্রে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ শাস্তি দাবী করা হয়েছে। তবে, এতে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার ভাষণে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতি গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা মানবতায় বিশ্বাসী প্রতিটি দেশের জন্য একটি উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ। তিনি এসসিও সদস্যদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিয়ানজিন ঘোষণাপত্রে বিশেষ কী আছে?

সদস্য দেশগুলি ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।

তারা নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে। তিনি আরও বলেন যে এই ধরনের হামলার অপরাধী, সংগঠক এবং পৃষ্ঠপোষকদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।

সদস্য রাষ্ট্রগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এবং সন্ত্রাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে ভাড়াটে উদ্দেশ্যে ব্যবহারের প্রচেষ্টার অগ্রহণযোগ্যতার উপর জোর দেয়। তারা সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থী হুমকি মোকাবেলায় সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং তাদের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা স্বীকার করে।

সদস্য রাষ্ট্রগুলি সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ এবং প্রকাশের তীব্র নিন্দা করে, জোর দেয় যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মান অগ্রহণযোগ্য এবং সন্ত্রাসীদের সীমান্ত পারস্পরিক কার্যকলাপ সহ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায়।

"এক পৃথিবী, এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যত" এর প্রতিপাদ্য ঘোষণাপত্রে প্রতিধ্বনিত হয়েছে।

সদস্য রাষ্ট্রগুলি বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সাফল্য এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা গভীর করার ক্ষেত্রে ৫ম এসসিও স্টার্টআপ ফোরাম (নয়াদিল্লী, ৩-৫ এপ্রিল ২০২৫) এর ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে।

সদস্য রাষ্ট্রগুলি এসসিও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফোরামের ২০তম বৈঠক (নয়াদিল্লী, ২১-২২ মে ২০২৫) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছে।

তারা সাংস্কৃতিক ও মানবিক বিনিময় জোরদার করার ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (ICWA) এর SCO স্টাডি সেন্টারের অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন।

'এই ধরণের যেকোনও সংযোগ---', সিপিইসি নিয়ে চীনকে তারই মাটিতে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর?


ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: চীনে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, এই ধরণের যেকোনও সংযোগ তার অর্থ এবং বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, যখন কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়। তিনি স্পষ্টভাবে সিপিইসি (চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর)-এর নাম উল্লেখ করেননি, তবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যকে এরই ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি যে সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে সম্মান করা উচিৎ এবং যেকোনও সংযোগের প্রচেষ্টায় এটির যত্ন নেওয়া উচিৎ।


তাঁর বক্তব্যকে সিপিইসি-এর সাথে যুক্ত করা হচ্ছে কারণ চীনের জিনজিয়াং থেকে পাকিস্তানের গোয়াদর পর্যন্ত নির্মিত এই করিডোরটি পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের একটি অংশের মধ্য দিয়ে যায়। এই অঞ্চলটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় ভূখণ্ড, যা ১৯৪৭-৪৮ সালে উপজাতি আক্রমণের সময় পাকিস্তান অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছিল। এটি ভারতের অঞ্চল, তাই এখান দিয়ে সিপিইসি যাওয়া সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বলে বিবেচিত হয়। শুধু তাই নয়, এই যুক্তিতেই ভারত এই প্রকল্পে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।


এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের সমীকরণগুলিও পরিবর্তিত হতে দেখা যাচ্ছে। একদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পহেলগাম হামলার কথা উল্লেখ করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও অভিন্ন নীতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যদিকে, শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রেও এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে পহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন যে, আমি সেই সমস্ত বন্ধুপ্রতীম দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানাই যারা পহেলগাম হামলার বিরোধিতা করেছিলেন এবং কঠিন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এর সাথে তিনি পাকিস্তান সম্পর্কে তীব্র প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, 'একটি স্বাভাবিক প্রশ্ন হল আমরা কি মেনে নেব যে কিছু দেশ প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে?'


প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারত বিশ্বাস করে যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হওয়া উচিৎ। কারণ যদি এটিকে উৎসাহিত করা হয়, তাহলে কোনও দেশ বা সমাজ নিরাপদ থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থা শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। তিনি চীনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে আমাদের দ্বিমুখী নীতি থাকতে পারে না। বাস্তবে, অনেক সময় চীনের মনোভাব সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ভারতের অবস্থানের থেকে ভিন্ন। এমন পরিস্থিতিতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য সরাসরি চীনের সাথে যুক্ত করা হচ্ছে।

'আমাদের ৫টি সন্তান আছে আর তোমার ১-২টি... এখানে আমরাই একমাত্র থাকব' একজন পাকিস্তানির কথা শুনে কি উত্তর দিলেন ইলন মাস্ক?


 বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বিলিয়নেয়ার এবং টেসলার সিইও এলন মাস্ক আবারও জনসংখ্যা নিয়ে খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার) এর একটি ভিডিওতে মাস্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যেখানে একজন পাকিস্তানি এবং একজন ডেনিশ নাগরিকের মধ্যে বিতর্ক দেখা গেছে। বিতর্ক চলাকালীন, পাকিস্তানি ব্যক্তি বলেছেন যে আগামী ১০-১৫ বছরে, পাকিস্তানিদের জনসংখ্যা ডেনিশদের চেয়েও বেশি হবে। এলন মাস্ক এই ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন - "তার গণিত সঠিক"। তারপর থেকে, মাস্কের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।


ডেনিশ নাগরিককে পাকিস্তানি ব্যক্তির 'সতর্কীকরণ'
ভিডিওতে, পাকিস্তানি ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "আমাদের ৫টি সন্তান আছে আর তোমার মাত্র ১-২টি। আগামী ১০-১৫ বছরে, এই দেশে পাকিস্তানিদের সংখ্যা ডেনিশদের চেয়ে বেশি হবে। ডেনমার্কের জনসংখ্যা মাত্র ৫০ লক্ষ, যেখানে আমরা কোটিতে।" ভিডিওতে, আরেকজন পাকিস্তানি ব্যক্তি বলছেন, "আমি বিয়ে করেছি এবং আগামীকাল ৫টি সন্তান নেব। তাই তোমরাও যাও এবং সন্তান নেও।" একই ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায়, এলন মাস্ক বলেছেন যে পাকিস্তানি ব্যক্তির অঙ্ক সঠিক।

এলন মাস্কের ক্রমাগত সতর্কীকরণ: জনসংখ্যা হ্রাসই আসল বিপদ
এলন মাস্ক এর আগেও বহুবার বলেছেন যে বিশ্বের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ হল অতিরিক্ত জনসংখ্যা নয়, বরং জনসংখ্যার পতন। তিনি বিশ্বাস করেন যে জন্মহার হ্রাস অব্যাহত থাকলে এটি সরাসরি অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং সমাজকে প্রভাবিত করবে। মাস্ক বলেছিলেন - "বেশিরভাগ মানুষ এখনও মনে করে যে পৃথিবী অতিরিক্ত জনসংখ্যাযুক্ত, কিন্তু সত্যটি ঠিক এর বিপরীত।"

জাপান একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে
এলন মাস্ক জাপানের জন্য সবচেয়ে বড় সতর্কীকরণ দিয়েছেন। তিনি X-তে লিখেছিলেন - "জাপান এই বছর প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ হারাবে। ৯ লক্ষেরও বেশি মৃত্যু হবে এবং খুব কম জন্ম হবে।"

মাস্ক বলেন যে এই সংকট গত ৫০ বছর ধরে তৈরি হচ্ছে এবং এর সাথে AI-এর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন - "AIই একমাত্র আশা যা এই সংকট থামাতে পারে।" জাপান ছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি এবং পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশেও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেখানে জনসংখ্যা হ্রাস উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।

এই সমস্যাটি কেন দেখা দিচ্ছে?

মাস্ক বিশ্বাস করেন যে যদি সময়মতো এর যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দশকগুলিতে বিশ্বের অনেক দেশে শ্রম ঘাটতি, অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং সামাজিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেবে। এই কারণেই অনেক দেশ এখন জন্মনিরোধক নীতি (আরও সন্তান ধারণের উৎসাহ), অভিবাসন সংস্কার এবং AI-রোবোটিক্স গ্রহণ করার চেষ্টা করছে।

প্রশ্ন ১. পাকিস্তানি ব্যক্তির বক্তব্যের উপর এলন মাস্ক কী বলেছেন?

উত্তর: মাস্ক বলেছেন যে পাকিস্তানি ব্যক্তির গণিত সঠিক।

প্রশ্ন ২. কোন বিষয়ে এলন মাস্ক বারবার সতর্ক করেন?

উত্তর: তিনি বলেছেন যে জনসংখ্যা হ্রাস (জনসংখ্যার পতন) সভ্যতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

প্রশ্ন ৩. জাপানের পরিস্থিতি সম্পর্কে মাস্ক কী বলেছেন?

উত্তর: তিনি বলেছেন যে জাপান এই বছর প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ হারাবে এবং এই সমস্যাটি কয়েক দশক আগে শুরু হয়েছিল।

প্রশ্ন ৪. মাস্ক কেন বিশ্বাস করেন যে এআইই সমাধান?

উত্তর: কারণ কেবল এআই এবং রোবটই জনসংখ্যা হ্রাসের ফলে সৃষ্ট শ্রমিক ঘাটতি পূরণ করতে পারে।

এসসিও সম্মেলনে পহেলগাম কাণ্ড নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী মোদী! সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া বার্তা


ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: চীনের তিয়ানজিন শহরে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের ২৫তম বৈঠকের পর একটি যৌথ ঘোষণাপত্র জারি করা হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট করে বলেন যে, সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে দ্বৈত মাপদণ্ড কোনও দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিৎ নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে কোন বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেছেন-


প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, গত ৩৪ বছর ধরে, এসসিও সমগ্র ইউরেশিয়াকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এসসিওর সক্রিয় সদস্য দেশ হিসেবে ভারত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। এসসিও সম্পর্কে ভারতের চিন্তাভাবনা তিনটি প্রধান স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এস- নিরাপত্তা (সিক্যুরিটি), সি- সংযোগ (কানেক্টিভিটি), ও- সুযোগ (অপরচুনিটি)।


নিরাপত্তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "যে কোনও দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হল নিরাপত্তা, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থা এর পথে বড় চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসবাদ কেবল যে কোনও দেশের নিরাপত্তার জন্যই চ্যালেঞ্জ নয় বরং সমগ্র মানবতার জন্য চ্যালেঞ্জ। কোনও দেশই এর থেকে নিজেকে নিরাপদ বলে মনে করতে পারে না।"


চীনে এসসিও সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন , "গত চার দশক ধরে ভারত সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি, আমরা পহেলগামে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে খারাপ রূপ দেখেছি। আমি সেই মিত্র দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যে এই দুঃখের মুহূর্তে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।"


প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ঐক্যের উপর জোর দিয়েছে। ভারত সংযুক্ত সূচনা অভিযান-এর নেতৃত্ব দিয়ে আল-কায়েদা এবং এর সাথে যুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্যোগ নিয়েছে... আমরা সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নের বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ তুলেছি। এতে আপনার সহযোগিতার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।"


প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্টভাবে বলেছেন - "আমাদের স্পষ্টভাবে এবং সর্বসম্মতভাবে বলতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও দ্বিমুখী নীতি গ্রহণযোগ্য নয়। পহেলগাম হামলা মানবতায় বিশ্বাসী প্রতিটি দেশ এবং ব্যক্তির কাছে একটি উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে, কিছু দেশের সন্ত্রাসবাদকে প্রকাশ্য সমর্থন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আমাদের সর্বসম্মতভাবে যেকোনও রূপ এবং রঙের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করতে হবে। মানবতার প্রতি এটি আমাদের কর্তব্য।"


চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা পরিষদ (এসসিও) বৈঠকে সংযোগের বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "সার্বভৌমত্বকে উপেক্ষা করে সংযোগ আস্থা এবং অর্থ হারায়। ভারত সর্বদা বিশ্বাস করে যে শক্তিশালী সংযোগ কেবল বাণিজ্য বৃদ্ধি করে না বরং প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্বাসের দ্বারও খুলে দেয়।" এটি মাথায় রেখে, আমরা চাবাহার বন্দর এবং আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোরের মতো উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি। এটি আমাদের আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার সাথে সংযোগ উন্নত করতে সহায়তা করবে," তিনি বলেন।


সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন - "আজ আমরা সংস্কার, কর্মক্ষমতা এবং রূপান্তরের মন্ত্রে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে সুযোগে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছি। আমি আপনাদের সকলকে ভারতের উন্নয়ন যাত্রার অংশ হতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।"


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন- "এসসিও-তে মানুষে মানুষে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য, আমি সিভিলাইজেশন ডায়লগ ফোরাম' গঠনের প্রস্তাব করছি। এটি আমাদের প্রাচীন সভ্যতা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সাহিত্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে।" প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন- "এটা আনন্দের বিষয় যে এসসিও সময়ের পরিবর্তনশীল চাহিদার সাথে বিকশিত হচ্ছে। সংগঠিত অপরাধ, মাদক পাচার, সাইবার নিরাপত্তার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চারটি নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। আমরা এই ভাবনাকে স্বাগত জানাই।"


আজ আবারও এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে দুই পরাশক্তির মধ্যে দেখা হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি পুতিন তিয়ানজিনে মিলিত হবেন। সকাল ৯:৪৫ থেকে ৪৫ মিনিটের জন্য দুজনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পুতিনের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, ব্যবসা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার দিকে গোটা বিশ্বের নজর। আমেরিকান শুল্কের বিষয়টিও দুই নেতার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারে।


ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি তার চীন সফরের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন। সেই কথোপকথনে জেলেনস্কি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে, মনে করা হচ্ছে যে পুতিনের সাথে তাঁর কথোপকথনে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সমস্যার একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার এবং শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য জোর দিতে পারেন।

বসিরহাট পুরসভার গর্বের স্বীকৃতি, স্বচ্ছ মিশন ২.০-এ সাফল্যের ছাপ

 


পরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় এবার নাম উঠল বসিরহাটের। কেন্দ্রের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্যোগে স্বচ্ছ মিশন ২.০-এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টেই স্পষ্ট হয়েছে—বসিরহাট শহর আবর্জনামুক্ত নগরী হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে।


সমীক্ষার ফলাফল


প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে যাচাই করা হয়েছিল, কীভাবে আবর্জনা পৃথকীকরণ, সংগ্রহ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যের ব্যবহার হচ্ছে। এই তিনটি ক্ষেত্রেই বসিরহাট পুরসভার উদ্যোগ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।


নাগরিক ও প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টা


শহরের বাসিন্দারা সক্রিয়ভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অংশ নিয়েছিলেন। স্থানীয় স্কুল, ক্লাব ও সামাজিক সংগঠনও এই উদ্যোগে হাত লাগায়। পুরসভার কর্তারা মনে করছেন—নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া এই স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব ছিল না।


ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা


পুরমাতা অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, এখন লক্ষ্য আরও আধুনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি করা। পাশাপাশি দরজায় দরজায় আবর্জনা সংগ্রহের ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এবং ভেজা ও শুকনো আবর্জনা আলাদা করার প্রকল্প আরও বিস্তৃত করা হবে।


পরিবেশবিদদের মত


বিশেষজ্ঞদের দাবি, বসিরহাটের এই স্বীকৃতি গোটা রাজ্যের জন্য এক ইতিবাচক বার্তা। এর ফলে দূষণ কমবে এবং বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। তাঁদের মতে, এই পদক্ষেপ বসিরহাটকে ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পরিচ্ছন্ন ও টেকসই শহরে রূপান্তরিত করতে সহায়ক হবে।

SCO শীর্ষ সম্মেলনে কূটনৈতিক বার্তা: মোদী-পুতিনের সৌহার্দ্যে আড়ালে পাকিস্তান


 দুই দিনের চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। কিন্তু সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরেও এক আকর্ষণীয় দৃশ্য আন্তর্জাতিক রাজনীতির নতুন ইঙ্গিত বহন করছে।


উপেক্ষিত শাহবাজ শরীফ


সম্মেলনের প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একসঙ্গে আলাপচারিতা করতে করতে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। ঠিক সেই সময়, কিছুটা দূরে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। আশেপাশে কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলছিল না, কিংবা পাশে দাঁড়িয়েও ছিল না। মোদী ও পুতিনের দিকে তাকিয়েই ছিলেন তিনি। মুহূর্তটি ভিডিওতে ধরা পড়তেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।


নেটিজেনদের ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়—শরীফ যেন “বিরিয়ানির এলাচি”, যাকে উপস্থিত থাকলেও কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। অন্য কেউ মন্তব্য করেন—“মোদী-পুতিনের দৃঢ় সম্পর্কের কাছে পাকিস্তান একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।”


ভারতের বার্তা: সন্ত্রাসে দ্বিমুখীতা নয়


আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্টভাবে বলেন—“সন্ত্রাসবাদ নিয়ে দ্বৈরথহীন নীতি গ্রহণযোগ্য নয়। যে কোনও ধরনের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মেনে নেওয়া হবে না।” এই মন্তব্যের সময় শাহবাজ শরীফ উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, এটি সরাসরি পাকিস্তানের উদ্দেশেই বার্তা।


অতীতের পুনরাবৃত্তি


এটি প্রথম নয়, যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মঞ্চে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়লেন। ২০২২ সালের এসসিও শীর্ষ সম্মেলনেও পুতিনের সামনে শরীফকে বারবার অবহেলিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। এবারের ঘটনাও সেই একই কূটনৈতিক সংকেতের ধারাবাহিকতা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


কূটনৈতিক তাৎপর্য


এই ঘটনা শুধু একটি ভাইরাল ভিডিও নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতাকেই ফুটিয়ে তুলছে। ভারত, রাশিয়া ও চীনের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন একত্রিত আলোচনায় মনোযোগী, তখন পাকিস্তান কার্যত প্রান্তে দাঁড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি পাকিস্তানের দুর্বল কূটনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন এবং ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতীক।


মোদী-শি বৈঠকের পর পাকিস্তানকে ভারত-ইসলামাবাদকে সতর্ক করলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি



নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার চীনের তিয়ানজিন শহরে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যা ভারত-চীন সম্পর্কের স্থায়িত্বকে আরও গতিশীল করে তোলে। বিশ্লেষকরা এই বৈঠককে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে প্রশংসা করলেও, বিশেষ করে ট্রাম্পের ভারতের উপর শুল্ক আরোপের ছায়ায়, চীনের মিত্র পাকিস্তান এই পদক্ষেপের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তার উপরও আলোকপাত করা হয়েছে।


যদিও ইসলামাবাদ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইসলামাবাদকে নতুন উন্নয়ন সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং চীনে পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাসুদ খান চীনের সাথে ভারতের বর্তমান সম্পর্ককে "বিশ্বব্যবস্থায় টেকটোনিক পরিবর্তনের পরিবর্তে কৌশলগত কৌশল" হিসাবে খাটো করে দেখার চেষ্টা করেছেন।


জিও নিউজে প্রকাশিত নিবন্ধে খান যুক্তি দিয়েছেন যে ভারত এবং চীন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়ে গেছে। "ভারত-মার্কিন শুল্ক আলোচনার সমাপ্তি - বা ভেঙে যাওয়ার পরেই চীনের প্রতি ভারতের ঝোঁকের স্থায়িত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠবে," তিনি দাবি করেন।


 এরপর খান ইসলামাবাদকে সতর্ক করে বলেন, সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চীন-ভারত গলদঘর্মতা নিয়ে পাকিস্তানের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। "তবে সতর্কতা এখনও অপরিহার্য। চীন-ভারত দ্বন্দ্বের সময়ও নয়াদিল্লি বিভিন্ন অজুহাতে পাকিস্তানকে চীনা ঋণ প্রদানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল," তিনি আরও বলেন যে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। "ইসলামাবাদের জন্য, বিচক্ষণতার পথ হল অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সতর্কতার সাথে গতিশীলতা পর্যবেক্ষণ করা," তিনি লেখেন।


পাকিস্তানের চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, খান আরও বলেন যে ভারত চীনের সাথে প্রকৃত পুনর্মিলনের পরিবর্তে কেবল বৃহৎ শক্তিগুলির মধ্যে কৌশল অবলম্বন করছে। "নতুন দিল্লির সাথে বেইজিংয়ের সম্পৃক্ততা পাকিস্তানের সাথে তার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে দুর্বল করার সম্ভাবনা কম," খান আশঙ্কা দূর করার জন্য বলেন।


তিনি বলেন, নয়াদিল্লির প্রতি বেইজিংয়ের আগ্রহ হল "আঞ্চলিক প্রভাব বৃদ্ধি করা এবং নয়াদিল্লির উপর ওয়াশিংটনের দখল কমানো," অন্যদিকে ভারতের জন্য এটি "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক বিরোধে লাভ।"


তিনি বলেন, পাকিস্তানকে "সতর্ক থাকা সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে।" "চীনের সাথে এর সম্পর্ক অনেক গভীর এবং কৌশলগত, অন্যদিকে ওয়াশিংটনের সাথে এর নবায়নকৃত অংশীদারিত্ব একটি অনুকূল ভারসাম্য এবং একটি নতুন স্থান তৈরি করেছে," তিনি যুক্তি দেন।

এসসিও মঞ্চ থেকে ট্রাম্পকে তোপ! মোদীর সামনেই কড়া বার্তা শি জিনপিংয়ের



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৫:০১ : সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) তিয়ানজিনে শুরু হওয়া সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি জোরালো বক্তব্য রাখেন। তার ভাষণে শি জিনপিং বলেন যে সমস্ত দেশের ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার নীতি অনুসরণ করা উচিত এবং একসাথে ঠান্ডা যুদ্ধের মানসিকতা, দলাদলি এবং চাপের মতো পদক্ষেপের বিরোধিতা করা উচিত। এই সময়, তিনি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের - রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী - বিশ্ব শান্তি ও সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে একটি বার্তাও দেন।

এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন চীন ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা আরও গভীর হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকা চীনের উপর ভারী শুল্ক আরোপ করেছে, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে ১০০ শতাংশেরও বেশি শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যদিও পরে একটি মীমাংসা হয়েছিল, তবুও উত্তেজনা এখনও রয়ে গেছে এবং এখন এর প্রভাব রাশিয়া এবং ভারতে পৌঁছেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপ করেছেন। এছাড়াও, ট্রাম্প ক্রমাগত যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিনের উপর চাপ দিচ্ছেন। তিনি আলাস্কায় পুতিনের সাথে দেখা করেন এবং তারপর ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

এসসিও শীর্ষ সম্মেলন ৩১শে আগস্ট চীনের তিয়ানজিনে শুরু হয়েছে এবং দুই দিন চলবে। এতে চীন, ভারত, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর বাইরে ১৬টি দেশ পর্যবেক্ষক বা সংলাপ অংশীদার হিসেবে যুক্ত।

প্রাইভেট পার্টের চুলকানিতে বিরক্ত? ঘরোয়া এই টিপস দেবে তাৎক্ষণিক আরাম



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০০:০১ : প্রাইভেট পার্টে চুলকানি একটি খুবই সাধারণ সমস্যা হলেও অনেকের জন্য এটি বেশ অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। অনেক সময় লজ্জার কারণে মানুষ এই বিষয়টি কাউকে বলতে চান না। নারী-পুরুষ উভয়কেই এর শিকার হতে হয়। অতিরিক্ত ঘাম, অস্বচ্ছতা, টাইট আন্ডারগার্মেন্টস, ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা কখনো ইউরিনারি ইনফেকশন থেকেও প্রাইভেট পার্টে চুলকানি হতে পারে। এর সঙ্গে জ্বালা, লালচে ভাব এবং র‍্যাশও দেখা দেয়। সময়মতো যত্ন না নিলে এটি সংক্রমণ (ইনফেকশন) আকারও নিতে পারে। তবে ভালো খবর হলো—কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এই সমস্যা থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব।

১. নারকেল তেল (Coconut Oil)

নারকেল তেলে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং চুলকানি দ্রুত কমায়। দিনে ২-৩ বার অর্গানিক নারকেল তেল আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং জ্বালা প্রশমিত করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ফাঙ্গাল ইনফেকশনও সেরে যায়। রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে আরও ভালো ফল মেলে।

২. আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দূর করতে কার্যকর। এক চামচ ভিনেগার এক গ্লাস হালকা গরম জলে মিশিয়ে সেই জল দিয়ে প্রাইভেট পার্ট ধুয়ে নিন। এতে চুলকানি ও জ্বালাভাব দ্রুত কমে। খেয়াল রাখতে হবে, কখনো সরাসরি ভিনেগার লাগানো যাবে না, সবসময় জলে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। দিনে একবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

৩. বরফের সেঁক

চুলকানি ও জ্বালা যদি খুব বেশি হয়, তবে বরফ তাৎক্ষণিক আরাম দেয়। পরিষ্কার কাপড়ে কয়েকটি বরফের টুকরো বেঁধে আক্রান্ত স্থানে ৪-৫ মিনিট হালকা হাতে সেঁক দিন। এতে জায়গাটা অবশ হয়ে যায় এবং চুলকানি কমে যায়। তবে বরফ সরাসরি ত্বকে দেবেন না, এতে জ্বালা বাড়তে পারে। দিনে ২ বার এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪. নিমপাতার জল

নিমের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ১০-১৫টি নিমপাতা জলে ফোটান এবং ঠান্ডা করে সেই জল দিয়ে প্রাইভেট পার্ট ধুয়ে নিন। দিনে ১-২ বার করলে ইনফেকশন ও চুলকানি দুইই কমবে। নিম ত্বককে পরিষ্কার করে এবং র‍্যাশ দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

৫. পোশাকের যত্ন নিন

প্রাইভেট পার্টে চুলকানি অনেক সময় অস্বচ্ছতা ও টাইট কাপড়ের কারণে হয়। তাই সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। হালকা ও ঢিলেঢালা কটন আন্ডারগার্মেন্টস পরুন, যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং ঘাম জমে না থাকে। প্রতিদিন অন্তর্বাস বদলান, আর অতিরিক্ত ঘাম হলে দিনে দু’বারও বদলানো ভালো। ইন্টিমেট এরিয়া সবসময় হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন, তবে বেশি সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত ক্লিনিং করলে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে, ফলে চুলকানি আরও বেড়ে যেতে পারে।

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০, আহত ৫০০



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০:০১ : মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, রবিবার গভীর রাতে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে পূর্ব আফগানিস্তানে ৬.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইউএসজিএস অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নাঙ্গারহার প্রদেশের জালালাবাদের কাছে এবং এর গভীরতা ছিল ৮ কিলোমিটার। প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র আজমল দরবেশের মতে, পূর্বাঞ্চলীয় নাঙ্গারহার প্রদেশে ২৫০ জন নিহত এবং ৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। অনেক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।

ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এর কম্পন ভারতের অনেক জায়গায়, বিশেষ করে দিল্লী-এনসিআরে অনুভূত হয়েছিল। এ ছাড়া, পাকিস্তানেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। প্রায় ২০ মিনিট পরে, একই প্রদেশে দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১১:৪৭ মিনিটে এটি ঘটে।

৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে, আফগানিস্তানে ৬. ৩মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং তারপরে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়। তালেবান সরকার অনুমান করে যে কমপক্ষে ৪,০০০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ মৃতের সংখ্যা অনেক কম বলেছে, প্রায় ১,৫০০। সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে এটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

গত এক মাসে এটি আফগানিস্তানে পঞ্চম ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের দিক থেকে এই দেশটি একটি সংবেদনশীল এলাকা। এমন পরিস্থিতিতে এখানে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। এর আগে, ২৭ আগস্ট ৫.৪ মাত্রার, ১৭ আগস্ট ৪.৯ মাত্রার এবং ১৩ আগস্ট ১০ কিলোমিটার গভীরে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এর আগে ৮ আগস্ট ১০ কিলোমিটার গভীরে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল।

রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প পরিমাপ করা হয়। একে রিখটার ম্যাগনিটিউড টেস্ট স্কেল বলা হয়। রিখটার স্কেলে, ভূমিকম্প ১ থেকে ৯ এর ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয়। এটি তার কেন্দ্র অর্থাৎ কেন্দ্রস্থল থেকে পরিমাপ করা হয়। ভূমিকম্পের সময় পৃথিবীর ভেতর থেকে নির্গত শক্তির তীব্রতা এটি দ্বারা পরিমাপ করা হয়। এই তীব্রতা থেকেই ভূমিকম্পের ধাক্কার তীব্রতা অনুমান করা হয়।

অদ্ভুত রহস্য! পাহাড়ে নিজে গড়ে উঠেছে গণেশের আকৃতি, ৩ কিমি দূর থেকেও দেখা যায় স্পষ্ট রূপ



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০০:০১ : দেশে অনেক গণেশের মূর্তি আছে, যাকে হিন্দু ধর্মে প্রতিটি কাজে প্রথমে পূজা করা হয়, কিন্তু আজ জানুন গণেশের সবচেয়ে বড় মূর্তি সম্পর্কে। প্রকৃতি নিজেই এই রূপ দিয়েছে। হ্যাঁ, রাজ্যের সিরোহি জেলার রেভদার মহকুমার মাগরিওয়াড়া গ্রাম রয়েছে। এখানে একটি পাহাড়ে গণেশের স্ব-নির্মিত গণেশ মূর্তি দেখা যায়। এই গ্রামে আরাবলি পর্বতমালার কিছু অংশ পাহাড়ের আকারে ছড়িয়ে আছে। এই পাহাড়গুলির মধ্যে একটি তার আকৃতির কারণে মাগরিওয়ালে গণেশ নামে পরিচিত।

মান্ডারের রঞ্জিত সিং জানান যে গ্রামে আরও পাহাড় অর্থাৎ মাগরিওয়ালা গণেশ থাকার কারণে এই গ্রামের নামও মাগরিওয়াড়া হয়ে গেছে। গ্রামে প্রায় ১২০০ ফুট উঁচু একটি পাহাড় রয়েছে। যা মাগরিওয়ালে গণেশ মন্দির নামে পরিচিত। এতে গণেশজির মাথা, শুঁড় এবং পেট স্বাভাবিকভাবেই বেরিয়ে আসছে বলে মনে হয়। ২০০৬ সালে গ্রামবাসীরা এই পাহাড়ে উঠে পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।

এই পাহাড়টি উঁচু হওয়ায়, প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূর থেকে গণেশের রূপ দেখা যায়। পাথুরে পথ দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছানো যায় কেবল হেঁটে। এই পাহাড়ে ওঠার পর, গ্রামের রাওয়াল ব্রাহ্মণ পুরোহিত এবং গ্রামবাসীরা প্রতি বছর গণেশ চতুর্থীতে প্রার্থনা করেন এবং পতাকা উত্তোলন করেন। রেভদার, মান্দার এবং আশেপাশের গ্রামের লোকেরা এখানে দর্শনের জন্য আসেন। গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করেন যে এখানে সত্যিকারের হৃদয়ে করা ইচ্ছা পূরণ হয়। ধীরে ধীরে, এই স্থানটি গ্রামবাসীদের বিশ্বাসের একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে মাগরিওয়ালা গণেশজীকে দেখার মাধ্যমেই সমস্ত ঝামেলা দূর হয় এবং জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। মাগরিওয়ালা গণেশজীর কাছে একটি প্রাকৃতিক গুহাও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে আপেশ্বর মহাদেব বসে আছেন। প্রায় আট দশক আগে, এই অঞ্চলের একজন বিখ্যাত সাধু এবং তপস্বী মুনিজি মহারাজ ১২ বছর ধরে এখানে ধ্যান করেছিলেন। ব্রহ্মলিন মস্তগিরি মহারাজ বছরের পর বছর ধরে এখানে ধ্যান করেছিলেন। সাধুর সান্নিধ্যের কারণে এই স্থানটি মাগরিবালা গণেশজি নামে পরিচিতি লাভ করে।

তিয়ানজিনে এসসিও নেতাদের বৈঠক! একত্রিত মোদী-জিনপিং-পুতিন



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৯:০১ : আজ চীনে অনুষ্ঠিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন। আজ এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা বৈঠক করছেন। বৈঠকের পর নেতারাও বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী, চীনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হন। তিন নেতাই একত্রিত হন। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পুতিন তিয়ানজিনে বৈঠক করবেন। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। এই কারণে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পুতিনের মধ্যে এই বৈঠকের উপরও আমেরিকা নজর রাখছে।

বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি নিশ্চিত করেছেন যে রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে দেখা করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসসিও পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। মিস্রি রবিবার তিয়ানজিনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন, যেখানে তিনি এসসিওর অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রচারের ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা দেবেন।" এই বৈঠকের পর, তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, তারপরে তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী-পুতিনের মধ্যে সকাল ১০টায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। পুতিনের সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আমেরিকা যখন রাশিয়ার তেল নিষিদ্ধ করেছিল, তখন ভারত বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছিল। এমন পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের পর যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পুতিন প্রথমবারের মতো বৈঠক করছেন, তখন ট্রাম্পের হৃদস্পন্দন নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া, এসসিও প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রাম্পের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া এবং চীন কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা দেখতে হবে।

ট্রাম্পের শুল্ক একনায়কতন্ত্র এবং তেল নিয়ে কূটনৈতিক যুদ্ধের ৩ বছর পর, পরাশক্তিগুলি প্রথমবারের মতো এক প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হয়েছে। একটি হল রাশিয়া। আমেরিকা তার তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল। অন্যদিকে চীন এবং ভারত। যুদ্ধের পরে রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কিনছে কারা। এমন পরিস্থিতিতে, যখন পুতিন, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং জিনপিং এসসিও প্ল্যাটফর্ম থেকে একসাথে তাদের মতামত উপস্থাপন করবেন। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্যই এটি খুব মনোযোগ সহকারে শুনবেন।

এমন পরিস্থিতিতে, তেল সম্পর্কিত তিনটি দেশই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তার বিদেশ নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না। রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে এবং এখন একটি প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে রাশিয়া থেকে তেল কিনে ভারত একটি বড় বৈশ্বিক সংকট এড়াতে পেরেছে।

মরার আগে কেন করেন মানুষ শ্রাদ্ধ? এর পেছনের রহস্য জানলে আপনিও হবেন বিস্মিত



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০০:০১ : হিন্দু ধর্মে শ্রাদ্ধের ঐতিহ্যকে অত্যন্ত প্রাচীন বলে মনে করা হয়। এটি কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় বরং পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা, শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম। শ্রাদ্ধের অর্থ হল - শ্রদ্ধার সাথে করা কাজ। সাধারণত এটি মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য করা হয় যাতে তাদের আত্মা শান্তি এবং মুক্তি লাভ করতে পারে। মহন্ত রামেশ্বর গিরির মতে, পূর্বপুরুষরা শ্রাদ্ধে সন্তুষ্ট হন এবং পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। যদি শ্রাদ্ধ না করা হয়, তাহলে পিতৃদোষের উদ্ভব হয়, যা পরিবারে বাধা, অশান্তি এবং আর্থিক সংকটের কারণ হতে পারে। এই কারণেই প্রতি বছর পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ ও তর্পণের ঐতিহ্য পালন করা হয়।


শাস্ত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে একজন জীবিত ব্যক্তিও তার শ্রাদ্ধ করতে পারেন। এটিকে "জীবিত শ্রাদ্ধ" বা "আত্ম শ্রাদ্ধ" বলা হয়। এর উদ্দেশ্য হল মৃত্যুর আগে ব্যক্তি তার কর্ম দ্বারা আত্মাকে শান্তি দেয় এবং তার পরে পরিবার বা বংশধরদের উপর কোনও বাধা না আসে তা নিশ্চিত করা।


বংশের বিলুপ্তির ক্ষেত্রে, যদি কোনও ব্যক্তি তার বংশের শেষ পুরুষ হন এবং তার পরে কোনও বংশধর না থাকে, তবে তিনি তার জীবদ্দশায় শ্রাদ্ধ করতে পারেন। মৃত্যুর অনুভূতির ক্ষেত্রে, যখন কোনও ব্যক্তি অনুভব করেন যে তার মৃত্যু নিকটবর্তী, তখন তিনি জীবিত অবস্থায় শ্রাদ্ধ করেন যাতে তার মৃত্যুর পরে কোনও বাধা না থাকে। পিতা বা মাতার বংশে কোনও পুরুষ না থাকলেও, একজন জীবিত ব্যক্তিকে এটি করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিক শান্তির কারণে, কিছু লোক জীবনেই তাদের শ্রাদ্ধ করেন।


জীবিত শ্রাদ্ধ পালনের মূল উদ্দেশ্য হল আত্মার মুক্তি এবং মুক্তি। এই কর্ম একজন ব্যক্তিকে তার জীবদ্দশায় শান্তি অনুভব করায় এবং নিশ্চিত করে যে তার মৃত্যুর পরে কেউ বোঝা না পড়ে। এটিকে একটি আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি হিসেবেও বিবেচনা করা হয়, যা একজন ব্যক্তিকে মৃত্যুর চূড়ান্ত সত্যের কথা মনে করিয়ে দেয় এবং তাকে ধর্ম, সত্য এবং করুণার পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে।

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান! ৯ জনের মৃত্যু, আহত বহু

 


প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৪:০১ : রবিবার রাতে আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা অনুসারে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৬.৩ রেকর্ড করা হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ভূমিকম্পে নয়জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। আফগানিস্তানের পাশাপাশি পাকিস্তানেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর এখনও মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। রবিবার রাত ১২.৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়, প্রথমে ৬.০ মাত্রার এবং পরে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার জনস্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র নকিবুল্লাহ রহিমি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে নয়জন মারা গেছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি X পোস্টের মাধ্যমে বলেন, "দুঃখের বিষয়, আজ রাতের ভূমিকম্পে আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় কিছু প্রদেশে প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় আধিকারিক এবং বাসিন্দারা বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত।"

এর আগেও আফগানিস্তানে বহুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ২৮ মে ৪.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ১৬ এপ্রিল ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এর পাশাপাশি, গত কয়েক মাসে ভারত, নেপাল এবং চীনেও ভূমিকম্প হয়েছে।