Thursday, October 9, 2025
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাককে এভাবে কাটিয়ে উঠুন, এই ৭টি ধাপ অনুসরণ করুন এবং আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখুন
আজকের দ্রুতগতির জীবনে হৃদরোগের ঝুঁকি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুর্বল জীবনযাত্রা এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে, তরুণদের মধ্যেও হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এটি উদ্বেগের বিষয় যে হৃদরোগ সারা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তবে আতঙ্কিত হবেন না! WHO এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে জীবনযাত্রায় ছোট কিন্তু কার্যকর পরিবর্তন এনে ৮০% পর্যন্ত হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে এবং আকস্মিক বিপদ এড়াতে, এই নিবন্ধটি ৭টি সহজ এবং কার্যকর নিয়ম প্রদান করে যা আপনার জীবনের 'সোনালী সূত্র' হয়ে উঠতে পারে।
হৃদরোগ প্রতিরোধের সাতটি নিয়ম:
১. সক্রিয় থাকুন: হৃদরোগের স্বাস্থ্য সরাসরি শারীরিক কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত। সাইকেল চালানো বা স্বল্প দূরত্বের জন্য হাঁটা শুরু করুন। যদি আপনার হাঁটুর সমস্যা না থাকে, তাহলে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন। এই সহজ পরিবর্তনটি আপনার হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ক্যালোরি পোড়ায়, যা স্থূলতা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন: খারাপ খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ। ফাস্ট ফুড, পাকোড়া, চিপস এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসে উচ্চ পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট, সোডিয়াম এবং চিনি থাকে, যা ধমনীতে প্লাক তৈরিতে অবদান রাখে। ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন দিয়ে এগুলোর পরিবর্তে খাবার খান। লবণ কম এবং তেল কম থাকা খাবারকে অগ্রাধিকার দিন।
৩. আসক্তিকে না বলুন: ধূমপান, অ্যালকোহল এবং যেকোনো ধরণের নেশা হৃদপিণ্ডের জন্য বিষাক্ত। ধূমপান রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করে এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দুই থেকে চার গুণ বেড়ে যায়। আসক্তি সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা আপনার হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
৪. ডিজিটাল ডিটক্স: রাতে গভীর রাতে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করা আপনার ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে। ঘুমের অভাব স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল বৃদ্ধি করে, যা উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে। ঘুমানোর কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে সমস্ত স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।
৫. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: স্ট্রেস হল হার্টের সবচেয়ে বড় শত্রু। স্ট্রেস এড়াতে, চিত্রাঙ্কন, বাগান করা, নাচ বা গান গাওয়ার মতো সৃজনশীল শখের জন্য সময় ব্যয় করুন। এটি আপনাকে আনন্দ দেয়, মনকে শান্ত করে এবং স্বাভাবিকভাবেই চাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ৩০ মিনিটের ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামও খুবই উপকারী।
৬. খাবার এবং শোবার সময়: আপনার খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান। এটি পাচনতন্ত্রের উপর চাপ কমায় এবং পুষ্টির শোষণ উন্নত করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: রাতের খাবারের পরপরই কখনও ঘুমাতে যাবেন না। ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে খান। খাবারের পর ১৫-২০ মিনিট হাঁটুন, যা শতাবলী নামেও পরিচিত। এটি রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৭. নিয়মিত চেকআপ: আপনার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করা নিয়মিত পরীক্ষা করান। সর্বোত্তম সুরক্ষা হল আপনার হৃদরোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকা এবং বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো অস্বাভাবিক লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা না করা।
এই ৭টি নিয়ম কেবল একটি নির্দেশিকা নয়, বরং একটি সুস্থ জীবনযাত্রার পথ। আপনার হৃদয়ের যত্ন নেওয়া এমন একটি বিনিয়োগ যা আপনার সারা জীবন ধরে ফল দেবে।
ছেঁড়া চুলের গুচ্ছ ফেলছেন অবহেলায়? মানুন এই ছোট্ট টোটকা, বদলে যেতে পারে ভাগ্য!
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০০:০১ : আমরা প্রত্যেকেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চুলের যত্ন নেই। চুল শুধু আমাদের সৌন্দর্য নয়, ব্যক্তিত্বেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু আপনি কি জানেন, আঁচড়ানোর সময় পড়ে থাকা চুল শুধুমাত্র ময়লা নয়, এটি আমাদের জীবনের শক্তি ও ভাগ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে? প্রায়ই আমরা এই ভাঙা চুল অবহেলা করে এমন জায়গায় ফেলে দিই যেখানে তা ময়লায় মিশে যায় বা কারও পায়ের নীচে পড়ে। অথচ প্রাচীন জ্যোতিষশাস্ত্রে চুল ফেলার নিয়ম নিয়ে রয়েছে বিশেষ সতর্কবার্তা।
ছেঁড়া চুলের প্রতিকার ও জ্যোতিষীয় ব্যাখ্যা
ভোপালের জ্যোতিষী ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মার মতে, চুল নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করে। তাই ভুলভাবে ফেললে তা গৃহের আর্থিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং শক্তির ভারসাম্যের সঙ্গেও সম্পর্কিত। তাই ঘরে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখতে এবং আর্থিক সমস্যা এড়াতে সঠিকভাবে হারানো চুল নিষ্পত্তি করা অত্যন্ত জরুরি।
চুল নিষ্পত্তির সঠিক পদ্ধতি
১. প্রথমে আঁচড়ানোর পর পড়ে থাকা সমস্ত চুল একত্র করুন।
২. সেই গুচ্ছটি হাতে নিয়ে ঘড়ির কাঁটার দিকে সাতবার এবং উল্টো দিকে সাতবার ঘোরান।
৩. এরপর গুচ্ছটির উপর তিনবার হালকা থুথু দিন এবং সেটি প্রবাহিত জলে ফেলুন। এটি ঘরের ড্রেনেও করা যায়।
৪. যদি প্রবাহিত জলে ফেলার সুযোগ না থাকে, তাহলে চুলটিকে ময়দার বলের মধ্যে বেঁধে এমন জায়গায় ফেলুন যেখানে কেউ দেখতে পাবে না।
দৈনন্দিন অভ্যাস হিসেবে রাখুন
পোশাক, বিছানা বা মাটিতে পড়ে থাকা যেকোনো আলগা চুল একই গুচ্ছের সঙ্গে ফেলুন।
প্রতিদিন এই প্রক্রিয়া পালন করলে ঘরের শক্তি ও পরিবেশ ইতিবাচক থাকে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে চুলের প্রতীকী তাৎপর্য
জ্যোতিষ মতে, নারীদের দেবী লক্ষ্মীর প্রতিরূপ বলা হয়। তাই বিশেষ করে বিবাহিত মহিলাদের উচিত নয় তাদের চুল কারও পায়ের নিচে পড়তে দেওয়া বা খোলা রেখে ঘুরে বেড়ানো। এর ফলে ঘরে আর্থিক ক্ষতি বা অশান্তি দেখা দিতে পারে। পণ্ডিত বিনোদ সোনির মতে, এই নিয়ম শুধু বিবাহিত নয়, প্রত্যেক নারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
মনে রাখবেন
কখনো চুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন না।
চুল ফেলার সময় ইতিবাচক ভাবনা রাখুন।
এই প্রক্রিয়া ঘরের সম্পদ, সৌভাগ্য ও শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখে।
মেষ থেকে মীন, কেমন কাটবে ০৯ অক্টোবর? একনজরে দেখে নিন রাশিফল
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০০:০১ : বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে মোট ১২টি রাশির চিহ্ন বর্ণিত হয়েছে। প্রতিটি রাশির অধিপতি একটি গ্রহ। রাশিফল গ্রহ এবং নক্ষত্রের গতিবিধি দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়। ০৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার। জেনে নিন ০৯ অক্টোবর কোন রাশির চিহ্নগুলি উপকৃত হবে এবং কোন রাশির চিহ্নগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। মেষ থেকে মীন রাশির অবস্থা পড়ুন।
মেষ রাশি: আজকের দিনটি আপনাকে পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করার জন্য অনুপ্রাণিত করছে। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উভয় ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জের ছদ্মবেশে সুযোগ তৈরি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে কোনও প্রকল্পের জন্য আপনার সৃজনশীলতার প্রয়োজন হতে পারে।
বৃষ রাশি: আজ আপনার আদর্শ ছাঁচে না থাকা লোকদের প্রতি খোলা মনের অধিকারী হোন। আপনার পেশাগত দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য কর্মক্ষেত্রে নতুন কাজ শুরু করুন। অর্থ আসবে, তবে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মিথুন: আজকের গ্রহের অবস্থান আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসে। প্রেমের ক্ষেত্রে বিস্ময় আশা করুন। কিছু আর্থিক দক্ষতা শেখার জন্যও এটি খারাপ দিন নয়। চাপ কমিয়ে দিন।
কর্কট: আপনার উদ্ভাবনী ধারণাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আজ উপযুক্ত দিন। ব্যায়ামকে আপনার দিনের একটি অংশ করুন। আপনার আর্থিক কৌশলের উপর মনোযোগ দিন। কাজ-সম্পর্কিত অসুবিধাগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য কৌশল তৈরি করুন।
সিংহ রাশি: আজ আপনার স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার দিন। আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করবেন না। যদি আপনি কোনও বড় বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তাহলে প্রথমে ভালো-মন্দ বিবেচনা করুন। হৃদয়ের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করবেন না।
কন্যা: আজ আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করবে। আপনার আর্থিক পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করুন। হৃদয়ের বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তা করবেন না। আপনার সঙ্গীকে ভালো মেজাজে রাখুন।
তুলা: আজ আপনার নতুন মানুষের সাথে দেখা হবে এবং এটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য খুবই উপকারী হবে। আপনি কিছু নতুন আর্থিক সুযোগও খুঁজে পেতে পারেন। কোনও পুরনো বন্ধু আপনাকে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে অথবা আপনাকে ভালো চুক্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
বৃশ্চিক: আজ আপনার অন্তর্দৃষ্টি আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। নক্ষত্ররা আপনাকে আপনার দায়িত্বের উপর মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেয়। ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বপ্ন দেখা এবং আপনার আবেগকে উপভোগ করা দুর্দান্ত।
ধনু: আপনি যদি অবিবাহিত হন, তাহলে আজ আপনি বিশেষ কারো সাথে সময় কাটাতে উপভোগ করতে পারেন। এই সময়ে দম্পতিরা ঘনিষ্ঠ হবে। আপনার স্বাস্থ্য এবং শক্তিও ইতিবাচক থাকবে। আর্থিক ক্ষেত্রে নতুন পথ উন্মোচিত হবে।
মকর: আজকের দিনটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত দিন হতে চলেছে। অর্থের বিষয়ে আপনার সতর্ক থাকা দরকার। নক্ষত্ররা আপনার পক্ষে। আপনার সৃজনশীলতা মৌমাছির মতো মানুষকে মধুর দিকে আকৃষ্ট করবে।
কুম্ভ: আজ আপনার আর্থিক পরিস্থিতিতে কিছু উত্থান-পতন হতে পারে। পেশাগতভাবে, অগ্রগতির একটি ঢেউ আপনার দিকে এগিয়ে আসছে। প্রেমের জাদু আপনাকে অভিভূত করুক। বুদ্ধিমানের মতো সিদ্ধান্ত নিন।
মীন: আজকের দিনটি আপনার জন্য উত্থান-পতনে ভরা। অফিসের গসিপ এবং রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন। আপনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।
Wednesday, October 8, 2025
বিজেপি নেতাদের উপর হামলায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, মমতা সরকারকে ২৪ ঘন্টার চূড়ান্ত আলটিমেটাম
কলকাতা, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৩৫:০১ : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোস বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে, যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের ভারতের সংবিধানের অধীনে অন্যান্য বিকল্প বিবেচনা করতে হবে।
এদিকে, সোমবার বিকেলে ঘটনার প্রায় ৫৪ ঘন্টা পর, পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে হামলার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকি ছয়জনের খোঁজ চলছে।
বাংলার রাজ্যপাল বলেন, "যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা হয়, তাহলে আমাকে সংবিধান অনুসারে আরও ব্যবস্থা নিতে হবে।" শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে আহত দুই বিজেপি নেতাকে দেখতে যাওয়ার একদিন পর তাঁর মন্তব্য।
মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শন করার সময় জনতার আক্রমণে আহত হন।
বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এই আক্রমণকে "একেবারে ভয়াবহ" বলে অভিহিত করেছেন। এই ঘটনা রাজভবন এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জন্ম দিয়েছে।
আনন্দ বোস বলেছেন যে "ভারতের সংবিধান অনুসারে, আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রাথমিক দায়িত্ব রাজ্য সরকারের" এবং প্রশাসনকে "খুব স্পষ্টভাবে কাজ করার" আহ্বান জানিয়েছেন যাতে জনগণ আশ্বস্ত বোধ করতে পারে।
সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, "যদি নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, বিশেষ করে তফসিলি উপজাতির সাংসদ এবং বিধায়করা নিরাপদ বোধ না করেন, তাহলে এর অর্থ হল গণতন্ত্র আক্রান্ত। একটি গণতান্ত্রিক জাতি এটি সহ্য করতে পারে না।"
রাজ্যপাল আরও বলেছেন যে বাংলার মানুষদের তাদের জীবনের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তিনি আরও বলেন, "এই অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের কাজ। বাংলায় এটি করা হচ্ছে না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতি।"
রাজ্যের কিছু অংশে "আইনবহির্ভূত ঘটনা" এবং "গুন্ডামি" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বোস বলেন যে এই ধরনের নৈরাজ্য নতুন কিছু নয়, তবে এখন "বর্তমান সরকারকে অবশ্যই এটি সম্পূর্ণরূপে দমন করতে হবে।"
তিনি বলেন, "আমি ইতিমধ্যেই মৌখিক এবং লিখিতভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছি যে অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "যদি এটি না ঘটে, তাহলে আমি সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইব, কারণ ভদ্রতার নিয়ম অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।"
‘অমিত শাহের উপর ভরসা করবেন না’, মোদীকে পরামর্শ মমতার! তুলনা করলেন মীরজাফরের সঙ্গে
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২১:২৩:০১ : বুধবার (৮ অক্টোবর, ২০২৫) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর মতো আচরণ করার অভিযোগ করেছেন। বন্যা ও ভূমিধসে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে এসে তিনি বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করতে চাই যে অমিত শাহের উপর খুব বেশি বিশ্বাস করবেন না, যিনি একদিন তাঁর মীর জাফর হতে পারেন।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮ শতকের বাংলার সেনাপতি মীর জাফরের কথা উল্লেখ করছিলেন, যিনি ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন এবং ব্রিটিশদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি ব্রিটিশদের সহায়তায় বাংলার শাসক হয়েছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনার (এসআইআর) কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, "তাদের (বিজেপি) এক নেতা এখানে এসে বলেন যে তিনি বাংলার ভোটার তালিকা থেকে লক্ষ লক্ষ নাম মুছে ফেলবেন। বলুন তো, আমরা বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভারী বৃষ্টিপাত, উৎসব ইত্যাদির সাথে লড়াই করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কি ১৫ দিনের মধ্যে SIR প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে এবং সেই সময়ের মধ্যে নতুন নাম আপলোড করা যাবে?"
তিনি প্রশ্ন তোলেন যে নির্বাচন কমিশনের কি বিজেপির নির্দেশে কাজ করা উচিত নাকি জনগণের গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকারের স্বার্থে কাজ করা উচিত?
তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিযোগ করেন, "এটা সবই অমিত শাহের খেলা। তিনি এমন আচরণ করছেন যেন তিনি এই দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু আমি দুঃখের সাথে বলছি যে প্রধানমন্ত্রী মোদী সবকিছু জানেন।"
তিনি বলেন, "আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারি যে তিনি সর্বদা অমিত শাহকে বিশ্বাস করবেন না। একদিন তিনি আপনার সবচেয়ে বড় মীর জাফর হিসেবে প্রমাণিত হবেন। সময় আছে, সতর্ক থাকুন কারণ সকালই দিন দেখায়।" বিজেপি দেশকে ধ্বংস করার অভিযোগ এনে তিনি সতর্ক করে দেন যে, তারা চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। তিনি বলেন, "আমি আমার জীবনে অনেক সরকার দেখেছি, কিন্তু এত উদ্ধত ও স্বৈরাচারী শাসন কখনও দেখিনি।"
'ভারত তখনই ঐক্যবদ্ধ ছিল যখন ঔরঙ্গজেব রাজত্ব করেছিলেন', ফের বিতর্কিত মন্তব্য পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৪৩:০১ : পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আবারও ভারতের সাথে যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন। তিনি বলেছেন যে প্রতিবেশী দেশের সাথে আরেকটি যুদ্ধের সম্ভাবনা খুবই বেশি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যের সময় ঔরঙ্গজেবের কথাও উল্লেখ করেছেন। তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন যে এবার পাকিস্তান মানচিত্রে থাকতে চায় কিনা তা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে খাজা আসিফ বলেন, "মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকাল ছাড়া ভারত কখনও ঐক্যবদ্ধ জাতি ছিল না। পাকিস্তান আল্লাহর নামে তৈরি হয়েছিল। ঘরে বসে আমরা তর্ক করি এবং প্রতিযোগিতা করি। ভারতের সাথে লড়াইয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।" পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবী করেছেন যে ভারতের সাথে যুদ্ধের সম্ভাবনা বাস্তব।
ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর থেকে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত একটি স্থিতিশীল এবং ঐক্যবদ্ধ গণতন্ত্র হিসেবে রয়ে গেছে, যদিও পাকিস্তান অসংখ্য সামরিক অভ্যুত্থান এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজনের সম্মুখীন হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, "ইসলামাবাদ ভারতের সাথে কোনও উত্তেজনা চায় না। এবার ঝুঁকি বাস্তব, এবং আমি তা অস্বীকার করছি না। যদি যুদ্ধ যুদ্ধে রূপ নেয়, তাহলে ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমরা আগের চেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করব।"
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সম্প্রতি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেছেন, "যদি তারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন অব্যাহত রাখে, তাহলে ইসলামাবাদের নাম বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। যদি তারা বিশ্ব মানচিত্রে তাদের স্থান ধরে রাখতে চায়, তাহলে তাদের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রচার বন্ধ করতে হবে।"
"মুম্বাই হামলার পর কংগ্রেসের ব্যর্থতা, সরকার সাহস দেখাতে ব্যর্থ", বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২০:০১ : নবি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এনএমআইএ) উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অপারেশন সিন্দুরের প্রশংসা করেন এবং কংগ্রেস দলকে তীব্র নিশানা করেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে এবিপি নিউজের একটি সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করেন যেখানে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে আমেরিকা সেই সময়ে ভারতকে প্রতিশোধ নিতে বাধা দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "সম্প্রতি, কংগ্রেসের শাসনামলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী একজন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একটি সাক্ষাৎকারে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ করেছেন যে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর, আমাদের বাহিনী পাকিস্তানে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। সমগ্র দেশও একই কথা চেয়েছিল, কিন্তু অন্য দেশের চাপে, কংগ্রেস সরকার দেশের বাহিনীকে পাকিস্তানে আক্রমণ করা থেকে বিরত রেখেছিল। কংগ্রেস দলকে ব্যাখ্যা করতে হবে কে বিদেশী চাপে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং মুম্বাই এবং দেশের অনুভূতি নিয়ে খেলছে।"
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "মুম্বাই ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী এবং ভারতের অন্যতম প্রাণবন্ত শহর। এই কারণেই ২০০৮ সালে সন্ত্রাসীরা মুম্বাইকে একটি বড় হামলার জন্য বেছে নিয়েছিল। তবে, তৎকালীন ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার সন্ত্রাসবাদের কাছে দুর্বলতার বার্তা পাঠিয়েছিল এবং আত্মসমর্পণ করেছিল।"
অপারেশন সিন্দুরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমাদের কাছে, আমাদের দেশ এবং এর নাগরিকদের নিরাপত্তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই। আজকের ভারত ঘরে ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায়। অপারেশন সিন্দুরের সময় বিশ্ব এটি প্রত্যক্ষ করেছে।"
রসায়নে নোবেল পাচ্ছেন তিন দেশের তিন বিজ্ঞানী!
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:০৪:০১ : রসায়নে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ধাতু-জৈব কাঠামোর উন্নয়নের উপর তাদের কাজের জন্য সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমর এম. ইয়াঘিকে এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ঘোষণা করেছে যে নতুন ধরণের আণবিক স্থাপত্যের বিকাশের জন্য সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমর এম. ইয়াঘিকে ২০২৫ সালের রসায়নে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৯ সালে, রসায়ন বিজয়ী রিচার্ড রবসন পরমাণুর অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যগুলিকে নতুন উপায়ে ব্যবহার করে পরীক্ষা করেছিলেন।
তারা ধনাত্মক চার্জযুক্ত তামার আয়নগুলিকে একটি টেট্রাহেড্রাল অণুতে একত্রিত করেছিল। এতে একটি রাসায়নিক গোষ্ঠী ছিল যা প্রতিটি বাহুর শেষে তামার আয়নের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। একত্রিত হলে, তারা একটি সুবিন্যস্ত, বিশাল স্ফটিক তৈরি করতে আবদ্ধ হয়, যা অসংখ্য গহ্বরে ভরা হীরার মতো।
সুসুমু দেখিয়েছিলেন যে গ্যাসগুলি কাঠামোর ভিতরে এবং বাইরে প্রবাহিত হতে পারে। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ধাতব-জৈব কাঠামো (MOFs) নমনীয় করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে, ওমর ইয়াঘি একটি অত্যন্ত স্থিতিশীল MOF তৈরি করেছিলেন এবং দেখিয়েছিলেন যে যুক্তিসঙ্গত নকশা ব্যবহার করে এটি পরিবর্তন করা যেতে পারে, এটিকে নতুন এবং পছন্দসই বৈশিষ্ট্য প্রদান করে।
জুবিন গর্গের মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়! গ্রেপ্তার কাকাতো ভাই এপিএস সন্দীপন
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:০৫:০১ : প্রয়াত গায়ক জুবীন গর্গের মৃত্যুর তদন্তে নতুন মোড়। সিআইডি জুবীন গর্গের কাকাতো ভাই সন্দীপন গর্গকে গ্রেপ্তার করেছে। সন্দীপন গর্গ আসাম পুলিশ সার্ভিস (এপিএস) অফিসার। ঘটনার সময় তিনি জুবীনের সাথে ছিলেন বলে জানা গেছে। সিআইডি এখনও পর্যন্ত এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সন্দীপন গর্গের গ্রেপ্তারের কথা প্রকাশ করে এসআইটি প্রধান এবং বিশেষ ডিজিপি (সিআইডি) মুন্না প্রসাদ গুপ্ত একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে গায়ক জুবীন গর্গের মৃত্যুর ঘটনায় আসাম পুলিশের এসআইটি/সিআইডি এপিএস অফিসার সন্দীপন গর্গকে গ্রেপ্তার করেছে।
জুবিন গর্গের মৃত্যুর বিষয়ে সিআইডি কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত, সিআইডি এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইভেন্ট আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, তার ব্যান্ডমেট শেখর জ্যোতি গোস্বামী, সহ-গায়ক অমৃতপ্রব মহন্ত এবং এখন তার ভাই, এপিএস অফিসার সন্দীপন গর্গ।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সতর্ক করে বলেছেন যে সরকার জুবিন গর্গের মৃত্যুর জন্য প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে কিছু লোক আসামকে নেপালে পরিণত করার চেষ্টা করছে। এই ধরণের লোকদের কোনও মূল্যে ছাড় দেওয়া হবে না। জুবিন গর্গ ইস্যুতে জনগণকে উস্কানি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকার মামলা দায়ের করবে। তিনি বলেন, "আমি নিশ্চিত যে পুলিশ এই বিষয়ে গৌরব গগৈকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।"
গৌরব গগৈ জুবিনের মৃত্যুর তদন্তে বাধা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। গৌরব গগৈ বলেন যে মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য জুবিনের জন্য ন্যায়বিচার আদায় করা নয় বরং শ্যামকানু মহন্তকে রক্ষা করা, কারণ মহন্তের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন দয়া করে মহন্তকে রক্ষা করার চেষ্টা বন্ধ করুন।
আকাশে গর্জে উঠল ভারতের বীরত্ব! ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর নায়কদের সম্মান প্রদান
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৫৫:০১ : গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমান বাহিনী স্টেশনে আজ ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের ৯৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস অত্যন্ত গর্ব ও বীরত্বের সাথে উদযাপন করেছে। এই বছর, প্রথমবারের মতো, সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখার একটি যৌথ দল - সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী - এর মাধ্যমে কুচকাওয়াজ শুরু হয়েছিল, যা যৌথতা এবং আত্মনির্ভরতার এক নতুন যুগের প্রদর্শন করেছিল।
এই জমকালো অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং উপস্থিত ছিলেন। বিমান বাহিনী প্রধান স্যালুট গ্রহণ করেন এবং সারা দেশের বিমান যোদ্ধাদের উৎসাহিত করেন।
অনুষ্ঠান চলাকালীন, ৯৭ জন বিমান যোদ্ধাকে সম্মানিত করা হয়। এর মধ্যে রাফালে জেটের গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রন, ব্রহ্মোস-সজ্জিত সুখোইয়ের টাইগার শার্ক স্কোয়াড্রন, এস-৪০০ মিসাইল ইউনিট এবং লোইটারিং মিনিশন ইউনিটকে বিশেষ প্রশংসা প্রদান করা হয়। এই ইউনিটগুলি অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
এই বছর, বিমান বাহিনী দিবসের কর্মসূচি দুটি ভাগে বিভক্ত: ৮ অক্টোবর হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে কুচকাওয়াজ এবং ৯ নভেম্বর গুয়াহাটিতে জমকালো ফ্লাইপাস্ট। আজকের অনুষ্ঠানে কেবল যুদ্ধবিমানই নয়, যুদ্ধ হেলিকপ্টার এবং পরিবহন বিমানও প্রদর্শিত হয়েছিল। একটি MI-17i হেলিকপ্টার থেকে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা, বিমান বাহিনীর পতাকা এবং অপারেশন সিন্দুর পতাকা উড়িয়ে পরিবেশকে দেশপ্রেমে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মার্কিন বিমান বাহিনী, রাশিয়া এবং চীনের পরে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে বিশ্বের চতুর্থ সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান বাহিনী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে মোট ২,২২৯টি বিমান রয়েছে, যার মধ্যে ৫৩টি যুদ্ধবিমান, ৮৯৯টি হেলিকপ্টার এবং ৮৩১টি সহায়তা বিমান রয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি ভারতের অপ্রতিরোধ্য বিমান শক্তি প্রদর্শন করে।
পাকিস্তানি বিমান বাহিনী ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাথে কোন তুলনা করতে পারে না। তাদের কাছে ১,৩৯৯টি বিমান, ৩২৮টি যুদ্ধবিমান, ৩৭৩টি হেলিকপ্টার এবং ৭৫০টি সহায়ক বিমান রয়েছে, যা ভারতের শক্তির চেয়ে অনেক বেশি। এই কারণেই, অপারেশন সিন্দুরের মতো অভিযানের পর, পাকিস্তানি বিমান বাহিনী ভারতীয় বিমান বাহিনীকে ভয় পায়।
৯৩ বছরের গৌরব এবং ভবিষ্যতের দিকে উড্ডয়নের মাধ্যমে, ভারতীয় বিমান বাহিনী আবারও প্রমাণ করেছে যে "গৌরবের সাথে আকাশ স্পর্শ করুন" কেবল একটি স্লোগান নয়, বরং একটি অঙ্গীকার।
করভা চৌথে মেহেন্দির সাথে মিশিয়ে নিন এই জিনিসগুলো, সঙ্গীর সঙ্গে মজবুত হবে সম্পর্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫: বিবাহিত মহিলাদের জন্য করভা চৌথের পর্ব খুবই বিশেষ। তারা সারা বছর ধরে এই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করেন। এই সময় তাঁরা তাঁদের স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে উপবাস করেন। এই বছর, এটি ৯ অক্টোবর পালিত হচ্ছে। এটি এমন একটি উৎসব যেখানে মহিলারা তাঁদের সাজগোজের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেন। সঙ্গীর সাথে সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য এই দিনে মেহেন্দিও লাগানো হয়। তবে এই মেহেন্দির সাথে কিছু জিনিস মিশিয়ে ব্যবহার করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
করভা চৌথের জন্য মেহেন্দি লাগানোর সময় এতে আপনার রোলি এবং চাল মেশানোর চেষ্টা করা উচিৎ। আপনি গোলাপের পাপড়ি, হলুদ এবং সামান্য সুগন্ধিও যোগ করতে পারেন। বলা হয় যে ,মেহেন্দির সাথে রোলি এবং চাল মিশিয়ে লাগালে জীবনে সুখ ও অগ্রগতি আসে। এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ককেও বাড়িয়ে তোলে। মেহেন্দির সাথে গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে লাগালে আপনার বিবাহিত জীবনে সুখ আসে, আপনার সম্পর্কের যেকোনও উত্তেজনা দূর হয় এবং সম্পর্কে রোমান্স বৃদ্ধি পায়।
এর পাশাপাশি, মেহেন্দিতে হলুদ মিশিয়ে লাগালেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মজবুত হয়। এটি বিবাহ সম্পর্কিত সকল ধরণের সমস্যাও দূর করে, কারণ হলুদকে দেবগুরু বৃহস্পতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কোন কোন বিষয় মনে রাখা উচিৎ?
আপনি যদি করভা চৌথ পালন করেন, তাহলে কিছু বিষয় মনে রাখা উচিৎ। উদাহরণস্বরূপ, ব্রহ্ম মুহুর্তের সময় খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। সকলেই জানেন যে, এই উৎসব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য, তাই এই দিনে যে কোনও ঝগড়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। গর্ভবতী মহিলাদের নিজেদের এবং তাদের সন্তানদের কথা মাথায় রেখে উপবাস এড়িয়ে চলা উচিৎ। তাছাড়া, উপবাসের পরে খাওয়া খাবার এবং পানীয়ের ব্যাপারেও যত্নবান হওয়া উচিৎ। উপবাসের সময় আমাদের কিছু খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। এই দিনে কালো এবং সাদা পোশাক পরা অশুভ বলে মনে করা হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
গম্ভীরকে নিশানা রোহিতের? বিশ্বকাপ ট্রফি জয় নিয়ে কী বললেন হিটম্যান?
স্পোর্টস ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫: রোহিত শর্মাকে এখন ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোর্ড তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেছে শুভমান গিলকে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল আট মাসের মধ্যে দুটি ট্রফি জিতেছে। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় রাহুল দ্রাবিড় কোচ ছিলেন এবং এই বছর গৌতম গম্ভীরের কোচ থাকতে দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছে। রোহিত অধিনায়কত্ব হারাতেই তাঁর অনুরাগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই আবহে
মঙ্গলবার রোহিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দ্রাবিড়ের কার্যকালে শুরু করা প্রক্রিয়াগুলো পালন করার কারণই টিম ইন্ডিয়াকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে সাহায্য করেছে।
সিএটি ক্রিকেট রেটিং পুরষ্কার অনুষ্ঠানে রোহিত শর্মা বলেন, "আমার সেই দল পছন্দ এবং তাদের সাথে খেলাও পছন্দ। আমরা সকলেই অনেক বছর ধরে এই যাত্রায় ছিলাম। এই সব এক বা দুই বছরের ব্যাপার ছিল না, অনেক সময় থেকে কাজ চলছিল। আমরা অনেকবার ট্রফি জয়ের কাছাকাছি এসেছিলাম কিন্তু জিততে পারছিলাম না। তখন আমরা সকলেই সিদ্ধান্ত নিই যে, আমাদের ভিন্ন কিছু করতে হবে এবং এটি করার দুটি উপায় ছিল। ভাবনা ছিল এটা করা যায় বা ওটার মতই করা যায়। এটি কেবল একজন বা দুজন খেলোয়াড়ের দিয়ে সম্ভব ছিল না। আমাদের দরকার ছিল সকলেই এই ধারণাটি গ্রহণ করুন এবং সবার দিক থেকে ভালো ছিল।"
হিটম্যান আরও বলেন, "ওই টুর্নামেন্টে (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫) খেলা সকল খেলোয়াড়ই এটা ভেবেছিলেন যে কীভাবে ম্যাচ জিতবেন এবং কীভাবে নিজেদের চ্যালেঞ্জ জানাবেন। আত্মসন্তুষ্ট হবেন না এবং কোনও কিছুকে হালকাভাবে নেবেন না। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় রাহুল ভাই (দ্রাবিড়) এবং এই প্রক্রিয়াটি আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এটি অব্যাহত রেখেছিলাম।" উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় গৌতম গম্ভীর টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ ছিলেন।
উধমপুরে সন্দেহভাজন জঙ্গি, তল্লাশি অভিযান শুরু নিরাপত্তা বাহিনীর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৫:০১ : জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য ধারাবাহিক অভিযান চলছে। এদিকে, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) উধমপুর জেলায় তিন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জেলার বসন্তগড় অঞ্চলের ধরনি টপ এলাকায় তিনজন সশস্ত্র ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশকে খবর দিয়েছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা সবুজ ও কালো জ্যাকেট এবং উঁচু হিলের বুট পরা অস্ত্রধারী তিন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে দেখতে পেয়েছে। তথ্যের পর, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে ঘন জঙ্গল ঘেরা এলাকায় একটি কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন শুরু করেছে। সন্ত্রাসীরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য এলাকাটি সম্পূর্ণরূপে সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং ঘেরা রাখা হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে এবং এলাকায় টহল দিচ্ছে। ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে অভিযান চলছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি শনাক্ত করার জন্য সমস্ত গোয়েন্দা তথ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার বিরান্থুব এলাকায় সন্ত্রাসীরা হঠাৎ নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি চালায়। কান্দি থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা গুলি চালানোর পর সংঘর্ষ শুরু হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে সন্দেহজনক গতিবিধির তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় পুলিশ (SOG) তল্লাশি অভিযান শুরু করলে গুলি চালানো হয়।
আইজিপি জানিয়েছেন যে রাজৌরির কান্দি থানার বিরান্থুব এলাকায় সন্ত্রাসবাদী ও একটি স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) দলের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। যৌথ পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং CRPF দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি ঘিরে ফেলে। সন্ধ্যা ৭:২০ টার দিকে ধেরি খাতুনি জঙ্গলে সন্ত্রাসবাদী ও পুলিশ দলের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, তাতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তারা জানিয়েছে যে স্থানীয় পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গতিবিধির তথ্য পাওয়ার পর তল্লাশি অভিযান শুরু করে, যখন গুলি চালানো হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ করিয়ে আসছে, যাদের অনেকেরই জঙ্গল সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রয়েছে। এই সন্ত্রাসীরা বন এবং পাহাড়ি এলাকায় লুকিয়ে থাকে, যা বিদ্রোহ দমন অভিযানকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।
আহত বিজেপি সাংসদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা
কলকাতা, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৮:০১ : মঙ্গলবার শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে দেখতে যান। তিনি চিকিৎসকদের সাথেও কথা বলেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল সহায়তার আশ্বাস দেন বিজেপি নেতাকে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা সাংবাদিকদের বলেন, "আমি সমস্ত তথ্য পেয়েছি। খগেন মুর্মুর রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, যা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। আমি তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনাও করেছি।"
সোমবার স্থানীয়রা তাকে এবং দলের বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ঘিরে রাখার অভিযোগে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু আহত হন। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বন্যা কবলিত নাগরাকাটা এলাকা পরিদর্শন করছিলেন দুই নেতা। হাসপাতালে নেওয়ার আগে শঙ্কর ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্তাক্ত খগেন মুর্মুর একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবী করেন যে স্থানীয়রা তাকে ধাক্কা দিয়েছে এবং নাগরাকাটা এলাকায় তার গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতে তাদের নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় বিজেপি সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে এটিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বলে অভিহিত করেছে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "একদল জনতা বিজেপি সাংসদ এবং একজন বিধায়ক সহ দলের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অত্যন্ত করুণ অবস্থাকে প্রতিফলিত করে।"
সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকে আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণ
ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫: ট্রাকের সাথে জোর ধাক্কা, এলপিজি সিলিন্ডার বোঝাই একটি ট্রাকের। ঘটনার পরই সিলিন্ডার ভর্তি ট্রাকটিতে আগুন ধরে যায় এবং একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। মঙ্গলবার রাতে রাজস্থানের জয়পুর-আজমের হাইওয়েতে দুদুর কাছে এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ২-৩ জন সামান্য আহত হন এবং তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছু গাড়িও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছিল এবং বিস্ফোরণের শব্দও অনেক দূর থেকে শোনা যাচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ, প্রশাসন এবং দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জয়পুর-আজমের মহাসড়কের মৌজমবাদ এলাকার সাওয়ারদা কালভার্টের কাছে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এলপিজি সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকটি রাস্তার ধারের একটি ধাবার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল, চালক সেখানে খাওয়ার জন্য থামেন। ধাবার কাছে উপস্থিত বিনোদ জানান, "পিছন থেকে আরেকটি ট্রাক এলপিজি সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এর পর গ্যাস সিলিন্ডারগুলি একের পর এক ফাটতে থাকে এবং বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছিল এবং বিস্ফোরণের শব্দও অনেক দূর থেকে শোনা যাচ্ছিল। আহত অবস্থায় ট্রাকের চালককে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"
জয়পুর-আজমের মহাসড়কের মৌজমবাদ এলাকার সাওয়ারদা কালভার্টের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার নির্দেশে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেমচাঁদ বৈরওয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। বৈরওয়া জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনায় জড়িত গাড়ির চালক এবং সহকারীকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তারাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এসএমএস হাসপাতাল প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে এবং যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে এই একই হাইওয়েতে জয়পুরের ভাঙ্করোটার কাছে একটি রান্নার গ্যাসের ট্যাঙ্কার একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা খায়। এই ঘটনায় উনিশ জন মারা যান।
মেষ থেকে মীন, কেমন কাটবে ০৮ অক্টোবর? একনজরে দেখে নিন রাশিফল
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০০:০১ : বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে মোট ১২টি রাশির চিহ্ন বর্ণিত হয়েছে। প্রতিটি রাশির অধিপতি একটি গ্রহ। রাশিফল গ্রহ এবং নক্ষত্রের গতিবিধি দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়। ০৮ অক্টোবর বুধবার। জেনে নিন ০৮ অক্টোবর কোন রাশির চিহ্নগুলি উপকৃত হবে এবং কোন রাশির চিহ্নগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। মেষ থেকে মীন রাশির অবস্থা পড়ুন।
মেষ রাশি
আজ প্রেমের ক্ষেত্রে আপনি ভাগ্যবান হবেন। আপনি বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ পাবেন। বয়স্ক ব্যক্তিদের খুব বেশি সিঁড়ি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত। আজ নতুন প্রকল্প শুরু করার জন্য একটি ভালো দিন।
বৃষ রাশি
আজ কাউকে, ভাইবোন হোক বা বন্ধু, বড় অঙ্কের টাকা দেওয়া এড়িয়ে চলুন। অফিসের রাজনীতি উপেক্ষা করবেন না। নিজেকে শক্তিশালী রাখুন এবং কূটনৈতিকভাবে পারিবারিক অসন্তোষ মোকাবেলা করুন। আপনার খরচ কমিয়ে দিন।
মিথুন রাশি
আজ কোনও বড় অসুস্থতা আপনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। অনলাইন লটারির মতো প্রতারণামূলক ব্যবসায় বিনিয়োগ করা এড়িয়ে চলুন। আপনার সহকর্মী এবং সিনিয়রদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কর্কট রাশি
আজ একজন বিশেষ ব্যক্তি আপনার জীবনে প্রবেশ করবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার কড়া পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার প্রশংসা করা হতে পারে। আপনি সুস্থ বোধ করার জন্য ভাগ্যবান হবেন।
সিংহ রাশি
আজ আপনার ভেতরের আগুন জ্বালান এবং বিজয় অর্জনের জন্য প্রস্তুত হন। আপনার দৃঢ় সংকল্প এবং উৎসাহ তাদের শীর্ষে থাকবে। দায়িত্ব নিন এবং নিজেকে ক্ষমতায়িত করুন। আজ আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার দিন।
কন্যা রাশি
এই দিনটিকে সর্বাধিক কাজে লাগানো আপনার উপর নির্ভর করে। আপনার আরামের অঞ্চল থেকে বেরিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে ভয় পাবেন না। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং পৃথিবী আপনার অনুসরণ করবে।
তুলা
আজকের দিনটি নেটওয়ার্কিং এবং নতুন মানুষের সাথে দেখা করার জন্য একটি ভাল সময় হবে। আপনার স্বাস্থ্য সারা দিন ভালো থাকবে। যদি আপনি চাকরি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার দক্ষতার উপর মনোযোগ দিন এবং সাক্ষাৎকারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্য পরিচিত। আপনার নক্ষত্রগুলি আপনার কঠোর পরিশ্রমের পুরষ্কার পাওয়ার জন্য অনুকূল। মহাবিশ্ব আপনাকে আপনার স্বপ্ন অর্জনে উৎসাহিত করছে।
ধনু
আজ, একটি সুখী প্রেম জীবনের জন্য সম্পর্কের সমস্যাগুলি বুদ্ধিমানের সাথে সমাধান করুন। পেশাগতভাবে, আপনি উৎপাদনশীল হবেন। তবে, আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আপনার কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে।
মকর
আজকের দিনটি আপনাকে নতুন প্রকল্প শুরু করতে অনুপ্রাণিত করবে। আপনি আপনার সহকর্মীদের সাথে আপনার ধারণাগুলি ভাগ করে নেওয়ার এবং আপনার কাজের উন্নতির জন্য প্রতিক্রিয়া এবং তথ্য খোঁজার তাগিদ অনুভব করতে পারেন।
কুম্ভ
আজকের দিনটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং উৎপাদনশীল দিন হবে। আপনার বুদ্ধিমত্তা এবং আকর্ষণ আপনাকে কথোপকথন এবং গোষ্ঠী কার্যকলাপে উজ্জ্বল হতে সাহায্য করবে। আপনি যদি একটি ছোট ভ্রমণের কথা ভাবছেন, তবে এটি একটি শুভ সময়।
মীন রাশি
আজ মনে রাখবেন, আপনার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যেকোনও কিছু সম্ভব। একটি ইতিবাচক মনোভাব এবং আত্ম-যত্ন আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনাকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে জিনিসগুলি দেখতেও সাহায্য করবে।
Tuesday, October 7, 2025
হিমাচল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮! শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর, ঘোষণা ক্ষতিপূরণের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২:০৬:০১ : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে বাসের ধ্বংসাবশেষ পড়ে দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এই কঠিন সময়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ জনে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় (৭ অক্টোবর, ২০২৫), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দুর্ঘটনার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ একটি পোস্ট শেয়ার করেছে। পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, "হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।"
তিনি আরও বলেছেন, "দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের প্রতি ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের প্রতি ৫০,০০০ টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (PMNRF) থেকে দেওয়া হবে।"
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে লিখেছেন, "হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে ভূমিধসের ফলে বাস দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি তাদের প্রিয়জনদের হারিয়ে যাওয়া পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।"
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলাসপুর ভূমিধসের বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে বলেছেন, "হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে ভূমিধসের ফলে সৃষ্ট বাস দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এনডিআরএফ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে। এই দুর্ঘটনায় যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।"
নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর! জেন-জেড আন্দোলনে মৃত্যুর দায় চাপল
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৫৫:০১ : নেপালে যুব-নেতৃত্বাধীন "জেন-জেড" আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত যুবকরা কাঠমান্ডু জেলা পুলিশ অফিসে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। কাঠমান্ডুর পুলিশ সুপার পবন ভট্টরাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলাটি এখন বিচারপতি গৌরী বাহাদুর কার্কির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একজন সিনিয়র আইনজীবী বলেছেন যে এফআইআর অলি এবং লেখকের ফৌজদারি দায় প্রতিষ্ঠা করবে এবং ৮-৯ সেপ্টেম্বর সংঘটিত অপরাধের তদন্তের পথ প্রশস্ত করবে।
জেন-জেড আন্দোলনের প্রথম দিন ৮ সেপ্টেম্বর, পুলিশের গুলিতে ১৯ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। দুই দিনে ছিয়াত্তর জন প্রাণ হারান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। প্রথম দিনেই যুবকরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছিল, কিন্তু পুলিশ কোনও সতর্কতা ছাড়াই গুলি চালিয়েছিল।
পরের দিন বিক্ষোভ আরও সহিংস হয়ে ওঠে, বেশ কয়েকটি সরকারি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সহিংসতা এবং ক্রমবর্ধমান যুব ক্ষোভ অলিকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। এখন, জেন-জেড আন্দোলনের কর্মীরা রাষ্ট্র-স্পন্সরিত সহিংসতার জন্য দায়ীদের শাস্তি এবং বিচারের আওতায় আনার দাবী করছেন।
জেন-জেড বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে কেপি শর্মা অলি ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১২ সেপ্টেম্বর, রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২৭৫ সদস্যের সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়, ৫ মার্চ, ২০২৬ তারিখে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
নেপালের রাজনৈতিক দলগুলিকে ১৬ থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যেকোনও নতুন দলকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে।
‘দিদি বুদ্ধি ঠিক রাখুন, ধর্মের বিরোধিতা করবেন না’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে সতর্ক করলেন বাগেশ্বর বাবা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১:১৯:০১ : ছত্তিশগড়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বাগেশ্বর ধামের প্রধান পুরোহিত পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। রায়পুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাস্ত্রী বলেন, "যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন বাংলায় অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হবে না।" তিনি ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন, "আমাদের পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দিদি আমাদের প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।"
তিনি বলেন, "অনুমতি বাতিল করা হয়েছিল। আমরা অন্য কোথাও অনুমতি পেতে পারিনি। আমরা যে এলাকায় ছিলাম সেখানে বন্যা হয়েছিল।" কেউ জিজ্ঞাসা করল, "আপনি কী বলবেন?" আমি বললাম, "ধন্যবাদ। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আমরা আমাদের কাজ ছেড়ে দেব। যতদিন দিদি সেখানে আছেন আমরা যাব না। দাদা যখন আসবেন তখন আমরা যাব।" তিনি আরও বলেন, "ঈশ্বর দিদিকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন। তার প্রতি আমাদের কোনও বিদ্বেষ নেই, তবে দয়া করে আপনার বিবেককে নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং ধর্মের বিরুদ্ধে হবেন না।"
পণ্ডিত শাস্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে হিন্দু-বিরোধী এবং সনাতন-বিরোধী যেকোনও কার্যকলাপ বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, "আমরা কোনও রাজনীতির পক্ষেও নই, আবার বিপক্ষেও নই। আমরা সনাতন ধর্মের পক্ষে এবং সর্বদা হিন্দুত্বের পক্ষে ছিলাম এবং থাকব।"
খবর অনুসারে, ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর হনুমান কথা ১০, ১১ এবং ১২ অক্টোবর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, ভারী বৃষ্টিপাত এবং প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ার কারণে, অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে। শাস্ত্রী জানিয়েছেন যে তিনি কোনও স্থানে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের অনুমতি পেতে পারেননি। ফলস্বরূপ, এখন কথাটি স্থগিত করা হয়েছে।
ভূমিধসে বিধ্বস্ত বাস! মৃত ১৫, চলছে উদ্ধার অভিযান
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১:০৬:০১ : মঙ্গলবার রাতে হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর জেলায় একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। ভাল্লু সেতুতে একটি বাস পাহাড় থেকে পড়ে ধ্বংসস্তূপের ধাক্কায় পড়ে। ঘটনাস্থলেই পনেরো জন যাত্রী মারা যান, এবং আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধারকাজ শুরু করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাসে প্রায় ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও প্রশাসনের দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং জেসিবির সাহায্যে ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে ঝান্ডুতা বিধানসভা কেন্দ্রের বার্থিনে ভাল্লু সেতুর কাছে একটি বাস যাচ্ছিল। প্রায় ৩০ জন যাত্রী সেখানে থাকা অবস্থায় হঠাৎ পাহাড়ের ঢাল ভেঙে পড়ে, যার ফলে বাসের উপর ধ্বংসস্তূপ পড়ে যায়। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শব্দ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং উদ্ধারকাজ শুরু করেন। তারা দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় থানায়ও খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ দল ঘটনাস্থলে একটি জেসিবি ডেকে বাস থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেয়। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে বাস থেকে ঝুমারউইন ঝান্ডুতা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, ঘটনাস্থলেই ছয় যাত্রীর মৃত্যু হয়। বাকি আটজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাস থেকে তিনজন যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে এই কঠিন সময়ে রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে এবং তাদের সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করবে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জেলা প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী শিমলা থেকে পরিস্থিতির উপর ধারাবাহিকভাবে নজর রাখছেন।
পবিত্র কার্তিক মাসে কী শুভ এবং কী অশুভ, জেনে নিন নিয়ম
হিন্দু ধর্মে কার্তিক মাসের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই পবিত্র মাসটি নারায়ণ, ভগবান বিষ্ণু এবং মা তুলসীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। এই মাসে দান এবং পূজা করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। বলা হয় যে, এই মাসে যারা ভগবান বিষ্ণুর পূজা করেন, কিছু নিয়ম মেনে, তাদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। তবে, এই সময়কালে তাদের প্রার্থনার পূর্ণ সুফল নিশ্চিত করার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।
কার্তিক মাসে কী করা উচিত?
কার্তিক মাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করা উচিত এবং বাড়ি, মন্দির এবং আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা উচিত।
এই মাসে দান করা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়।
কার্তিক মাসে সন্ধ্যাবেলা তুলসী গাছের কাছে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এছাড়াও, বাড়ির উঠোনে, নদীর তীরে এবং দেবতাদের কাছে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এতে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির পরিবেশ তৈরি হয়।
কথিত আছে যে এই মাসে ব্রহ্মচর্যের নিয়ম মেনে চলা উচিত।
কার্তিক মাসে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?
কার্তিক মাসে উড়াল, মুগ ডাল, মসুর ডাল, মটরশুঁটি, ছোলা ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
এই মাসে মাংস, মাছ এবং ডিম খাওয়া উচিত নয়।
কার্তিক মাসে মদ্যপান এবং ধূমপান অশুভ বলে মনে করা হয়।
এই সময়ে পেঁয়াজ এবং রসুনের মতো তামসিক পদার্থ খাওয়া উচিত নয়।
এ মাসে শরীরে তেল লাগানো উচিত নয় বলে বিশ্বাস করা হয়, যদিও নরক চতুর্দশী অর্থাৎ কার্তিক কৃষ্ণ চতুর্দশীতে শরীরে তেল লাগানো যেতে পারে।
এই মাসে বেগুন এবং করলা খাওয়া উচিত নয়।
এ সময়ে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, ঝগড়া এবং রাগ করা এড়িয়ে চলা উচিত বলে বিশ্বাস করা হয়।
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যবাহী তথ্যের উপর ভিত্তি করে।
আমরা ভারত থেকে এসেছি কিন্তু এর ঠিকাদার নই, শশী থারুর স্বপ্নেও এই প্রতিক্রিয়া কল্পনা করতে পারেননি
"আমরা ভারত থেকে এসেছি, কিন্তু আমরা ভারতের ঠিকাদার নই..." কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু কর্মী সুহাগ শুল্কা এই কথা বলেন। এই প্রতিক্রিয়া একটি স্বনামধন্য সংবাদ সংস্থার একটি কলামে প্রকাশিত হয়েছিল। থারুরের H-1B ভিসা বা ভারতের উপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয় প্রবাসীরা কেন নীরবতা পালন করছে, এই প্রশ্নের উত্তরে থারুরের উত্তর দেন। থারুরের এই প্রশ্নের উত্তরে থারুর ভদ্র কিন্তু তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়া জানান।
তার কলামে, তিনি লিখেছেন যে মার্কিন কংগ্রেসের ৫৩৫ জন সদস্য রয়েছে - ১০০ জন সিনেটর এবং ৪৩৫ জন প্রতিনিধি। কিন্তু শশী থারুর সেই দলের মাত্র একজন সদস্যের কথার উপর ভিত্তি করে ভারতীয় আমেরিকান প্রবাসীদের সম্পর্কে সাহসী দাবি করেছেন। তিনি যদি আমাদের মধ্যে যারা দশকের পর দশক ধরে শক্তিশালী মার্কিন-ভারত সহযোগিতার পক্ষে কথা বলছেন তাদের জিজ্ঞাসা করতেন, তাহলে তিনি অন্য কিছু স্পষ্ট শুনতে পেতেন।
আমরা ভারতের ঠিকাদার নই।
সুহাগ শুক্লা লিখেছেন, "যেমন ভারত এবং ভারতীয় নাগরিকদের তাদের জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার কর্তব্য রয়েছে, তেমনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর নাগরিকদের, যাদের মধ্যে ভারতীয় আমেরিকানরাও রয়েছে, তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।" তাদের জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ারও কর্তব্য রয়েছে। এই স্বীকৃতি আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা নয়, বরং নাগরিকত্ব এবং আমাদের শিরায় প্রবাহিত ভারতীয় নাগরিক মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। এটি এমন একটি মূল্যবোধ যা আমাদেরকে মতপার্থক্য সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণভাবে একসাথে বসবাস করতে, আমাদের গৃহীত দেশগুলির আইন মেনে চলতে এবং আমরা যে সমাজে বাস করি তাতে ইতিবাচক অবদান রাখতে উৎসাহিত করে।
আমরা ভারতের মুখপাত্র নই।
সুহাগ বলেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক হিসেবে, ভারতে জন্মগ্রহণকারী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব প্রদানকারী বা এখানে জন্মগ্রহণকারী, তারা এখনও ভারতকে তাদের পবিত্র মাতৃভূমি বলে মনে করে। ভারত এবং ভারতীয়দের সম্পর্কে প্রায়শই একতরফা বক্তব্যের সমাধান করার জন্য আমরা একটি অনন্য অবস্থানে আছি। আমরা আমেরিকান জনগণ এবং নির্বাচিত নেতাদের ভারতের বাস্তবতা বুঝতে এবং ভুল তথ্য দূর করতে সাহায্য করতে পারি। কিন্তু আমরা কোনও ভারতীয় সরকার বা রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হতে পারি না। দুটি সংস্কৃতির মধ্যে বসবাসকারী আমেরিকান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হল আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা। এবং আমরা তা করি।
আইসিইউতে বিজেপি সাংসদ খাগেন মুর্মু! ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
কলকাতা, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:০৬:০১ : বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর মুখের গুরুতর আঘাতের চিকিৎসার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে, যার মধ্যে চোখের নীচের হাড় ভেঙে গেছে। মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদের চিকিৎসাধীন একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিক হাসপাতালের এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে খগেন মুর্মু হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল। আধিকারিক জানিয়েছেন, "খগেন মুর্মুর মুখের গুরুতর আঘাত রয়েছে, যার মধ্যে চোখের নীচের হাড় ভেঙে গেছে। তিনি বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছেন। আমরা পর্যায়ক্রমে তার অবস্থা পরীক্ষা করছি এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।"
ঊর্ধ্বতন আধিকারিক আরও বলেছেন, "এমপির আঘাতের চিকিৎসার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। আমাদের ডাক্তাররা এটি তদন্ত করছেন।" তিনি আরও বলেছেন যে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের অবস্থাও স্থিতিশীল। জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা এলাকায় ত্রাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর জনতা হামলা চালায়। দার্জিলিংয়ে চলমান অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের মধ্যে এই ঘটনাটি রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার এই হামলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তিনি চান রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস এইরকম চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার পরিবর্তে মানুষকে সাহায্য করার দিকে বেশি মনোযোগ দিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাজনীতিকরণের অভিযোগ করেছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে, এই ঘটনার সাথে জড়িত আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একজন পুলিশ আধিকারিক ফোনে বলেন, "আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা ঘটনার কিছু ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। আমরা তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তদন্ত চলছে।"
শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে যুক্ত স্থানীয়রা দুজনকে লাথি, ঘুষি এবং পাথর ছুঁড়ে মেরেছে। বিজেপি দাবী করেছে যে বন্যা ও ভূমিধসের শিকারদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করার সময় তাদের নেতাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার আক্রমণকারীদের ছবি প্রকাশ করেছেন এবং শাসক দল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে এবং রাজনৈতিক সহিংসতাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
জাফর এক্সপ্রেসে ফের হামলা! বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান, দায় নিল বালুচ সেনা
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৪২:০১: পাকিস্তানের জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে আবারও হামলা হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। বেলুচ লিবারেশন গার্ডস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। বেলুচ আর্মি রেললাইনে রিমোট-কন্ট্রোলড আইইডি বোমা পুঁতে রেখেছিল। এই বছর জাফর এক্সপ্রেসে এটি তৃতীয় বড় হামলা।
পিটিআই-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, রাওয়ালপিন্ডি থেকে কোয়েটাগামী জাফর এক্সপ্রেসটি আইইডি বিস্ফোরণের কারণে লাইনচ্যুত হয়েছিল। বেশ কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেলুচ লিবারেশন আর্মি জাফর এক্সপ্রেসে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আজ, বেলুচ লিবারেশন গার্ডসের মুক্তিযোদ্ধারা সুলতান কোটে জাফর এক্সপ্রেসকে আইইডি বিস্ফোরণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। পাকিস্তানি সৈন্যরা যখন ট্রেনে ছিল তখনই ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়েছিল।" এই বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং স্বাধীনতার জন্য ভবিষ্যতে আরও এই ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে।
এই বছর জাফর এক্সপ্রেসে তিনবার হামলা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুতর হামলাটি ঘটে ১১ মার্চ, যখন ট্রেনটি ছিনতাই করা হয়েছিল। এই হামলায় নিরাপত্তা কর্মীসহ ২৬ জন নিহত হন। তবে, পরে নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা আক্রমণ করে ৩৩ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করে এবং ৩৫৪ জন জিম্মিকে উদ্ধার করে। ১০ আগস্ট, মাস্তুং-এ একটি আইইডি বোমা ছয়টি কোচ লাইনচ্যুত করে, চারজন আহত হয়। ২০২৫ সালের জুন মাসে, সিন্ধুর জ্যাকোবাবাদ জেলায় আরেকটি বিস্ফোরণে জাফর এক্সপ্রেসের চারটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। তবে কেউ গুরুতর আহত হননি।
"বঙ্গের বন্যা নিয়েও রাজনীতি করছেন প্রধানমন্ত্রী", মোদীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা
কলকাতা, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৯:০১ : রবিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছেন, তিনি "প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাজনীতিকরণ" এবং "সাংবিধানিক নীতি লঙ্ঘন" করার অভিযোগ করেছেন। রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে দুই ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতার উপর হামলার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সরকারের সমালোচনা করেছেন।
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত ডুয়ার্স অঞ্চল পরিদর্শনে থাকাকালীন একদল জনতা তাদের উপর হামলা চালায়, যার ফলে তারা আহত হন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেছেন যে এটি পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার "অত্যন্ত করুণ" অবস্থা উন্মোচিত করেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর পোস্টের উপর একটি বিস্তারিত বিবৃতি জারি করে লিখেছেন, "এটি দুর্ভাগ্যজনক এবং গভীরভাবে উদ্বেগজনক যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যথাযথ তদন্তের জন্য অপেক্ষা না করেই একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রাজনীতিকরণ করতে বেছে নিয়েছেন, বিশেষ করে যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের পরের পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।"
তিনি অভিযোগ করেন যে, প্রশাসন ও পুলিশ যখন ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ছিল, তখন বিজেপি নেতারা স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে না জানিয়েই বিশাল গাড়িবহর এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা প্রশ্ন তোলেন, "এই ঘটনার জন্য রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে দায়ী করা যেতে পারে?"
প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্তব্যের তীব্র আপত্তি জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী কোনও যাচাইযোগ্য প্রমাণ, আইনি তদন্ত বা প্রশাসনিক প্রতিবেদন ছাড়াই সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দোষারোপ করেছেন। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক ভুল নয়। এটি প্রধানমন্ত্রী যে সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষা করার শপথ নিয়েছেন তার লঙ্ঘন করে। যেকোনও গণতন্ত্রে, আইনকে তার নিজস্ব পথ অনুসরণ করতে হবে, এবং কেবল যথাযথ প্রক্রিয়াই দোষ নির্ধারণ করতে পারে - কোনও রাজনৈতিক মঞ্চের ট্যুইট নয়।
তিনি বলেন যে, মাত্র ৯৬৪ দিনের জাতিগত সহিংসতার পর মণিপুর সফরকারী একজন প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গের জন্য হঠাৎ উদ্বেগ সহানুভূতি কম এবং সুযোগসন্ধানী রাজনৈতিক নাটক বলে মনে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিয়ে বলেন যে সহিংসতার নিন্দা করা উচিত, তবে এটি পক্ষপাতদুষ্টতার সময় নয়। এটি সাহায্য এবং নিরাময়ের সময়।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি নির্বাচিত রাজ্য সরকারের কথা শুনুন, কেবল আপনার দলের সহকর্মীদের কথা নয়। আপনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেবল বিজেপির কথা নয়। আপনার দায়িত্ব জাতি গঠন করা, আখ্যান তৈরি করা নয়।"
এর আগে, মুখ্যমন্ত্রী নদীর পলি পরিষ্কার এবং ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকারের অবহেলার জন্য সমালোচনা করেছিলেন, বলেছিলেন যে সংকটের সময়ে রাজনীতি মানুষের জীবনকে ম্লান করতে দেওয়া উচিত নয়। উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পোস্টে এই মন্তব্য করেছিলেন, যেখানে কমপক্ষে ২৮ জন মারা গেছেন।
প্রতিবেশী দেশ থেকে উৎপন্ন এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তোর্শা এবং অন্যান্য নদীর উপচে পড়া প্রবাহের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমি বারবার কেন্দ্রকে ভারত-ভুটান নদী কমিশন গঠনের জন্য অনুরোধ করেছি, কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি।"
"বিশ্বে বদলাচ্ছে শক্তির সমীকরণ", ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতিতে জয়শঙ্করের বড় মন্তব্য
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৯:০১ : সোমবার বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন যে বিশ্বব্যাপী "শুল্ক অস্থিরতা" বাণিজ্যের উপর প্রভাব ফেলছে। ওয়াশিংটনের শুল্ক নীতির ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আলোকে জয়শঙ্কর এই বিবৃতি দিয়েছেন। একটি অনুষ্ঠানে তার ভাষণে, জয়শঙ্কর ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটে পরিবর্তনের কৌশলগত প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ একক স্থানে স্থানান্তরিত করা, যা সরাসরি চীনকে লক্ষ্য করে।
তিনি বলেন যে এখন বিশ্বব্যাপী ভূদৃশ্য এবং পরিবর্তনের তীব্রতা এবং এর প্রভাব বিবেচনা করুন। বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ একটি একক ভৌগোলিক অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছে, যার ফলে সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রভাব পড়ছে।
মার্কিন শুল্ক নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে অনেক সমাজে বিশ্বায়ন বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুল্ক অস্থিরতা বাণিজ্য গণনার উপর প্রভাব ফেলছে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ আয়োজিত প্রথম আরাবল্লি শীর্ষ সম্মেলনে জয়শঙ্কর এই ভাষণ দেন।
এই আলোচনার সময়, একজন ছাত্র জয়শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে ভারতের আজকের পররাষ্ট্রনীতি কি নির্ভরশীল নাকি স্বাধীন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে এটি নির্ভরশীল এবং কিছুটা স্বাধীন উভয়ই। তিনি আরও যোগ করেছেন যে অতীতেও, যদি আপনি ভারত-সোভিয়েত সম্পর্কের কথা বিবেচনা করেন, আমরা যা কিছু করেছি তা আমাদের জাতীয় স্বার্থে ছিল। সেই সময়ে, আমরা মার্কিন-পাকিস্তান-চীন ত্রিভুজে আটকা পড়েছিলাম। তখন বলার সময় ছিল না, "আমার নিরপেক্ষ থাকা উচিত," অথবা "এই পক্ষটি সেই পক্ষের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।" কেবল একটি পক্ষ ছিল, এবং তা ছিল আমাদের পক্ষ। সেই পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে আমাদের যা করা উচিত তা আমাদের জাতীয় স্বার্থে সর্বোত্তম।
তিনি বলেছিলেন যে আজও, দেশগুলি প্রায়শই আন্তর্জাতিক আইনের কিছু মহান নীতি উদ্ধৃত করে আমাদের উপর চাপ দেয়। "আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি, 'যখন এই নীতিগুলি আমাদের উপর প্রযোজ্য হয়েছিল তখন আপনি কোথায় ছিলেন?' আমি বলছি না যে এই নীতিগুলি গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে শেষ পর্যন্ত, জাতীয় স্বার্থ অন্য সবকিছুর চেয়েও বেশি।"
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই শুল্ক অস্থিতিশীলতা নিয়ে বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছেন, যার মধ্যে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনার উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ক্ষেত্রে গভীর পরিবর্তন এসেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জীবাশ্ম জ্বালানির একটি প্রধান রপ্তানিকারক এবং চীন নবায়নযোগ্য শক্তির একটি প্রধান রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে। তথ্য ব্যবহার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশের জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক মডেল রয়েছে, যা একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত।
জাতিসংঘে পাকিস্তানের মুখোশ খুলল ভারত! ৪ লক্ষ নারীর উপর পাক সেনার নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫২:০১ : জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) নারীর নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষার বিষয়ে ভারত পাকিস্তানের উপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বথানেনি হরিশ বলেছেন যে পাকিস্তান কেবল বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা ব্যবহার করে। পাকিস্তানে নারীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে তিনি ১৯৭১ সালে অপারেশন সার্চলাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে এই অভিযানের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রায় ৪,০০,০০০ নারীকে গণধর্ষণ করেছিল।
পার্বথানেনি হরিশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নারী, শান্তি এবং নিরাপত্তা বিষয়ক একটি উন্মুক্ত বিতর্কের সময় এই বিবৃতি দেন। এই সভা প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারীর ভূমিকা এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়ে এই সভায় আলোচনা করা হয়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিতর্ক চলাকালীন হরিশ পাকিস্তানকে আক্রমণ করে বলেন, পাকিস্তান প্রতি বছর জাতিসংঘে ভারতের তীব্র সমালোচনা করে, বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়ে, যা তারা দখল করতে চায় এবং যার জন্য তারা প্রায়শই আক্রমণ করে। হরিশ বলেন যে পাকিস্তান এমন একটি দেশ যারা নিজের দেশের বিরুদ্ধে বোমা হামলা করে এবং গণহত্যা চালায়। তিনি বলেন যে এই ধরনের একটি দেশ কেবল বিশ্বের মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর চেষ্টা করতে পারে।
নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে হরিশ পাকিস্তানে অপারেশন সার্চলাইটের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে পাকিস্তান সেই একই দেশ যারা ১৯৭১ সালে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করেছিল। এবং তাদের অনেক নাগরিক তাদের নিজস্ব নাগরিকদের দ্বারা নিহত হয়েছিল। সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রায় ৪,০০,০০০ নারীকে গণধর্ষণের শিকার করেছে। হরিশ বলেন, বিশ্ব এখন পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারণা দেখেছে।
হরিশ বলেন, নারী শান্তিরক্ষীদের প্রচারণায় ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, তিনি ভারতের প্রথম আইপিএস অফিসার ডঃ কিরণ বেদীর উদাহরণ তুলে ধরেন, যিনি ২০০৩ সালে জাতিসংঘের পুলিশ বিভাগের প্রথম মহিলা পুলিশ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, "আমি বিশ্বাস করি প্রশ্নটি এখন আর এই নয় যে নারীরা শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করতে পারবেন কিনা। বরং প্রশ্ন হলো নারীদের ছাড়া শান্তিরক্ষা মিশন সম্ভব কিনা।"
হরিশ বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তারা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দূর করতে এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে শান্তি প্রক্রিয়া পৌঁছাতে সহায়তা করে। তিনি আরও বলেন, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও বলেন যে নারী শান্তিরক্ষীরা "শান্তির দূত"।
মেষ থেকে মীন, কেমন কাটবে ০৭ অক্টোবর? একনজরে দেখে নিন রাশিফল
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০০:০১ : বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে মোট ১২টি রাশির চিহ্ন বর্ণিত হয়েছে। প্রতিটি রাশির অধিপতি একটি গ্রহ। রাশিফল গ্রহ এবং নক্ষত্রের গতিবিধি দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়। ০৭ অক্টোবর মঙ্গলবার। জেনে নিন ০৭ অক্টোবর কোন রাশির চিহ্নগুলি উপকৃত হবে এবং কোন রাশির চিহ্নগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। মেষ থেকে মীন রাশির অবস্থা পড়ুন।
মেষ রাশি
আজ আপনি শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করবে। আপনার আর্থিক অবস্থা বিচক্ষণতার সাথে সামলান। মনে রাখবেন যে যেকোনও সমস্যা সহজেই সমাধান করার জন্য আপনার সমস্ত ক্ষমতা আছে। প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে ভয় পেও না।
বৃষ রাশি
শিক্ষার্থীদের আজ তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া উচিত। ছোটখাটো ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে, কিন্তু আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সেগুলো সহজেই মোকাবেলা করবে। আপনার অন্তর্দৃষ্টি অনুসরণ করুন এবং মুক্তমনা থাকুন।
মিথুন রাশি
আপনার প্রেম জীবনে চলমান যেকোনও অস্থিরতা সমাধানের জন্য দিনটি ভালো হবে। আজ আপনি কর্মক্ষেত্রে আপনার প্রতিভা প্রদর্শন করবে। ছোটখাটো আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, কিন্তু আপনি সহজেই সেগুলো সমাধান করতে পারবে।
কর্কট রাশি
নিজের প্রতি সৎ থাকার মাধ্যমে এবং তাদের প্রাকৃতিক প্রতিভাকে আলিঙ্গন করে, কর্কট রাশির জাতকরা আবিষ্কার করবে যে আকাশই সীমা। এই দিনটি বিস্ময়, চ্যালেঞ্জ এবং বৃদ্ধির সুযোগে পূর্ণ হবে।
সিংহ রাশি
আজ স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। উত্তেজনা এবং অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনে ভরা দিনের জন্য প্রস্তুত থাকুন। আপনার অন্তর্দৃষ্টি উচ্চ থাকবে। তাই আপনার অন্তরের উপর আস্থা রাখুন এবং ঝুঁকি নাও। ফলাফল দেখে আপনি অবাক হতে পারেন।
কন্যা রাশি
আজ ছোটখাটো সম্পর্কের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তবে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলি সমাধান করাই ভালো। আপনার পেশাদার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য সাহসের সাথে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করুন।
তুলা রাশি
আজ দৃঢ়তার সাথে সাফল্যের পথে এগিয়ে যান। প্রেম, কাজ, অথবা আর্থিক, তুলা রাশির জাতক জাতিকাদের আত্মবিশ্বাস এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্য নক্ষত্রগুলি একত্রিত। ব্যয় কমানোর চেষ্টা করুন।
বৃশ্চিক
আজ স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আপনি তাড়াহুড়ো করার তাগিদ অনুভব করতে পারেন, তবে আপনার সময় নেওয়া এবং ধৈর্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়াটির উপর আস্থা রাখুন এবং ধৈর্য বজায় রাখুন।
ধনু
নতুন কিছু করার চেষ্টা করা হোক বা নতুন পথ বেছে নেওয়া হোক, আজ পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করার এবং নতুন সুযোগগুলিকে স্বাগত জানানোর দিন। বিস্ময়ের জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং আপনার আরাম অঞ্চল থেকে বেরিয়ে আসুন।
মকর
আজ আপনার স্বাস্থ্য এবং আর্থিক পরিস্থিতি উভয়ই শক্তিশালী হবে। আপনি শীর্ষে আসবেন। অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপনের সুযোগের সন্ধানে থাকুন, তা প্রেম, ক্যারিয়ার বা আর্থিক ক্ষেত্রেই হোক। আপনার সহানুভূতিশীল স্বভাব সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
কুম্ভ
আজ, আপনার সামনে আসা যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আপনার শক্তি ব্যবহার করতে হবে। এমনকি যদি সবকিছু ধীরে ধীরে এগোচ্ছে বলে মনে হয়, তবুও আপনার দৃঢ় সংকল্প শেষ পর্যন্ত সফল হবে।
মীন
আজ জীবনকে আরও সুখী করতে, আপনার প্রেম জীবনের যেকোনো সমস্যা সমাধান করুন। যদিও কেউ কেউ প্রেমে ডুবে থাকবেন, আপনি পেশাদার সাফল্যও পাবেন। আপনি ছোটখাটো আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
'আপনি শুধু বিজেপির নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী--', মোদীকে নিশানা মমতার
কলকাতা, ০৭ অক্টোবর ২০২৫: বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা। এই হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এর পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজ মাধ্যমে লম্বা-চওড়া পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাও উপযুক্ত অনুসন্ধানের অপেক্ষা না করেই।
মমতা লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর এ ধরণের রাজনীতির চেষ্টা দুর্ভাগ্যজনক ও গভীর উদ্বেগের। তাও যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।' তিনি লেখেন, 'যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনও খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?'
তিনি লেখেন, প্রধানমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনও তদন্ত ছাড়া এবং কোনও প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল।
সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত ‘শক্তিমত্তা' দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরণের অসার এবং অতি- সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।'
'যে প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে জাতি-হিংসা শুরু হবার ৯৬৪ দিন পরে সেখানে যাওয়ার অবকাশ পেয়েছিলেন, তাঁর কাছ থেকে বাংলার জন্য এই সহসা উদ্বেগ কোনও সমবেদনার পরিচয় নয় বরঞ্চ, এটাকে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নাট্যের মতো মনে হচ্ছে। হ্যাঁ, আমরা সবাই দ্বিধাহীনভাবে হিংসার নিন্দা করি। কিন্তু এটা রাজনৈতিক বুক-চাপড়ানোর সময় নয়। এটা সহায়তা ও নিরাময়ের সময়।'
মমতার বার্তা, "প্রধানমন্ত্রীকে বলি: নির্বাচিত রাজ্য সরকারের কথা শুনুন, শুধু নিজের দলের লোকের কথা শুনবেন না। আপনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেবল বিজেপির নন। আপনার দায়িত্ব দেশ-নির্মাণ, কাহিনি নির্মাণ নয়। সঙ্কটের এই মুহূর্তে,আমরা যেন বিভাজন না বাড়াই। আমাদের একত্রিত হতে হবে, দলীয় লাইনের ঊর্ধ্বে মানুষের সেবায় – যে মানুষ এখন আমাদের সেবা সবচেয়ে বেশি চাইছে। রাজনীতি আরেকদিন হোক।'
উল্লেখ্য, শনিবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি, ধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। পাহাড় থেকে সমতল, ডুয়ার্সের একাধিক এলাকা বানভাসি। এই আবহে সোমবার বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা। এদিন নাগরাকাটার বামনডাঙ্গায় ঢোকার মুখে হঠাৎ একদল উত্তেজিত লোক তাঁদের ঘিরে ধরে। অভিযোগ, ওই সময় ইট-পাথরের বৃষ্টি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ভাঙচুর চালানো হয় শংকর ঘোষের গাড়িতে। গাড়ির জানলার কাঁচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। গাড়িতে পাথর, লাঠি, জুতো পর্যন্ত ছোঁড়া হয়। বিক্ষোভের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা। এলাকার কিছু মানুষের রোষে রীতিমতো নাকাল হতে হয় তাঁদের। প্রচণ্ড মারে মাথা, নাক-মুখ ফেটে যায় সাংসদ খগেন মূর্মূর। মুখ ভিজে যায় রক্তে। ধাক্কা মারা হয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে।
এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার রাতে সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, "যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা—যাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন—পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।"
তিনি আরও লেখেন, "আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তাঁরা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।"
প্রধানমন্ত্রীর এই পোস্টের কিছু সময় পরেই পাল্টা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Monday, October 6, 2025
'ম্যাগির জন্য টাকা মেলেনি, দিদির সোনার আংটি বেঁচতে দোকানে ছুটল নাবালক!
ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ অক্টোবর ২০২৫: ছোট হোক বা বড় ম্যাগি খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ কমই চোখে পড়ে। কিন্তু কেউ ম্যাগি খাওয়ার জন্য সোনার আংটি বেঁচে দিতে পারে, এমন কথা শুনেছেন? হ্যাঁ, অবাক লাগলেও এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে। ১৩ বছর বয়সী এক নাবালক শুধুমাত্র ম্যাগি খাওয়ার জন্য সোনার আংটি বেঁচতে পৌঁছে যায়। তবে, শেষ পর্যন্ত দোকানদারের বুদ্ধিমত্তায় ওই নাবালক কাজটি করতে ব্যর্থ হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে কাকাদেব থানা এলাকার শাস্ত্রী নগর এলাকায়। দোকানদারের ছেলেটির ওপর সন্দেহ হলে, তিনি তার পরিবারকে ফোন করেন। শিশুটি শাস্ত্রী নগর সরাফা বাজারের সভাপতি পুষ্পেন্দ্র জয়সওয়ালের কাছে পৌঁছে যায়। সে আংটি বিক্রি করার কথা বলতেই পুষ্পেন্দ্রের সন্দেহ হয়। তিনি শিশুটির কাছে তার ফোন নম্বর এবং বাড়ির ঠিকানা জানতে চান। এরপর দোকানদার শিশুটির মাকে দোকানে ডেকে আংটিটি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শিশুটির মা ঘাবড়ে যান। তিনি বলেন যে, এই আংটিটি তাঁর মেয়ের এনগেজমেন্টের আংটি, যার কয়েক দিনের মধ্যেই বিয়ে হতে চলেছে। কেউ যদি এই আংটিটি কিনে নিতেন, তাহলে এনগেজমেন্ট ভেঙে যেতে পারত।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ছেলেটির বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান ঠিক হয়ে গিয়েছিল এবং বাড়িতে প্রস্তুতি চলছিল। ছেলেটি গোপনে বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য কেনা আংটিটি নিয়ে দোকানে বিক্রি করতে যায়। খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি গত বুধবারের। দোকানদার যখন তাকে জিজ্ঞাসা করে যে সে আংটিটি কোথা থেকে পেয়েছে, তখন সে স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেনি। ছেলেটির আচরণ দেখে দোকানদারের সন্দেহ হয় এবং তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর বাড়িতে ফোন করেন। পরিবারের সদস্য দোকানে পৌঁছালে চাঞ্চল্যকর সত্য সামনে আসে।
দোকানদার শিশুটির মাকে পুরো ঘটনাটি জানান। তিনি বলেন, 'শিশুটি ম্যাগির জন্য টাকা জোগাড় করতে বাড়ি থেকে আংটিটি নিয়ে এসেছিল। আপনি ম্যাগি খাওয়ার জন্য টাকা দেননি তাই শিশুটি আংটি বেঁচতে আসে।' আর একথা শুনে শিশুটির মায়ের চোখ জলে ভরে আসে।
পুষ্পেন্দ্র জয়সওয়াল বলেন, 'শিশুটি আমাকে বলে যে, ম্যাগি খাওয়ার জন্য টাকা জোগাড় করতে হবে তাই এটি বিক্রি করতে এসেছি। তখনই আমার সন্দেহ হয় না জানিয়েই এটি এনেছে।' শিশুটির সরলতা দেখে দোকানদার আংটিটি ফিরিয়ে দেয়। তিনি বলেন তাঁর বাজারে এমন কখনও হয় না যে কোনও শিশুর আনা জিনিস পরীক্ষা না করেই কেনা হয়।
পুষ্পেন্দ্র জয়সওয়াল বলেন, তার এলাকার সমস্ত দোকানদার এই ধরণের বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকেন এবং কখনও শিশুদের আনা চুরি করা জিনিস বা সন্দেহজনক জিনিসপত্র কেনেন না। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নাবালক তার ভুল স্বীকার করে পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়েছে।
তবে, পরিবারের সম্মান এবং সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দোকানদার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি। নাবালকের মা-ও ওই দোকানদারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার পরিবারের সম্মান রক্ষা করার জন্য এবং তার ছেলেকে এমন গুরুতর ভুল করা থেকে বিরত রাখার জন্য। পুলিশ নাবালককে কাউন্সেলিংও করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন ভুলের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে।
তবে, স্থানীয়রাও দোকানদারের এই সততা ও বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করছেন। আর সমাজমাধ্যমে এই ছোট ছেলে এবং দোকানদারের কাহিনী আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
দুর্ঘটনার শিকার বিজয়ের গাড়ি! এখন কেমন আছেন অভিনেতা?
বিনোদন ডেস্ক, ০৬ অক্টোবর ২০২৫: সড়ক দুর্ঘটনার শিকার দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত অভিনেতা বিজয় দেবেরকোন্ডা। তবে বরাত জোরে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে জোগুলাম্বা জেলার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। তাঁর গাড়িটিকে পেছন থেকে অন্য একটি গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, অভিনেতার গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে স্বস্তির বিষয় হল যে, অভিনেতা নিরাপদে আছেন।
আরও জানা গেছে, বিজয়ের গাড়ির চালক তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় পুলিশকে ঘটনাটি সম্পর্কে জানান। পুলিশ একটি অভিযোগ দায়ের করেছে এবং বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।
দুর্ঘটনার পর অভিনেতা বিজয়ের প্রথম প্রতিক্রিয়াও সামনে এসেছে। অভিনেতা লিখেছেন, "সবকিছু ঠিক আছে। গাড়িটি ধাক্কা খেয়েছে, কিন্তু আমরা সবাই ঠিক আছি। আমি স্ট্রেন্থ ওয়ার্কআউটও করেছি এবং এখনই বাড়ি ফিরেছি। মাথায় ব্যথা আছে, কিন্তু বিরিয়ানি এবং ঘুম কোনও উপকারে আসবে না। তাই, আপনাদের সকলের প্রতি অনেক ভালোবাসা এবং স্নেহ। এই খবরে মন খারাপ করবেন না। সবকিছু ঠিক আছে।"
ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত বলতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, "তেলেগু অভিনেতা বিজয় দেবেরকোন্ডার গাড়ি আজ পুট্টাপার্থি থেকে হায়দ্রাবাদ যাওয়ার সময় জোগুলাম্বা গাদওয়াল জেলার উন্ডাবল্লিতে অন্য একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়। তার গাড়ির বাম দিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।"
পুলিশের মতে, "অভিনেতা বিজয় দেবেরকোন্ডা আজ (সোমবার) দুপুর ৩টার দিকে পুট্টাপার্থি থেকে হায়দ্রাবাদ যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তার সামনে থাকা একটি বোলেরো গাড়ি হঠাৎ চালকের পাশে ধাক্কা দেয়, যার ফলে তার গাড়িটি বোলেরোর বাম পাশের গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়। গাড়ির বাম পাশের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে কোনও আঘাত লাগেনি। বিজয় দেবেরকোন্ডা এবং আরও দুইজন গাড়িতে ছিলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ অন্য গাড়িতে উঠে পড়েন এবং তাঁর দল বীমা কভারেজের জন্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।"
খবর অনুযায়ী, অভিনেতা বিজয় এবং রশ্মিকা তিন দিন আগে, ৩রা অক্টোবর বাগদান সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানে কেবল পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। তবে, কোনও তারকাই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এটা ঘোষণা করেননি।
কর্মক্ষেত্রে, বিজয় দেবেরকোন্ডাকে শেষ দেখা গিয়েছিল "কিংডম" ছবিতে। থিয়েটারে মুক্তির পর, এটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও মুক্তি পায়। এদিকে, রশ্মিকা মান্দান্নাকে শীঘ্রই আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত "থাম্মা" ছবিতে দেখা যাবে।