সাদা স্রাবের কারণের জন্য দায়ী এই কয়টি জিনিস

গোপনাঙ্গ ভালো মতো পরিষ্কার না করা, মানসিক চাপ এবং শরীরে পুষ্টির অভাবের কারণেও সাদা স্রাবের সমস্যা বারে।

 বয়ঃসন্ধিকালে পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর মেয়েদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তার মধ্যে একটি হল সাদা স্রাবের সমস্যা, যাকে ডাক্তারি ভাষায় লিউকোরিয়া বলা হয়।

  এই সমস্যাগুলির বেশিরভাগই কিশোরী মেয়েদের হয়।  সামান্য সাদা স্রাব হওয়া বড় সমস্যা নয়, তবে খুব বেশি হওয়াটা চিন্তার কারণ।

  অতিরিক্ত সাদা স্রাব শরীরে দুর্বলতা এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, তাই এর লক্ষণগুলি শনাক্ত করা এবং অবিলম্বে এটির চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।

 কি ধরনের স্রাব বড় সমস্যা হতে পারে:

মেয়েদের সামান্য স্রাব হওয়াটা কোনও সমস্যা নয়, তবে স্রাব ঘন ও বেশি হলে বা রঙের পরিবর্তন হলে সমস্যা বাড়তে পারে। গোপনাঙ্গ থেকে সাদা ঘন স্রাব ইস্ট ইনফেকশন হতে পারে।

মেথি দানা:

মেথি দানা জলে সেদ্ধ করে সেই জল পান করলে সাদা স্রাবের সমস্যা দূর হয়। মেথি বীজ ৫০০ মিলি জলে সিদ্ধ করতে পারেন যতক্ষণ না জল অর্ধেক কমে যায়।  তারপর এই জল ঠান্ডা হলে পান করুন।

ঢেঁড়স :

  ঢেঁড়স সাদা স্রাবের জন্য একটি চমৎকার চিকিৎসা।  এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঢেঁড়স জলে সেদ্ধ করে মিক্সারে পেস্ট করে খান, সাদা স্রাবের সমস্যা চলে যাবে।

 কলা খান:

কিশোর বয়সে যদি সাদা স্রাব বাড়তে থাকে তাহলে কলা খান।  সকালের জলখাবারে কলা খেলে এই সমস্যা দূর করা যায়।  দেশি ঘিতে ভিজিয়ে একটি পাকা কলা খেলে দ্রুত আরাম পাবেন।

 ধনে বীজ:

 ধনে বীজ সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে ছেঁকে নিন এবং সকালে খালি পেটে পান করুন।  ধনেপাতার জল পান সাদা স্রাবের সবচেয়ে ভালো এবং সহজ চিকিৎসা।

 আমলকী:

 আমলকী এমন একটি সুপারফুড যাতে ভিটামিন সি এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে।  আমলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন শক্তিশালী করে, তেমনি সুস্থ রাখে।  আপনি আমলকী কাঁচা, পাউডার, মুরব্বা বা ক্যান্ডি আকারে খেতে পারেন।  নিয়মিত আমলকী খেলে সাদা স্রাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 সাদা স্রাবের কারণ:

সাদা স্রাবের সবচেয়ে বড় কারণ গোপনাঙ্গে পরিষ্কার না করা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, শরীরে পুষ্টির অভাবের কারণেও সাদা স্রাবের সমস্যা রয়েছে।

  এই সমস্যার কারণে, মহিলার মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, গোপনাঙ্গে চুলকানি, মাথাব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।  আপনিও যদি সাদা স্রাবের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এর জন্য ঘরোয়া প্রতিকার করুন।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।