করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ প্রচণ্ডভাবে ক্বাথ পান করেছে। কেউ কেউ সারা শীত জুড়ে প্রতিদিন ক্বাথ পান করেছেন। পরিবর্তনশীল ঋতুতে বেশি করে ক্বাথ পান করলে তা আপনার পেটের ক্ষতি করতে পারে। গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার সাথে সাথে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও শুরু হয়। এই মরসুমে ক্বাথের মতো গরম জিনিসে পেটে জ্বালাপোড়া, গ্যাস, বদহজম, পিত্ত বৃদ্ধি বা পাকস্থলীর সংক্রমণের মতো সমস্যা হতে পারে। এই ঋতুতে এমন কিছু খাওয়া উচিৎ যা পেটের তাপ কমিয়ে পেট ঠান্ডা করবে। আপনার পেটে তাপ বেড়েছে কি না,তা এই লক্ষণগুলি থেকে আপনি শনাক্ত করতে পারেন।
পেট গরমের লক্ষণ -
মুখে টক জল,
খাওয়ার পর টক ঢেঁকুর,
বমি বমি ভাব এবং স্নায়বিক অনুভূতি,
গলা ব্যথা এবং পেট ফাঁপা,
শ্বাসকষ্ট,
বুকে জ্বালা,
মাথাব্যথা, পেটে গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ।
পেটে তাপ -
পেট গরমের অনেক কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে ঝাল-মশলা বেশি খাওয়া, আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া, ওষুধ খাওয়া, ধূমপান, বেশি চা-কফি পান করা, বেশিক্ষণ বসে থাকা, সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া এসবই প্রধান কারণ।
কীভাবে পেটের তাপ ঠান্ডা করবেন -
আপনার খাদ্য ও পানীয়ের প্রতি খুব যত্ন নিতে হবে। এই মরসুমে হালকা ও সাধারণ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সকালে খালি পেটে হালকা গরম জল পান করুন। দুপুরের খাবারে লস্যি বা দই খান। সঠিক সময়ে সকালের খাবার খান। অতিরিক্ত খাবেন না এবং খালি পেটে থাকবেন না। সারাদিন প্রচুর জল পান করতে থাকুন।
এই খাবারগুলো দিয়ে পেট ঠান্ডা রাখুন -
কলা :-
পেট গরম হলে কলা খান। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে। কলায় পাওয়া pH উপাদান পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড কমায়। এটি পেটে একটি মসৃণ স্তর তৈরি করে এবং তাপ থেকে আরাম দেয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যার কারণে হজমশক্তি ঠিক থাকে।
পুদিনা :-
পুদিনা পাতা খেলে পাকস্থলীর অ্যাসিডও কমে। ১ গ্লাস জলে কিছু পুদিনা পাতা ফুটিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা হয়ে গেলে পান করুন।
মৌরি :-
পেটের তাপ ঠান্ডা করতে মৌরি ও চিনি খাওয়ার পর খান। এতে পেটের জ্বালাপোড়া শান্ত হবে। মৌরি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও চলে যায়। মৌরি জলে ফুটিয়েও পান করতে পারেন।
ঠাণ্ডা দুধ :-
পেট গরমের জন্য প্রতিদিন সকালের খাবারে ১ কাপ ঠান্ডা দুধ পান করুন। দুধে ক্যালসিয়াম থাকে যা আপনার পেটের তাপ শোষণ করে এবং শীতলতা নিয়ে আসে।
তুলসী পাতা :-
খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে পেটে জলের পরিমাণ বাড়বে। এটি পাকস্থলীর অ্যাসিডও কমায়। তুলসী পাতা দিয়ে মশলাদার খাবার সহজে হজম হয়। প্রতিদিন সকালে ৫-৬টি তুলসী পাতা খেতে হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment