আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা আপনাদের বলব কোন কোন জিনিসগুলি শিশুদের ডায়েটে যোগ করলে তাদের সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে বাঁচানো যায়। এর সঙ্গে, আপনিও জানতে পারবেন কোন খাবারগুলি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে পারে। এর জন্য আমরা নিউট্রিশনিস্ট এবং ওয়েলনেস এক্সপার্ট বরুণ কাত্যালের সঙ্গেও কথা বলেছি।
১ - গুজবেরি
আমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে শিশুর খাদ্যতালিকায় যোগ করা যেতে পারে। তবে আমলা স্বাদে খুবই টক। এমতাবস্থায় মহিলারা আমলার রস জলে গুলে বাচ্চাকে দিতে পারেন। এতে করে শিশুকে শুধু শীতের হাত থেকে রক্ষা করা যায় না, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করা যায়।
২- গাজর
বাচ্চাদের গাজর দিলে ঠাণ্ডা, সর্দি ইত্যাদি সমস্যা থেকেও বাঁচানো যায়।গাজরের ভিতরে বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ উভয়ই পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে মায়েরা শিশুর খাদ্যতালিকায় গাজরের রস যোগ করতে পারেন। এটি করার মাধ্যমে, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করা যেতে পারে।
৩- গুড়
শীতের শুরুতে শিশুদের যদি গুড় খাওয়ানো হয় তবে তা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গুড়ের ভিতরে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা শিশুদের ঠান্ডা এবং ফ্লু ইত্যাদি থেকে রক্ষা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মায়েরা সন্তানকে গুড়ের পেস্ট বা গুড়ের জল খাওয়াতে পারেন।
৪ - মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু খাওয়া শিশুদের ঠান্ডা এবং ফ্লু থেকে বাঁচাতে পারে। মিষ্টি আলুর ভিতরে বিটা ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা শুধু শিশুদের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে পারে না, তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মায়েরা শিশুদের খাবারে মিষ্টি আলু যোগ করতে পারেন।
৬- আদা
আদার ভিতরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান পাওয়া যায়, যা শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে না, এটি প্রভাবে উষ্ণও হয় যা ঠান্ডা এবং ঠান্ডা ইত্যাদি থেকে রক্ষা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মায়েরা শিশুদের খাবারে আদার রস যোগ করতে পারেন। এতে করে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা যায় এবং মৌসুমী রোগ এড়ানো যায়।
No comments:
Post a Comment