বর্ষাকালে মাছ চাষ থেকে লাভবান হতে হলে মৎস্য চাষিদের কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে। মাছ চাষ আমাদের দেশে খুবই লাভজনক পেশা হিসেবে পরিচিত। মৌসুমি মাছ চাষে কয়েকটি ভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হয়। একইভাবে বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষে পদক্ষেপ নিতে হবে।
জেনে নিন বর্ষায় লাভজনক হতে মাছ চাষে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে
বর্ষাকালে পুকুরে মাছ চাষের জন্য পুকুরের পাড় অনেক উঁচু করতে হয়। পুকুরের পাড় এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে বাইরে থেকে কোনওভাবেই জল প্রবেশ করতে না পারে। পুকুরের কাছাকাছি বড় গাছ থাকলে গাছের কাণ্ড কেটে ফেলতে হবে। কোনও ক্রমেই পুকুরে ডাল পড়া উচিৎ নয়। আর প্রয়োজনে পুকুরে জাল দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। পুকুর থেকে মাছ বের হতে পারবে না।
অনেক লোক মুরগির বিষ্ঠা খাবার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সেগুলি না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিৎ। কম দামে পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন কৃষকরা। কিন্তু তা দিলে মাছের নানা রোগের সমস্যা হয়। অ্যামোনিয়ার মতো নাইট্রোজেনের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। ফলে প্রায়ই মাছ মারা যায়।
বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার পুকুরগুলো বৃষ্টির জলে ভরে যেতে পারে। তাই মাছ চাষের পুকুর থেকে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। পুকুরে মাছ ভরা থাকবে, বাইরে যেতে পারবে না। এছাড়াও বর্ষার আগেই বড় মাছ বিক্রি করতে হবে। অথবা অন্য কোনও পুকুরে দিতে হবে যেখানে অন্য জায়গা থেকে জল আসে না। অথবা জাল দিয়ে পুকুর ঘিরে ফেলতে পারেন। তবে দেওয়ার সময় পুকুরের ভিতরে ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি মাটি দিতে হবে। এতে মাছের সাঁতার কাটার সম্ভাবনা কমে যায়।
বর্ষাকালে পুকুরের জলের রং পরিবর্তন হতে পারে। অনেক সময় পুকুরের জল নোংরা হয়ে যায়। তাই এ সময় পুকুরের জল দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
মৌসুমি মাছের রোগ:
বর্ষাকালে মাছের বিভিন্ন জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। তাই কয়েকদিন পর পুকুর থেকে মাছ তোলার পর ভালোভাবে দেখতে হবে মাছে কোনও রোগ আছে কি না। কোনও মাছ এ রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিভিন্ন পুকুরের জল প্রবেশ করায় মাছের ক্ষত রোগে পরিণত হয়। এতে অনেক মাছ মারা যেতে পারে। এছাড়া পালক ও ফুলকা পচা রোগের কারণ হতে পারে।
বাইরের জল এলে কী করবেন:
পুকুরে মাছ থাকলে বাইরের জল এসে বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ কেজি চুন দিলে কোনও সমস্যা হবে না। আর মাছ না থাকলে দিতে হবে প্রতি শতাংশে ১ কেজি। তবে দুই মাস বা এক মাস পর চুন ব্যবহার করলে পুকুরের পরিবেশ ভালো থাকে।
No comments:
Post a Comment