মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শক্তি দপ্তর এবং পাওয়ার কর্পোরেশনের আধিকারিকদের বিদ্যুৎ কাটা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্ধারিত রোস্টার (সূচি) অনুযায়ী সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে যা যা ব্যবস্থা করতে হবে তা করুন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কেনার ব্যবস্থা করুন।
সোমবার জ্বালানি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে গত কয়েকদিন থেকে রাজ্যের অনেক এলাকায় নির্ধারিত রোস্টার অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই ইস্যুতে এই বৈঠক ডাকা হয়।
প্রথমে গ্রামীণ এলাকা, শহর এবং তহসিল সদর দফতরে বিদ্যুৎ সরবরাহ না হওয়া এবং রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ কাটার বিষয়টি তুলে ধরেছে। বিদ্যুত সরবরাহ সংক্রান্ত তথ্যের ঢাকনাও উন্মোচিত হয়েছিল, তার পরে মুখ্যমন্ত্রী এই কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে নির্দেশ দেন যে শক্তি বিভাগ এবং পাওয়ার কর্পোরেশনকে পূর্ব-নির্ধারিত রোস্টার অনুযায়ী সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে ইউপিপিসিএলের গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। গরম , তাপপ্রবাহ চলছে। এমতাবস্থায় গ্রাম হোক বা শহর, কোথাও যেন অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন না হয়।
শহরগুলিতে স্মার্ট মিটার বসানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি গ্রামে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে হলে বিল পরিশোধ করতে হবে বলেও জানানো হয়। সময়মতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা প্রত্যেক গ্রাহকের দায়িত্ব। প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করুন, জ্বালানি বিভাগের খেলাপিদের সাথে যোগাযোগ করুন। গ্রামে স্বনির্ভর গোষ্ঠী / বিসি সখির মাধ্যমে বিল সংগ্রহের কথা বিবেচনা করুন। একজন গ্রাহক যেন ভুল বিদ্যুৎ বিল না পান এবং প্রত্যেকেই সময়মতো বিল পান তা নিশ্চিত করতে হবে। ওভারবিলিং বা বিলম্বিত বিলিং শুধুমাত্র ভোক্তাদের বিরক্ত করে না, সিস্টেমকেও হতাশ করে।
যারা বিদ্যুৎ চুরি করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, খেলাপিদের জন্য এককালীন নিষ্পত্তির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার প্রাপ্যতা অব্যাহত রাখতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের কয়লার কোনও ঘাটতি নেই, তবে চাহিদা অনুযায়ী কয়লার সরবরাহ মসৃণ থাকে, এ জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে নিরন্তর সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে।
No comments:
Post a Comment