শনিবার সকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমহারের এক মহিলার মৃত্যু হলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে চাঞ্চল্য ছড়ায় স্বজনরা। এছাড়াও প্রচুর মারামারি হয়। তবে নগরীর পাঁচ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিড় সামাল দেয়। বর্তমানে অভিযোগ নিয়ে মতবিরোধের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেখানে হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট বলছে, সময় অনুযায়ী ওই মহিলার জীবন বাঁচাতে চিকিৎসকেরা সেই সময়ে যা করা উপযুক্ত তা করেছিলেন। বাকি মহিলার অবস্থার অবনতি হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, কুমহের হেলাক গেটের বাসিন্দা বিমলেশ সাইনির স্ত্রী মতিলাল সাইনি (৩২) কয়েকদিন ধরে পেটে ব্যথার অভিযোগ করছিলেন। তাই তার স্বামী স্ত্রীকে দেখতে ২১ এপ্রিল মুখার্জি নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। যেখানে চিকিৎসকরা সোনোগ্রাফি করার পর পেটে পাথর উল্লেখ করে অপারেশন করার পরামর্শ দেন। অপারেশনের অনুমোদনের পরে, একই দিনে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে দুরবীন দিয়ে অপারেশন করা হয়েছিল।
স্বজনদের অভিযোগ, অপারেশনের পরও ওই নারীর অসহ্য পেটে ব্যথা ও রক্তপাত বন্ধ হয়নি। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের জানানো হলে ২২ এপ্রিল দ্বিতীয় অপারেশনের পরামর্শ দেন তারা। রাত ১০টার পর দ্বিতীয় অপারেশন করা হলেও কয়েক ঘণ্টা পর ওই মহিলা মারা যান। মহিলার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় জমায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পরিবারের সদস্যরা তোলপাড় সৃষ্টি করেন।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি, মথুরা গেট, উদ্যোগনগর, সেভার, অটলবাঁধ ও কুমহের থানার পুলিশ। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার বিষয়ে অনড় ছিলেন। তবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনকারী ও পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের কোতোয়ালি থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরবিএম হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের দুই সন্তান এবং তার স্বামী সবজি চাষ করে সংসার চালান।
এই বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালের অপারেটর ডাঃ লোকেশ জিন্দালের সাথে কথা বললে তিনি জানান যে ২১ এপ্রিল পাথরের অভিযোগের পরে মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছিল। যেখানে পিত্তথলিতে পাথর অপারেশনের পর ওই নারীর অবস্থা ভালো থাকলেও গত ২২ এপ্রিল হঠাৎ করে ওই নারীর বিপি কমে যেতে থাকে। পেট ভরে গেল জলে। চিকিৎসকের দল মহিলাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। কোন ডাক্তার তার রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য যত্ন নেয় না, বাকি সবকিছু ঈশ্বরের হাতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও খামখেয়ালি করেনি।
No comments:
Post a Comment