পুলিশ ও এসটিএফের যৌথ অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। ঘটনায় গ্ৰেফতার দুই পাচারকারী। ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ায় একটি যাত্রীবাহী বাসে যৌথ অভিযান চালিয়ে এই ৬ কেজি বিস্ফোরক সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে STF এবং কাটোয়া পুলিশ।
পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার তদন্তকারীরা কাটোয়া থানার এসটিকে রোডে কাটোয়া গড়গাছা বাসস্ট্যান্ডের কাছে কাটোয়া-নবদ্বীপ রোডে নবদ্বীপগামী একটি বাসে অভিযান চালায় এবং বাস থেকে ৬ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার দুই অভিযুক্তকে কাটোয়া আদালতে পেশ করা হয়, যেখানে তাদের দুজনকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
ধৃতদের নাম ইজাবুল ও শেখ রবিউল শেখের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার খড়দত্ত পাড়ায়। এই বোমা তৈরির মসলা বিহার থেকে আনা হচ্ছিল এবং এখান থেকে বাসে বা বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন জায়গায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
জানা গেছে, এই ইজাবুল ও শেখ রবিউল শেখ দাগি আসামি। দীর্ঘদিন ধরেই বিস্ফোরক সরবরাহের সঙ্গে জড়িত বলে এসটিএফের কাছে তথ্য ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, STF টিম কাটোয়া থানার সাথে যৌথ অভিযান চালিয়ে যাত্রীবাহী বাস থেকে বিস্ফোরক বহনকারী দুই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা এসটিএফ এবং কাটোয়া থানার একটি দল ইতিমধ্যেই এসটিকে রোডে অ্যাম্বুশ করেছিল। তারা সাদা পোশাকে অপেক্ষা করছিলেন। কাটোয়া থেকে নবদ্বীপগামী যাত্রীবাহী বাসটি সেখানে পৌঁছলে প্রথমেই সেটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপর ইজাবুলকে প্রথমে বাসের ভেতর থেকে নামানো হয়। তার কাছ থেকে একটি গোলাবারুদ সহ ব্যাগ উদ্ধার করে, খুব সাবধানে নামানো হয়। এরপর ইজাবুল ও শেখ রবিউল শেখকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, অভিযানে বিস্ফোরক ভর্তি দুটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। একটিতে আর্সেনিক সালফাইড এবং অন্যটিতে পটাসিয়াম ক্লোরাইড ছিল। উভয় রাসায়নিক মিশিয়ে বোমা তৈরি করা হয়। বিহার থেকে বিস্ফোরক আনা হচ্ছিল। পুলিশ জানতে পারে বীরভূম হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরক সরবরাহ করা হবে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা কারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলছে। এর আগেও দুবার বর্ধমান থেকে কলকাতাগামী যাত্রীবাহী বাস থেকে এত বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment