পারিবারিক কলহের জের, এক বৃদ্ধাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জে। অভিযোগ, স্ত্রী ও মায়ের মধ্যে বিবাদের পর ছেলে প্রথমে বিষাক্ত পদার্থ খায়, পরে স্ত্রী ও মেয়েকেও খাওয়ানোর চেষ্টা করে, এর প্রতিবাদ করতে গেলে বৃদ্ধা মায়ের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহিলার মৃত্যু হয়, ছেলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আউরাই থানা এলাকার ভক্তপুর গ্রামের বাসিন্দা কাল্লু সোনকারের ৩৫ বছর বয়সী ছেলে মহাদেবের স্ত্রী এবং কাল্লুর মা রাজকুমারী দেবীর (৬০) মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। সোমবারও শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে ঝগড়া হয়। প্রথমে মহাদেব দুজনকেই বোঝানোর চেষ্টা করলেও দুজনেই তার কথায় কর্ণপাত না করলছ আত্মহত্যার পদক্ষেপ করেন মহাদেব।
গ্রামবাসীরা বলেন, মহাদেব মদের সাথে বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে নিজে পান করেন এবং তারপর তার স্ত্রী এবং এক বছরের মেয়েকেও খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। মা রাজকুমারী, এর প্রতিবাদ করলে মহাদেব ক্ষিপ্ত হয়ে মা রাজকুমারীর গায়ে ঘরে রাখা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
শোরগোল শুনে ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া লোকজন দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজকুমারীকে কবির চৌরা হাসপাতালে রেফার করা হয়, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, মহাদেবকে রাজা তালাবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে গ্রামের সিও আউরাই ও এসও এই বিষয়ে স্বজন ও গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আউরাইয়ের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সঞ্জয় শেঠ জানিয়েছেন, ছেলে বারাণসীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুড়ে গিয়ে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। সোমবার পরিবারে অশান্তি-ঝামেলা হয়। মঙ্গলবারও সিও আউরাইয়ের সঙ্গে গিয়ে পরিবার ও আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment