উত্তর দিনাজপুর: চিকিৎসা করাতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনার কবলে গোটা পরিবার। মৃত দুই মহিলা, গুরুতর আহত দুই শিশু সহ ৬ জন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার বালিয়াপাড়া বাসঝিং ব্রীজ এলাকায় ১২ নং জাতীয় সড়কে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মালদা জেলার রতুয়া থানার সামসি পিন্ডালতলা থেকে ইটাহার থানার কুরমানপুর এলাকায় চিকিৎসার জন্য একটি টোটোতে চালক সহ একই পরিবারের ৮ জন আসছিলেন। সেই সময় বালিয়াপাড়া বাসঝিং এলাকায় ৩৪ নং জাতীয় সড়কে পিছন থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি ডাম্পার টোটোর পেছনে স্বজোরে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।
টোটো উল্টে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলার এবং অন্যরা ছিটকে পড়েন জাতীয় সড়কে। দুমড়েমুচড়ে যায় টোটোটি। অবরুদ্ধ হয়ে পরে একটি লেনের যান চলাচল। পথ দুর্ঘটনার জেরে শনিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বালিয়াপাড়া এলাকায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ইটাহার থানার আইসি মানবেন্দ্র নাথ সাহা ও ট্রাফিক ওসি অভিজিৎ দত্তের নেতৃত্ব বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় টোটোর চালক সহ বাকী ৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের সকলে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেই সময় পথেই আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে ঘাতক ডাম্পারের খোঁজ শুরু করেছে। অপরদিকে, পুলিশের উপস্থিতিতে বেশ কিছুক্ষণ পর জাতীয় সড়কে যান চলাচলা শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে মৃত মহিলার নাম সামিজা বিবি, বয়স আনুমানিক প্রায় ৬২ বছর।অপরদিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে নুরেমা বিবি নামে বছর ৫৬-র মহিলার মৃত্যু হয়। টোটোতে থাকা সকলের বাড়ি মালদা জেলার রতুয়া, গাজোল ও মানিকচক থানা এলাকায়।
No comments:
Post a Comment