নদীতে ডুবে তিন ভাইয়ের মৃত্যু। ঘটনাটি রাজস্থানের ধোলপুরের। দুর্ঘটনার পর নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চম্বল নদী থেকে তিন ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিন ভাই তাদের মামার বাড়িতে এসেছিল। সেখানে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিন ভাইয়ের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কোতোয়ালি থানার অধ্যাত্ম গৌতম জানান, রবিবার রাজঘাট গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বারপুরা গ্রামের বাসিন্দা খেমচাঁদের তিন ছেলে রোহিত (10), চিরাগ (8) এবং কানহা (6) রাজঘাট গ্রামে তাদের মামার বাড়িতে এসেছিল। সেখানে রবিবার সকাল 11টার দিকে তিনজনই চম্বল নদীতে স্নান করতে যায়। দুপুর পর্যন্ত তিন ছেলে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
আত্মীয় স্বজনরা চম্বল নদীতে গিয়ে দেখেন, তিন শিশুর কাপড় পড়ে আছে। যা দেখে পরিবারের হুঁশ উড়ে যায়। তাদের নদীতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। ধোলপুর শহরের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ প্রবেন্দ্র মাহেলা এবং এসডিএম ভারতী ভরদ্বাজও বিষয়টির গুরুত্ব জানতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে একের পর এক তিন শিশুর দেহ পাওয়া যায় চম্বল নদীতে। পরে তাদের নদী থেকে বের করে আনা হয়। এরপর পুলিশ তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ধোলপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রামবাসী জানান, খেমচাঁদের 4 সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে 5 জন বড় মেয়ে। তিন ছেলেই ছিল সবার ছোট। কিন্তু এ ঘটনার জেরে একসঙ্গে নিভে গেছে পরিবারের তিন প্রদীপ। দুর্ঘটনার পর শিশুর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। একসঙ্গে তিন শিশুর মৃত্যুতে বারপুরা ও রাজঘাট গ্রামে নীরবতা নেমে আসে।
No comments:
Post a Comment