দলত্যাগকারীদের প্রত্যাবর্তন, বিজেপি থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতাদের নিয়োগ নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। এবার তৃণমূলের (টিএমসি) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন। শনিবার হলদিয়ায় দলীয় কর্মী ইউনিয়নের বৈঠকে তিনি বলেন, শুরু থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে যারা কাজ করছেন তাদের টিকিট দেওয়া হবে। লটারির মাধ্যমে প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার কথাও শোনা গেল অভিষেকের মুখে।
তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার হলদিয়ায় প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। এই প্রথম দলীয় কর্মীরা বলেছেন, নেতারা শুনেছে। শুক্রবার প্রায় ৫০ জন কর্মী বক্তব্য রেখেছেন। সবকথা আমার কাছে এসে পৌঁছেছে। কে কারা আগের দিন বিএমএসের ঝাণ্ডা তুলেছে, আর পরের দিন তৃণমূলে এসেছে, তার তালিকা আমার কাছে আছে। আমি তাদের চিহ্নিত করেছি। সভায় আসার পথেও আমি ৪-৫ জনকে চিহ্নিত করেছি। দলের বিভীষণদের আমরা চিহ্নিত করেছি।’’
একই সঙ্গে নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘যার নেতৃত্বে উত্তর কলকাতায় গুন্ডামি করে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হল। এই জেলার একসময়ের সর্বেসর্বা তাঁর পদলেহন করে, নিজেকে ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচাতে দলবদল করল। দিল্লীর বুকে মেদিনীপুরের আবেগকে বিক্রি করল। আমার পিছনে তো ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দিয়েছে। আমার মাথা নিচু করতে পেরেছে?’’
শুভেন্দু অনুগামীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, ‘‘অনুগামী এক্সচেঞ্জ খুলে বসেছিল কেউ কেউ। তারা এখন হালে জল পাচ্ছে না৷’’একই সঙ্গে কর্মীদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ‘‘কর্মসংস্থানে স্থানীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তৃণমূল করলে ঠিকাদারি করা যাবে না। আর ঠিকাদারি করলে তৃণমূল করা যাবে না। বুকে দলীয় পতাকা নিয়ে দলটা করতে হবে। আর যারা শ্রমিক সংগঠন করছেন, তাঁদের একটাই পরিচয় খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি। এই দাদার অনুগামী, ওই দাদার অনুগামী বলা চলবে না। দলে একটাই দিদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
No comments:
Post a Comment