শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির মধ্যে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং পরিস্থিতি উন্নতির নাম করছে না। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থামবে বলে মনে হয় না। মানুষ রাস্তায় নেমেছে। এর মধ্যে প্রতিদিনই শিরোনামে আসছে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
সেনাবাহিনীর তিনটি ইউনিটই মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা এতটাই আঁটসাঁট করা হয়েছে যে সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে, যারা দাঙ্গা ও সহিংসতা ছড়াচ্ছে তাদের অবিলম্বে গুলি করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুর ২টা থেকে ফের কারফিউ জারি করা হবে। এর আগে সকাল সাতটা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছিল।
সহিংসতার মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর থেকেই তোলপাড় চলছে। দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পুরো দায়িত্ব এখন রাষ্ট্রপতির ওপর। দেশকে নৈরাজ্য থেকে বের করে আনতে সরকারের ক্ষমতায়নে নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা করছে তারা।
এদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণাও দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তার অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে এই তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, যিনি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন এবং যিনি জনগণের আস্থাভাজন হবেন, তাকেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে সংসদের ক্ষমতায়নে সংবিধান সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই সরকার সমর্থকরা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত, এরপর সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। প্রতিবেশী দেশটিতে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকট। বৈদেশিক মুদ্রার দরপতন, করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এই সংকট দেখা দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment