মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, অন্যান্য প্রাণীর মতো মাছের রোগ প্রতিরোধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ইমিউন সিস্টেম জলবাহিত রোগজীবাণুগুলির বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই করে মাছকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মাছের পরজীবীর সৃষ্ট রোগটি ibiopathriasis নামক এককোষী পরজীবীর সৃষ্ট। একে সাদা দাগ রোগও বলা হয়। কার্প ফ্রাইয়ের ক্ষেত্রে এ রোগের তীব্রতা বেশি। এই রোগের ফলে মাছের পাখনা, চামড়া ও ফুলকাতে সাদা দাগ দেখা যায়। পুকুরে অতিরিক্ত পোনা মজুদ এই রোগের অন্যতম কারণ। পরজীবী পুকুরের রোগ ম্যালাকাইট গ্রিন, পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। আক্রান্ত মাছকে প্রতিদিন 1-2 ঘন্টা ম্যালাকাইট গ্রিনের 0.15-0.20 পিপিএম দ্রবণে 3/4 দিনের জন্য স্নান করানো হয়।
কৃমিগুলি প্রধানত মাছের পাখনা, ফুলকা এবং চামড়ায় আক্রমণ করে। নার্সারি পুকুরে রোগটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পোকামাকড়ের আক্রমণে চামড়া হলুদ হয়ে যায়। কার্প মাছে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
কৃমি পরজীবী রোগের চিকিৎসার জন্য, সংক্রামিত মাছকে 250 পিপিএম ফরমালিন দ্রবণে স্নান করালে সন্তোষজনক ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও, আক্রান্ত পুকুরে 10-20 পিপিএম হারে পটাশ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment