সূর্যমুখী একটি গুরুত্বপূর্ণ তৈলজীবী ফসল। সূর্যমুখীর বীজে 40-45% উপকারী লিনোলিক অ্যাসিড থাকে এবং কোনও ক্ষতিকারক ইরোসিক অ্যাসিড থাকে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়।
রোগ এবং প্রতিকার
আমাদের দেশে সূর্যমুখী রোগের মধ্যে পাতা ঝলসানো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অল্টারনারিয়া হেলিয়াস্টি নামক ছত্রাকের কারণে এ রোগ হয়। প্রথমত, পাতায় বাদামী বা গাঢ় বাদামী রঙের দাগ থাকে। পরে দাগগুলো একত্রিত হয়ে বড় দাগে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত পুরো পাতা ঝলসে ওঠে।
উপরন্তু, সূর্যমুখী অ্যাসিটেট একটি শিকড় পচা রোগ। সাধারণত Sclerosium ralfusii নামক ছত্রাকের কারণে এই রোগ হয়। Akaran- গাছের গোড়ায় সাদা তুলোর মতো ছত্রাকের মাইসেলিয়াম এবং গোলাকার দানার মতো স্ক্লেরোসিয়াম পাওয়া যায়। কিছু দিনের মধ্যে সব গাছ শুকিয়ে যায়।
চিকিৎসার জন্য রোগ সহনশীল কিরনি জাত চাষ করতে হবে। রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে রোভার-৫০ ডব্লিউপি (২% হারে) জলে মিশিয়ে ১০ দিনে ২-৩ বার মাটিতে লাগালে রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যায়। ফসল তোলার পর গাছের পরিত্যক্ত অংশ নষ্ট বা পুড়িয়ে ফেললে রোগের উৎস নষ্ট হয়ে যায়।
সূর্যমুখীর গোড়া পচা রোগের প্রতিকার হিসেবে ভিটাভেক্স-২০০ এর সাহায্যে ক্ষেত পরিষ্কার করে এই রোগের বিস্তার রোধ করা যায়। এই ছত্রাক সাধারণত মাটি ভেজা থাকলে বাঁচতে পারে না। এভাবে রোগ শুরু হওয়ার পর জমিতে বন্যা সেচ দিয়ে প্রকোপ কমানো যায়। ফসলের পর্যায়ক্রমিক চাষ উপযুক্ত পুষ্টির অভাবে অতীতের আক্রমণাত্মক রোগের বিস্তার রোধ করতে পারে।
বপন থেকে পরিপক্কতা পর্যন্ত ফসল সংগ্রহ করতে ৯০ থেকে ১১০ দিন সময় লাগে।
No comments:
Post a Comment