তাজমহল তার সৌন্দর্যের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত।কিন্তু একই সাথে ৪ থেকে ৫ গ্রামের মানুষ প্রেম এবং সৌন্দর্যের প্রতীক তাজমহলকে ঘৃণা করে। এর পেছনের কারণ জানলে আপনিও অবাক হবেন। তাজমহলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর পর আগ্রার ৫টি গ্রাম, গাড়ী বঙ্গ, নাগলা পেমা, কাল্পি নাগলা, আহমেদ বুখারি, এই গ্রামের পথটি তাজমহলের ঠিক পাশ দিয়েই গেছে সেজন্যে এখান দিয়ে যাতায়াতের জন্য একটি পাস এর ব্যবস্থা করা হয়েছে সুরক্ষার জন্য।গ্রামের অধিকাংশ মানুষের পাস করা হয়েছে।কিন্তু তাদের আত্মীয়দের গ্রামে আসতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।চেক পয়েন্টে যার আত্মীয়স্বজন তার বাড়িতে এসেছে তাকে ডাকা হয়।তার পরই তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ভালোবাসার নিদর্শন, যা দেখতে সাত সাগর পাড় থেকে মানুষ এসে তাজমহল দেখতে চায়।পাশে বসবাসকারী গ্রামের মানুষ এটাকে খুব ঘৃণা করে।তাজমহলের ঠিক পাশেই এই ৫টি গ্রামে যাওয়ার পথ।এই গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার।সবচেয়ে বড় সমস্যা কোন শুভ অনুষ্ঠানে তাদের আত্মীয়স্বজন গ্রামে পৌঁছাতে পারছে না।আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে দাও, বিয়ের মতো পবিত্র সম্পর্কের কার্ড দিতে মানুষ এখানে পৌঁছতে পারে না। যার কারণে এখানকার ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ যুবক এখনও অবিবাহিত।গ্রাম আহমেদ বুখারি, নাংলা পাইমা, গড়ি বাঙ্গুস, নাগলা তালফি এবং নাগলা ধিং হল তাজমহলের পূর্ব গেটের কাছে দশেরা ঘাটের পাশ থেকে পাঁচটি গ্রাম। ১৯৯২ সালে, তাজমহলকে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছিল। তাহলে এই গ্রামের মানুষদের গ্রাম থেকে শহরে যেতে হলে দশেরা ঘাটের কাছে নাগলা পাইমা পুলিশ চেকপোস্ট দিয়ে যেতে হবে অথবা ১০ কিমি যেতে হবে ধান্দুপুরা হয়ে। গ্রামে বসবাসকারীদের সিও তাজ সিকিউরিটির কাছ থেকে গাড়ির পাস নিতে হবে। সেইসাথে আধার কার্ড। এই লোকেরা শুধুমাত্র বাধে চেক করার পরেই যেতে পারে। কোন আত্মীয় এখানে তাদের বাহন আনতে পারবে না। তাদের নিজেদের এসে বাইকে করে নিয়ে যেতে হবে। ব্যাটারি রিকশায় সকাল-সন্ধ্যায় কিছুক্ষণের জন্য ছাড় পাওয়া যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন, এই সমস্যার কারণে কিছু লোক এখান থেকে চলেও যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment