জলপাইগুড়ি: তিস্তা নদী থেকে আবারও বালি তোলার অভিযোগ ঘিরে তরজা। আধুনিক পে-লোডারের সাহায্যে ডাম্পারে-ডাম্পারে বালি তুলে বিক্রি করছেন পাচারকারীরা। অনুমতি ছাড়াই দেদারে বালি তোলা হলেও প্রশাসন উদাসীন, দাবী স্থানীয়দের।
নদী পাড়ের বাসিন্দাদের দাবী, অভিযান কিংবা নজরদারি নেই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের। এদিকে জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালা পাড়া গ্রাম। এই গ্রামে রয়েছে পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সামনে দিয়ে একাধিক ডাম্পার, বাঁধের রাস্তা ব্যবহার করে সোজা নদীতে নেমে পড়ছে। এক দু'দিনের ঘটনা নয়, দীর্ঘদিনের সমস্যা। মাঝে কয়েকদিন বন্ধ ছিল, আবার শুরু হয়েছে। নদীর মাঝে রয়েছে একটি সাধারণ পে-লোডার ও একটি আধুনিক পে-লোডার। পনেরো-কুড়ি মিনিটের মধ্যে একটি ডাম্পারে বালি বোঝাই করা হচ্ছে। সেই ডাম্পার নদী থেকে উঠে যেতেই অন্য ডাম্পার নদীতে নেমে পড়ছে বলে দাবী।
এভাবেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লাগাতার বালি তোলা হলেও প্রশাসনের কোনও নজর নেই বলেই অভিযোগ। এদিকে, এক জায়গা থেকে অনবরত বালি তোলার কারণে নদীর মাঝে পুকুরের মত গর্ত হয়ে আছে। পরিবেশ প্রেমীদের দাবী, বেআইনি ভাবে নদী থেকে বালি তোলার জেরে নদীর ক্ষতি হচ্ছে। ভবিষ্যতে নদীর গতিপথ পাল্টে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
গ্রামবাসী'র অভিযোগ, বালি বোঝাই ডাম্পারের যাতায়াতের কারণে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। একজন দু'জন নয়, কয়েকজন বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত আছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক নদী পাড়ের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, লোকালয় থেকে প্রায় দুই কিমি দূরে তিস্তার মাঝে থেকে বালি তোলা হয়। সেই বালি বাঁধের রাস্তা দিয়ে ডাম্পারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, "ভূমি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিস্তা নদী এলাকায় সরজমিনে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।"
No comments:
Post a Comment