সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার দিল্লির বাইরে লাদাখ সফরে গিয়েছেন জেনারেল মনোজ পান্ডে। তিন দিনের সফরে সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর প্রস্তুতির পর্যালোচনা করবেন। আজ থেকেই তার যাত্রা শুরু হয়েছে। গত দুই বছর ধরে গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে চীনের সাথে চলমান সামরিক স্থবিরতার মধ্যে দিল্লির বাইরে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের প্রথম সফর বিশেষ তাৎপর্য ধারণ করেছে। জেনারেল মনোজ পান্ডে তার সফরে লাদাখ সেক্টরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি পর্যালোচনা করবেন। সেনা মুখপাত্র জানান, জেনারেল পান্ডে তিন দিনের সফরে লেহ লাদাখে গেছেন।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, তিন দিনের সফরে সেনাপ্রধান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর বিভিন্ন ফরোয়ার্ড ফ্রন্ট ও সেক্টর পরিদর্শন করবেন এবং সামরিক প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। তিন দিনের সফরের প্রথম দিনে তিনি সেক্টরে মোতায়েন সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পর্যালোচনা করবেন। এর মধ্যে মেড ইন ইন্ডিয়া ড্রোনও রয়েছে। এর বাইরে দেশীয় তৈরি অন্যান্য অস্ত্রের মজুদ নেওয়া হবে। তার সঙ্গে থাকবেন নর্দান আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ সেনগুপ্ত। মনোজ পান্ডে মেজর জেনারেল হিসেবে 8 মাউন্টেন ডিভিশনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বিভাগটি পাকিস্তানের সাথে সীমান্তবর্তী সেক্টরে অপারেশন পরিচালনার জন্য নিযুক্ত ছিল।
জেনারেল মনোজ পান্ডের নিজস্ব ইউনিট ১১৭ ইঞ্জিনিয়ার রেজিমেন্টও পূর্ব লাদাখ সেক্টরে অবস্থান করছে। জেনারেল মনোজ পান্ডে এই পদে আসীন হওয়ার পর প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে গত দুই বছর ধরে যেখানে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে সেখানে তারা কোনো মূল্যে তাদের ভূখণ্ডের ক্ষতি হতে দেবে না। তিনি বলেছেন যে কোন মূল্যে আমরা আমাদের জমি রক্ষা করব। জেনারেল মনোজ পান্ডে চীনাদের নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় যাচ্ছেন শুধুমাত্র এই সমস্ত প্রস্তুতির অবস্থা পর্যালোচনা করতে। এ সময় তিনি সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে তাদের প্রতিরক্ষা শক্তি নিয়ে ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণের কাছে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনা সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়েছিল, যাতে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য শহীদ হয়েছিল এবং ৪০ জনেরও বেশি চীনা সেনাও ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিল। এরপর থেকে এ এলাকায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
No comments:
Post a Comment