মহারাষ্ট্রের গাদচিরোলিতে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। পুলিশের সামনে আত্মসমর্পণ করল গদচিরোলির বিখ্যাত নকশাল দম্পতি। দুজনের ওপর পুরস্কার মুল্য ছিল প্রায় ১২ লাখ টাকা। আত্মসমর্পণ করা নকশালদের নাম হল বিকাশ সুকান্ত বিনোদ পাদা এবং রাজি দেবো। দুজনেই প্রায় ১০ বছর ধরে নকশাল সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। গাদচিরোলির এসপি অঙ্কিত গোয়াল জানান যে পিএলজিএ নকশাল সংগঠনের দুই নকশাল গাদচিরোলি পুলিশের সামনে আত্মসমর্পণ করেছে। দুজনেই স্বামী-স্ত্রী। তাদের উভয়ের বিরুদ্ধে অনেক মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং মহারাষ্ট্র সরকার উভয়ের জন্য ১২ লাখ রুপি পুরস্কার রেখেছিল।
ওই এলাকায় নকশাল দম্পতির বেশ প্রভাব ছিল। দুজনকেই বিপজ্জনক নকশাল হিসেবে বিবেচনা করা হত। এসপি অঙ্কিত গোয়েল জানান যে দুজনেই ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নকশাল সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিল, কিন্তু নকশালদের রক্তাক্ত বার্তা এবং রক্তক্ষয়ী কর্মকাণ্ডে তারা বিরক্ত হতে শুরু করে। এরপর তারা দুজনেই এই রক্তাক্ত আদর্শ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং আজ তারা দুজনেই আত্মসমর্পণ করে।
মহারাষ্ট্রের গাদচিরোলি নকশালদের শক্ত ঘাঁটি। সম্প্রতি, গাদচিরোলিতে নকশালদের সাথে পুলিশের এনকাউন্টার হয়েছিল, যেখানে একজন পুলিশ কনস্টেবলও আহত হয়েছিল। গাদচিরোলি পুলিশের স্পেশাল কমব্যাট ইউনিট C-৬০ কমান্ডোদের একটি দল যখন টহলে ছিল, তখন অতর্কিত মাওবাদীরা কমান্ডো দলের উপর গুলি চালায়। এরপর কমান্ডোরাও পাল্টা গুলি চালায়। এর আগে এপ্রিলে নকশালরা গাদচিরোলিতে হামলা করে দুই গ্রামবাসীকে হত্যা করে। গ্রামবাসী উভয়েই আগে নকশাল সংগঠনে বসবাস করলেও পরে তারা সংগঠন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করে। এরপর গোয়েন্দাদের অভিযোগে দুজনকেই খুন করা হয়। দুজনের বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। গত বছরের নভেম্বরে নকশালদের প্রধান নেতা মিলিন্দ তেলতুম্বে এনকাউন্টারে নিহত হন। তার সাথে ২৫ জন নকশালকেও খতম করা হয়েছে। তেলতুম্বের পুরস্কার মুল্য ছিল ৫০ লাখ।
No comments:
Post a Comment