শনিবার বিকেলে কলকাতায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। রবীন্দ্র সরোবরে রোয়িংয়ের সময় ঝড়ের কবলে পড়ে একদল নাবালক। তাদের মধ্যে দুজন ডুবে মারা গেছে। এমন ঘটনার পর নানা প্রশ্ন উঠছে।
মৃতদের নাম পুষান সাধুখান ও সৌরদীপ চ্যাটার্জি। তারা দুজনই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র। দুজনেই সাঁতারে দক্ষ ছিলেন। তবুও কেন তারা এভাবে ডুবে গেল?
রবিবার রোয়িংয়ের ফাইনাল ম্যাচ, শনিবার রবীন্দ্র সরোবর লেকে অনুশীলন চলছিল। কিন্তু সেই জলে তাদের প্রাণ গেল, তাতে রাজি নন নিহতের স্বজনরা। প্রশ্ন জাগে, রোয়িং অনুশীলনের সময় রবীন্দ্র সরোবরে ফলো বোট ছিল না কেন? রাখলে হয়তো এই দুই নাবালকের মৃত্যু হতো না।
আধিকারিকদের মতে, পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের যান্ত্রিক নৌকা নিষিদ্ধ। তাই ব্যবস্থা করা যায়নি। ফলো বোট রাখলে পৌরসভা থেকে নোটিশ আসবে।
প্রশ্ন হল, কালবৈশাখী নিয়ে আগেই সতর্কবার্তা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তা সত্ত্বেও কেন নিরাপত্তা ছাড়াই হ্রদের জলে রোয়িং মহড়া চলছিল? কেন বন্ধ করা হলো না? আধিকারিকদের মতে, যখন রোয়িং অনুশীলন শুরু হয়েছিল, তখন আবহাওয়া বেশ ভাল ছিল। শহরে এমন ঝড় আসতে পারে, যা শহরের উপর দিয়ে যেতে পারে তা কেউ কল্পনাও করেনি।
নৌকা চালাতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে মোট পাঁচ নাবালক। তিনজনই সাঁতরে শীর্ষে গেলেও বাকি দুজন ডুবে যায়। তাদের অনেক পরে পাওয়া গেছে। কিন্তু অজ্ঞান অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার বিকেলে কলকাতার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ছিল ঝড়। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৃষ্টি হয়। এর দুঃখজনক পরিণতি।
No comments:
Post a Comment