শ্বাসরোধ করে খুন গৃহবধূকে, যাবজ্জীবন সাজা পেল স্বামী-শাশুড়ি-ননদ সহ ৫ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 31 May 2022

শ্বাসরোধ করে খুন গৃহবধূকে, যাবজ্জীবন সাজা পেল স্বামী-শাশুড়ি-ননদ সহ ৫



পশ্চিম মেদিনীপুর - গৃহবধূর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার অপরাধে, গৃহবধূর স্বামী, শ্বাশুড়ি, ননদ সহ শ্বশুরবাড়ির মোট পাঁচজনের যাবজ্জীবন সাজা দিল ঘাটাল মহকুমা আদালতে। ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা এলাকায়। জানা যায় ২০১৩ সালে ৩০ আগস্ট দাসপুরের বাসিন্দা নির্মল রায় তার স্ত্রী রুমা রায়কে ঘুমন্ত অবস্থায় মুখে বালিশ চাপা দেয়।





 রুমা রায়ের স্বামী বিমল রায়, শাশুড়ি প্রভাবতী রায়, ননদ মলিনা সিংহ,ভাসুর প্রদ্যুৎ রায় ও প্রদ্যুৎ রায়ের স্ত্রী তপতী রায় পরিবারের এই পাঁচজন সদস্য  মিলে গৃহবধূকে খুন করে মৃতদেহ দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে হাসপাতাল থেকে তারা পালিয়ে যায়। খবর যায় গৃহবধূর রুমা রায়ের বাপের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেবরা এলাকায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ির পরিবারের সদস্যরা এসে দাসপুর থানায় অভিযোগ করে যে তাদের মেয়েকে খুন করেছে। রুমার স্বামী, শাশুড়ি, ননদ সহ পরিবারের মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে দাসপুর থানায় অভিযোগ করে তার বাপের বাড়ি সদস্যরা। অভিযোগ পেয়ে দাসপুর থানার পুলিশ মৃত গৃহবধূর স্বামী শাশুড়ী সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং ঘাটাল মহকুমা আদালতে তোলা হলে তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়।



দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ মঙ্গলবার দাসপুরের গৃহবধূকে রুমা রায়কে খুন করার অপরাধে স্বামী নির্মল রায় ও শাশুড়ি প্রভাবতী রায় সহ শ্বশুরবাড়ির মোট ৫ জন সদস্যের  যাবজ্জীবন সাজা এবং দশ হাজার টাকা করে জরিমানা ঘোষণা করল ঘাটাল মহকুমা আদালত।




মৃত গৃহবধূর রুমা রায়ের বাবা সুকুমার রায় ভাই শুভন রায় বলেন, " বিয়ের পর থেকেই রুমার উপর অত্যাচার করত স্বামীসহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ২০১৩ সালে ৩০ আগস্ট রুমার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে রুমার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির পাঁচজন সদস্য মিলে। আমরা সেই অভিযোগ করেছিলাম দাসপুর থানা। অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সেই মত আজ ওই পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এতে রুমার আত্মার শান্তি পাবে। খুনিরা শাস্তি পেয়েছে খুব ভালো লাগছে রুমার বাপের বাড়ি সদস্যদের।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad