স্নাতকোত্তর হতে গেলে দিতে হবে সাঁতারের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা হবে অনলাইনে। এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে চীনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটাই এখন হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে নেট মাধ্যমে। অনলাইন সাঁতারের পরীক্ষা শুনে চীনা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে মজায় মেতেছেন তারা।
বলা হচ্ছে, করোনার বাড়বাড়ন্ত এবং চীনের রাজধানী সাংহাইয়ে লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে সাংহাইয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ মে একটি নোটিশ জারি করে সমস্ত স্নাতক পড়ুয়াদের অনলাইনে সাঁতারের পরীক্ষা দিতে বলে। আর এই অনলাইন সাঁতার পরীক্ষার ধারণাটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের যেন অন্য খোরাক জুগিয়েছে এবং চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এটি নিয়ে মজা করতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
উল্লেখ্য, ১৫ই মে একটি চীনা বিশ্ববিদ্যালয় সমস্ত স্নাতক ছাত্রদের অনলাইনে ৫০ মিটার (১৬৪ফুট) সাঁতার পরীক্ষা দিতে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এর কারণ হল চীনে, স্নাতক পড়ুয়াদের শুধুমাত্র তখনই স্নাতক হিসাবে বিবেচনা করা হয় যখন তারা সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং তখনই তাদের স্নাতক শংসাপত্র দেওয়া হয়। চীনে, সাঁতারকে পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল কারণ সেখানে সাঁতার একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবন দক্ষতা হিসাবে বিবেচিত হয় এবং ফিটনেস বজায় রাখে।
এ বিষয়ে চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নোটিশের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে এই অনলাইন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, চীন জুড়ে যেভাবে করোনার ঢেউ চলছে, সেই পরিস্থিতিতে এই পরীক্ষা তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘরে বসেই স্নাতক করে তুলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, অনলাইন সাঁতার পরীক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য, শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কে লগ ইন করতে হবে এবং একটি অনলাইন প্রশ্নাবলীর উত্তর দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক হাসাহাসি হয়েছে এবং নেটাগরিকরাও এ নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে একজন নেট নাগরিক লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের বাথটাবের ভিতরে পরীক্ষা দিতে হবে কিনা। অন্য একজন প্রশ্ন করেন, বিশ্ববিদ্যালয় জল থেকে সাঁতারকে 'আলাদা' করতে চায় কিনা। অন্য একজন লেখেন, পরীক্ষাটি 'ইন্টারনেট সার্ফিং' এর একটি বাস্তব জীবন সংস্করণ ছিল।
No comments:
Post a Comment