তৃণমূল নেতা-কাউন্সিলরের মদতে দখল হয়ে যাচ্ছে শ্মশান! প্রতিবাদে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 6 May 2022

তৃণমূল নেতা-কাউন্সিলরের মদতে দখল হয়ে যাচ্ছে শ্মশান! প্রতিবাদে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের


পশ্চিম বর্ধমান: শ্ম‌শান ঘাট নষ্ট করা, মন্দির ভাঙা সহ একাধিক অভিযোগে গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা চঞ্চল ব্যানার্জি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মদতে এই প্রাচীন শ্ম‌শান ঘাটটি দখল করার চেষ্টা করছে জামুড়িয়া শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি কারখানা। তারই প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার সকালে ইকরা এলাকার মহিষা বুড়ি শ্ম‌শান ঘাটে সার্থকপুর গ্রাম ও মহিষা বুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় জামুরিয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


বিক্ষোভরত স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা চঞ্চল ব্যানার্জির মদতে একটি বেসরকারি কারখানা এই শ্ম‌শান ঘাটে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ করছে, যার ফলে শ্মশান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, এই শ্ম‌শান ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে সার্থকপুর গ্রাম সহ আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের মরদেহ দাহ করা হয়। তাছাড়াও এই শ্মশান ঘাটে কালী মন্দির রয়েছে। মাটি কেটে নেওয়ার ফলে তাদের দেহ সৎকার করতে অসুবিধা হবে। বিক্ষোভরত স্থানীয়দের দাবী, এই শ্মশানঘাটটিকে দখল করার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনামাফিক মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে শ্মশানটি নষ্ট করে দিচ্ছে।


অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা চঞ্চল ব্যানার্জি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কিছু মানুষ চক্রান্ত করে স্থানীয় মানুষদের ভুল বুঝাচ্ছে। তিনি জানান, যেভাবে চারিদিকে কারখানা হচ্ছে, তাতে এই শ্মশানঘাটে অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। দিন পনেরো আগে মহিষা বুড়ি, চন্ডিপুর, রেল কোয়ার্টার সহ একাধিক এলাকার বিশিষ্ট জনদের নিয়ে ১৭ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, এই শ্মশানটিকে পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করার জন্য। সেইমতো ওই বেসরকারি কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেশকিছু স্থানীয় দাবী নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। 


তিনি জানান, তারমধ্যে এই শ্মশান টিতে দুটি চুল্লি ব্যবস্থা করার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ রাজি হয়েছিলেন। এছাড়াও কালী মন্দির, জোর সংস্কার, হাই মাস্ট লাইট, জলের লাইন সহ দেহ সতকারে আসা মানুষজনদের থাকার জন্য শেড তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। সমস্তটাই লিখিত আকারে হয়। সেইমতো এই শ্মশানের কাজ শুরু করেছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিছু মানুষ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে এলাকার উন্নয়নের কাজ আটকাতে চাইছেন।' যদিও এই বিষয় নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad