নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে পুলিশের অভিযানের বিষয়ে তথ্য চেয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচকে দ্বিবেদীকে তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজ্যপাল তাঁকে রাজভবনে ডেকেছিলেন। মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী প্রায় পৌনে এগারোটার দিকে রাজভবনে পৌঁছান এবং প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয়।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কোনও পূর্ব তথ্য ছাড়াই, কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট না দেখিয়ে, রাজ্য পুলিশ জোর করে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের অফিসে ঢুকেছিল, এই অভিযোগ বিরোধীদলীয় নেতা রাজ্যপালের কাছে করেছিলেন। এরপর মুখ্যসচিবকে তলব করেন রাজ্যপাল।
মুখ্যসচিব সহ রাজ্যের পুলিশ প্রধান এবং র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সকে ট্যাগ করে রাজ্যপাল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে তাঁর বিধায়কের অফিসে জোর করে পুলিশ বাহিনী এবং র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের বলপূর্বক প্রবেশ করা কিছু রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অধীন এবং একটি উদ্বেগের বিষয়।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় একটি ট্যুইটে লিখেছেন যে, মুখ্য সচিব শুভেন্দু অধিকারীর অফিস এবং নন্দীগ্রামের বাসভবনে "অপরাধী অনধিকৃত" সম্পর্কে তথ্য দেবেন। সকাল ১১টায় তাকে রাজভবনে ডাকা হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা দু’জনের মধ্যে বৈঠক হয়। রাজ্যপাল ধনখড় নিজেই ট্যুইট করে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'একদিন আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উন্নয়ন ও কল্যাণে করণীয় পরিকল্পনা এবং মনিটরিং কমিশনের চেয়ারম্যান পদে কৌস্তভ রায়কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি মুখ্যসচিবকে ফোন করেছি এর জবাব দিতে। এ ছাড়া নন্দীগ্রামে বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান নিয়ে কথা হবে।'
রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি বিষয় নিয়েই মুখ্য সচিবের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রাজ্যপাল, কৌস্তভ রায়ের নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছেন, কারণ রাজভবনকে তার সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি বা বিরোধীদলীয় নেতা এতে যোগ দেননি। তাই তাদের নিয়োগের জন্য মন্ত্রিপরিষদ গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপ ও পদ্ধতি সম্পর্কেও তথ্য চেয়েছেন রাজ্যপাল।
এছাড়াও, নন্দীগ্রামে বিরোধীদলীয় নেতার অফিসে পুলিশি তৎপরতার বিষয়ে হাইকোর্টও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। আদালত বলেছে, পুলিশ আইন জেনেও আইন ভাঙে। এ বিষয়ে মুখ্য সচিবের কাছ থেকেও জবাব চাওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment