এটা রক্ষাবন্ধনের দিন এবং মানুষের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয় না.. এটা হতে পারে না. উৎসবের দিনে নানা ধরনের খাবার তৈরির রেওয়াজ চলে আসছে বহু বছর ধরে। উৎসবের খাবারে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তা হল তৈলাক্ত জিনিস। পুরি, কচোরি বা পনির বা ছোলা, সবাই প্রচুর তেল ব্যবহার করে। উৎসব হলে মানুষ পেটের তোয়াক্কা না করেই খায় সেই সাথে মন ভরে। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পেট ভারী হওয়া এবং পেট ফাঁপা। অম্লতা এই দুটি জিনিসের মূল।
প্রত্যেকের পেটে কিছু পরিমাণ গ্যাস থাকে, কিন্তু যখন তা বেশি তৈরি হতে শুরু করে তখন পেট ভারী এবং ফুলে যায়। এই সমস্যা বেশি হলে খাবার হজম হয় না এবং খাবারের পুষ্টিও শরীর পায় না। আপনিও যদি উৎসবের সময় বেশি খাবার খেয়ে থাকেন এবং পেটে ভারি হওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবিলম্বে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি গ্রহণ করুন। এগুলো গ্রহণ করলে আপনি এই সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাবেন।
লেবুর শরবত
পেট ফাঁপা বা ভারী হওয়ার জন্য লেবু সেরা প্রতিকার। খাওয়ার পরপরই লেবুজল পান করুন। পেটের সমস্যায় লেবু কার্যকরী। এক গ্লাস লেবু জলে স্বস্তি পাওয়া গেলেও দুবার পান করলে ভালো হবে। এটি খাবার হজমেও সাহায্য করবে।
পেটের এই অংশে মালিশ করুন
পেটে ভারি ভাব থাকলে চার আঙুল নাভির উপরে রাখুন। এবার চার আঙুল দিয়ে নাভিতে চাপ দিন এবং তারপর হাতটি আলগা করুন। এবার নাভির উপর ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং তারপরে বিপরীত দিকে আঙ্গুলগুলিকে ঘোরান। আপনি যদি এই কাজটি সঠিকভাবে করেন তবে আপনি শীঘ্রই উপশম পাবেন। কমপক্ষে 10 মিনিটের জন্য এটি করুন।
মৌরি
মৌরি খাবার হজম করতে সহায়ক। খাবার খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খান। মৌরি খাবার হজম করবে এবং পেটের ভারী হওয়ার সমস্যাও দূর হবে।
পুদিনা
পুদিনা পাতা কার্যকর পেট ফাঁপা এবং পেটের ভারী হওয়া থেকেও মুক্তি দেবে । এ জন্য খাবার খাওয়ার পর মুখে ৫-৬টি পুদিনা পাতা রেখে চিবিয়ে নিন।
জিরা জল
জিরা জল এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে। এ জন্য শুধু গ্যাসে একটি পাত্র রাখুন। এবার এতে এক গ্লাস জল দিন। জলে দুই চামচ জিরা দিন। প্রায় এক মিনিট জল ফুটানোর পর একটু ঠান্ডা হতে দিন। জল একটু ঠাণ্ডা হলেই পান করুন, উপকার হবে।
No comments:
Post a Comment