দশ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক সাধুর বিরুদ্ধে। তবে যথাসময়ে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এই নক্কারজনক ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার একটি গ্রামের। তাবিজ বানিয়ে মানুষকে খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচানোর অজুহাত দিয়ে তিন সাধু এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই সাধুরা প্রথমে মেয়েটির কাছ থেকে পানীয় জল চায়। এরপর পিছন থেকে এক সাধু ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর মেয়েটির মুখ চেপে অপকর্ম করতে থাকে এবং তার অপর দুই সঙ্গী বাড়ির বাইরে পাহারা দিতে থাকে।
মেয়েটির চিৎকার ও কান্নার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন সেখানে পৌঁছে তিনজনকে ধরে ফেলে। গ্রামবাসীরা প্রথমে তাদের বেধড়ক মারধর করে এবং পরে পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেয়েটিকে ধর্ষণকারী প্রধান অভিযুক্তের নাম দীপক কুমার পান্ডে এবং সে লোহারদাগার বাসিন্দা। এই জঘন্য কাজে তাকে সহযোগিতাকারী দুজনের নাম হল ভোলা পান্ডা ও অনুপ পান্ডা। এরা ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তিন অভিযুক্ত গত ১০ দিন ধরে খুন্তিতে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে ছিল। তার রাশিফল বের করতে শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় বাড়িওয়ালাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ ঘটনার পর মেয়েটি বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই নারী ও মেয়েদের ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এই যে ঘটনা ঘটেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের গরীব মানুষকেও মোটে বিশ্বাস করা উচিৎ নয়।
No comments:
Post a Comment