সম্প্রতি একটি ছবি বেরিয়েছে, ডোন্ট লুক আপ। এই ছবিতে, একজন বিজ্ঞানী জানতে পারেন যে, একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তিনি বিশ্বকে সতর্ক করেন কিন্তু সবাই তার কথাকে হালকাভাবে নেন। পরে এটি পৃথিবীর কাছাকাছি পৌঁছালে একটি বিমানের মাধ্যমে ওই গ্রহাণুর ওপর পারমাণবিক হামলা চালিয়ে এটি বিদ্ধস্ত করার ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই ছবির গল্প এবার সত্যি হতে চলেছে। একইভাবে পৃথিবীকে বাঁচাতে মহাকাশে পাঠানো হবে একটি মহাকাশযান, যা পৃথিবীর দিকে দ্রুতগামী গ্রহাণুটিকে 23000 কিলোমিটার বেগে আঘাত করে টুকরো টুকরো করে ফেলবে।
নাসা সতর্ক করেছিল যে, একটি গ্রহাণু পৃথিবী থেকে প্রায় 35 লক্ষ মাইল দূরে এবং সরাসরি পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে 467460 (2006 JF 42)। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটি পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাসা এখন এটিকে টুকরো টুকরো করার জন্য প্রস্তুত। প্রায় 24 কোটি পাউন্ড বা 23 বিলিয়ন রুপি ব্যয়ের মিশনটি সেপ্টেম্বরে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে আধা টন মহাকাশযানটিকে গ্রহাণুর দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রযুক্তি তৈরি করা হচ্ছে।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী অ্যান্ডি চেং, সিনিয়র গবেষকদের সাথে ডার্ট (DART) নামের এই মিশনটি তৈরি করেছেন। ডঃ চেং ফিন্যান্সিয়াল টাইমকে বলেন যে, এটা তার জন্য খুবই আনন্দদায়ক, এটা একটা স্বপ্ন পূরণের মতো, একটা স্বপ্ন যা তিনি পূরণের জন্য গত 20 বছর ধরে অপেক্ষা করছেন।
ডাঃ চেং অনুমান করেন যে, একটি DART- এর আঘাত গ্রহাণুর আকার পরিবর্তন করতে পারে। বর্তমানে পৃথিবীর কাছাকাছি এমন 27 হাজার বস্তু শনাক্ত করা হয়েছে, যা পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর। DART মিশন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে, যা থেকে জানা যাবে পৃথিবীতে কোনও হুমকি আছে কি না।
ডাঃ চেং বলেন, 'জরুরি পরিস্থিতিতে, আমাদের আরও কিছু মহাকাশযান তৈরি করতে হবে, যা গ্রহাণুতে আঘাত করার জন্য পাঠানো যেতে পারে।'
গত বছরের নভেম্বরে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল মূল DART ক্রাফট। নাসা বলেছে যে, ডার্ট তার ধরণের প্রথম মিশন, যা মহাকাশে গতিগত প্রভাবের মাধ্যমে গ্রহাণুর গতি পরিবর্তন করবে এবং এই পুরো প্রক্রিয়াটি পরীক্ষা করবে।
No comments:
Post a Comment