বিহারের রাজনীতিতে নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে-র প্রবেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক বাগ্মিতার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে। প্রথম আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব পিকেকে কটাক্ষ করে বলেন যে তিনি সারা দেশে ঘুরেছেন এবং এখন বিহারে এসেছেন। একইভাবে বিজেপি ও জেডিইউ-র নেতারাও পিকেকে বেশ কয়েকবার নিশানা করেছেন। বিশেষ করে যখন প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন যে লালু-নীতীশের ৩০ বছরের শাসনের পরেও বিহার অনেক প্যারামিটারের নীচে রয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নিজেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে কে কী বলছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্ব সত্যের। এখন পিকেও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিবৃতিতে কটাক্ষ করে এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন।
প্রশান্ত কিশোর তার সর্বশেষ ট্যুইটে লিখেছেন, "নীতীশ জি ঠিকই বলেছেন - গুরুত্ব সত্যের, এবং সত্য হল লালু-নীতীশ শাসনের ৩০ বছরের পরেও, বিহার আজ দেশের সবচেয়ে দরিদ্র এবং সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্য। বিহারকে বদলাতে একটি নতুন চিন্তাভাবনা এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং এটি কেবল সেখানকার জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব।
উল্লেখ্য যে প্রশান্ত কিশোর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক দল গঠনের আগে রাজ্যে জন সুরাজ প্রচার চালানোর ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়ন ও কাজের ইস্যুতে নীতীশ সরকারকেও কটাক্ষ করেন তিনি। প্রশান্ত কিশোর বলেন যে বিহারে গত ১৫ বছরে কোনও কাজ হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি চমকে দেওয়ার মতো জবাব দেন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ বলেন, কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিহারে কতটা কাজ হয়েছে সেটাই সত্যের গুরুত্ব।
শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যের রাজধানী পাটনায় পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এ সময় প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যের বিষয়ে তার কাছে জবাব চাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ বলেন, কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। সত্যের গুরুত্ব কতটুকু কাজ হয়েছে। আমি এসবের উত্তর দিই না। কী কাজ হয়েছে তার জবাব আপনি নিজেই দেবেন।
প্রশান্ত কিশোর বৃহস্পতিবার বলেন যে লালু সমর্থকরা সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলে এবং নীতীশ সমর্থকরা দাবি করে। তিনি আরও বলেন যে বাস্তবতা হল বিহার গত ৩০ বছরে একটি পশ্চাৎপদ রাজ্য ছিল।
No comments:
Post a Comment