মালদা: পুরনো বিবাদের জের, এক কলেজ ছাত্রীর মাকে রাস্তা থেকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ইংরেজবাজার থানার উত্তর রামচন্দ্রপুর এলাকায়। আহত ওই কলেজ ছাত্রীর মা মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উত্তর রামচন্দ্রপুরের সম্পা বসাক নামে ওই গৃহবধূর মেয়ে সোনিয়া বসাক, মালদার আইএমপিএস কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। বিগত দেড় বছর আগে ওই এলাকারই রতন কর্মকারের ছেলে ভিকি কর্মকার তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে একটি গণ্ডগোল হয়েছিল। সেটির মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল বলে ওই ছাত্রীর পরিবার জানান।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দিনের মতো এদিনও মর্নিং ওয়ার্ক করতে যায় ওই কলেজ ছাত্রীর মা। অভিযোগ, সেই সময় তাকে একা পেয়ে অভিযুক্তরা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আহত ওই কলেজ ছাত্রীর মাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই বিষয়ে ওই কলেজ ছাত্রী জানান, 'বিগত প্রায় দেড় বছর আগে ভিকি কর্মকার নামে ওই যুবক তাঁকে কলেজ যাওয়ার পথে ইভটিজিং করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম আমি। এই নিয়ে সেই সময় তাদের সঙ্গে গণ্ডগোল হয়েছিল। তারপর মীমাংসাও হয়ে গিয়েছিল।'
ছাত্রীর অভিযোগ, তারপর থেকেই তাদের ওপর হুমকি আসে, 'তাদের দেখে নেবে'। এদিন তার মা মর্নিং ওয়াক করতে গেলে বেধড়ক মারধর করে ওই অভিযুক্তরা। এই বিষয়ে আমরা ইংরেজবাজার থানা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এখন নিরাপত্তায় ভুগছি কারণ কলেজ বা টিউশন থেকে বাড়ি ফিরতে আমার দেরি হয়। তাই আমার মায়ের মত যদি আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে সেই আশঙ্কাই আমি ভুগছি।' আমি চাই পুলিশ প্রশাসন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করে, দাবী কলেজ ছাত্রীর।
এই বিষয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা সুশান্ত বসাক জানান, 'পুরনো বিবাদের জেরে তার স্ত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা। আমার মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে মালদার আইএমপিএস কলেজের।' মেয়ের ওপর এই ধরণের অত্যাচার হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি চান অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করুন পুলিশ।
বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ওই কলেজ ছাত্রীর মা। ওদিকে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment