হিন্দুধর্মে গাছপালা, পশুপাখি ও পাখিদের অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কাকের কথা বললে, কালো রঙের এই পাখিটিকে যমের দূত বলে মনে করা হয়। কাক সম্পর্কে বিশ্বাস করা হয় যে সে ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকে তথ্য পায়। অতএব, কাকের সাথে যুক্ত অশুভ লক্ষণকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। শগুন শাস্ত্রে কাক সংক্রান্ত লক্ষণ এবং তা থেকে শুভ ও অশুভ ফল বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
কাক থেকে ভাল এবং খারাপ লক্ষণ
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, খুব ভোরে যদি কোনও ব্যক্তি বাড়িতে, বারান্দায় বা বারান্দায় আসেন, তবে বাড়িতে কোনও অতিথির আগমন ঘটে। এটি একটি ভাল লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
শকুন শাস্ত্র অনুসারে কাকের পক্ষে দুপুরে উত্তর দিকে কথা বলা শুভ বলে মনে করা হয়। একইভাবে পূর্ব দিক থেকে কাকের আওয়াজও শুভ কিন্তু দক্ষিণ দিক থেকে কাকের কথা বলা অশুভ লক্ষণ। এতে পরিবারের কোনো সদস্যের বড় ধরনের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অথবা এটি একটি সদস্যের সাথে একটি বড় দুর্ঘটনার একটি অশুভ লক্ষণ হতে পারে।
বাড়ির ছাদে এক পাল কাকের চেঁচামেচি ভালো নয়। এটি একটি সঙ্কট আসার লক্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় আপনার ইষ্ট দেবের পূজা করুন। মন্দিরে যান, মন্ত্র উচ্চারণ করুন এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন।
শকুন শাস্ত্রে কাককে জল পান করা ভাল বলে মনে করা হয়। যখন এটি ঘটে, তখন ব্যক্তি অর্থ লাভ করে। কোনো কাজে যাওয়ার সময় যদি কাককে জল খেতে দেখা যায়, তাহলে বিশ্বাস করুন আপনি সেই কাজে অবশ্যই সফলতা পাবেন।
কাক মারলে তা ভালো মনে হয় না। এটি এক ধরণের দুর্ভোগের পূর্বাভাস। এটি কোনও রোগের সাথেও যুক্ত হতে পারে বা এটি অর্থ ক্ষতির লক্ষণও হতে পারে।
কাক যদি শরীরের কোনো অংশ স্পর্শ করে বা ঠোঁট দিয়ে চলে যায় তবে তা ভালো, কিন্তু মাথা স্পর্শ করার পর যদি বেরিয়ে আসে তবে তা খুবই অশুভ। এটা গুরুতর অসুস্থতা বা বড় কষ্টের লক্ষণ।
আপনি যদি রুটির টুকরো টিপে একটি কাক উড়তে দেখেন তবে এটি আপনার বড় ইচ্ছা পূরণ হওয়ার একটি শুভ লক্ষণ।
No comments:
Post a Comment