রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স নিষিদ্ধ কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (কেএলও) সঙ্গে যুক্ত এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। ভারত-নেপাল সীমান্তের খড়িবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এই সন্ত্রাসীকে। এসটিএফের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ সুদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসীর নাম ধনকুমার বর্মণ, বয়স ২৬ বছর। সে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার বক্সিরহাটের বাসিন্দা। তিনি বলেন, 'আমরা কিছু বার্তা পেয়েছি, যেখানে কেএলও প্রধান জীবন সিংয়ের সঙ্গে কোড শব্দে কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু নথিও হাতে রয়েছে। ধনকুমার বর্মণ কেএলওর কর্মী। সে শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে পালানোর চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে আমরা সময়মতো তাকে আটক করি।'
এসটিএফ সূত্রে খবর, আসামের সিমুলবাড়ি এলাকার জঙ্গলে বেশ কিছুদিন ধরে লুকিয়ে ছিল ধনকুমার বর্মণ। একই কাজ করতে নেপালে পালানোর চেষ্টা করছিল সে।
ধনকুমার বর্মণ ২০২০ সালে KLO-তে যোগ দেয়। তার বাবা সুকুমার বর্মণও কেএলও-এর সাথে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু জেল খাটার পর তিনি নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসীর বড় ভাই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। জানা যায়, কয়েক মাস আগে নকশালবাড়ি পুলিস কেএলও লিংকম্যান থেকে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধনকুমারের কথা। এরপর গোপন সূত্রে খবর নিয়ে অভিযান শুরু করে এসটিএফ। তারপরই এই গ্রেফতার ঘটনা ঘটে।
কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও-এর কর্মকাণ্ড গত এক বছরে একাধিকবার সামনে এসেছে। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী উপজাতির মানুষদের নিয়ে গঠিত এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি জীবন সিং-এর নেতৃত্বে বেড়ে ওঠে। সে আবারও সক্রিয় হয়েছেন বলে সূত্রের দাবী। এক বছরের মধ্যে জীবন সিংয়ের অনেক ভিডিও বার্তা প্রকাশ পেয়েছে। গত বছর, একটি ভিডিওও শোনা গিয়েছিল, যাতে জীবন সিংয়ের লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়েছিল। বিবৃতিতে দাবী করা হয়, তারা উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলা, নেপালের কিছু অংশ, বিহারের কিষাণগঞ্জ সংলগ্ন কিছু অংশ, আসামের অনেক এলাকা, মেঘালয়ের অনেক এলাকা এবং বাংলাদেশের রংপুর এলাকায় কামতাপুরকে একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত করতে চান। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করেনি প্রেসকার্ড নিউজ। তবে এই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফ জানিয়েছে, কেএলওর তৎপরতার কোনও খবর নেই।
No comments:
Post a Comment