উত্তর ২৪ পরগনা: পৌর এলাকায় জাতীয় কংগ্রেসের সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কংগ্রেস দুই নেতাকে মারধর ও সোনার চেন ছিনতাইয়ের অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। ঘটনাটি ঘটেছে গোবরডাঙ্গায়।
গোবরডাঙ্গা পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় কংগ্রেসের একটি ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সেটি বর্তমানে পরিত্যক্ত আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়। কংগ্রেস নেতৃত্ব খবর পায়, জায়গাটি দখল করে নিচ্ছে শাসকদল। খবর পেয়ে শনিবার রাতেই কংগ্রেস কর্মীরা সেখানে গিয়ে ফ্ল্যাগ লাগিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, 'স্লোগান চলাকালে পুলিশের সামনেই গোবরডাঙ্গা পৌরসভার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। দুজনকে মারধর করা হয় এবং সোনার চেন ছিনতাই করে নিয়ে নেওয়া হয়।'
এই নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম, গোবরডাঙ্গা পৌরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্তর সাথে। তিনি বলেন, কংগ্রেস কর্মীরা মিথ্যাচার করছে। এখনকার এই কংগ্রেস কর্মীরা সিপিএম ও বিজেপির মুখে কথা বলে তারা।
চেয়ারম্যান শংকর দত্ত জানান, হরিপদ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির জমি ছিল ২ শতক। জমির এক শতক কংগ্রেস দখল করে রেখেছিল, রেকর্ড দখল বলে উল্লেখ আছে। তিনি বলেন, কংগ্রেস কর্মীদের কেউ মারধর করেনি। তার পাল্টা অভিযোগ, কংগ্রেস মিথ্যে কথা বলছে। শনিবার রাতে ওই জমির কাছে কংগ্রেস কর্মীরা বাজে বাজে স্লোগান দিচ্ছিল, সেই সময় কিছু ব্যক্তি প্রতিবাদ করে, ধমক দিলে পালিয়ে যায়, ওদের মারধরের প্রয়োজন হয় না, মন্তব্য চেয়ারম্যানের।
জায়গাটি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা দখল করেনি ওই ওয়ার্ডের সেলফ এল গ্রুপ এর কিছু মহিলা কিছু করতে চেয়ে একটি ছোট ঘর বানিয়ে ছিল। এমনই জানান, পৌরপ্রধান শঙ্কর দত্ত।
শনিবার রাতে ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ এবং কংগ্রেস সভাপতি পবিত্র সমাদ্দারকে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে রাতেই থানা থেকে বেল বন্ডে সই করিয়ে কংগ্রেস সভাপতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই জমি কাণ্ডে এখন গোবরডাঙ্গায় চলছে রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আদালতে দ্বারস্থ হবেন এই জমি নিয়ে। তবে শনিবার রাতের ঘটনার গোবরডাঙ্গা থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি তারা।
No comments:
Post a Comment