উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলায় চাকরির অজুহাতে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে এক যুবককে জোর করে ধর্মান্তরিত করা এবং রাজি না হলে তাকে বন্দি করা হয়। অভিযুক্তদের খপ্পর থেকে কোনওরকমে পালিয়ে এসে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ মৌলভী সহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত এখনও চলছে।
বেনারসের বাসিন্দা সুধাংশু চৌহানের অভিযোগ, গাজিপুরের বাসিন্দা আরমান আলীর সঙ্গে চাকরি নিয়ে কথা হয় তাঁর। আরমান তাকে ফতেহপুরে ডেকে পাঠায়। ফতেহপুরে পৌঁছলে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রেজিস্ট্রেশনের নামে তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। তারপর কিছুক্ষণ পর তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চেয়ে নেয়, যাতে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।
সুধাংশু জানান, আরমানের কথায় তিনি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে নেন। ১৭ জুন কিছু লোক তাকে ২০ জন হিন্দু এবং ৩০-৪০ জন মুসলিম ছেলের সাথে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। সেখানে সব মানুষকে কোনও না কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করা যায়। ১৯ জুন আবারও ৫০ জন হিন্দু এবং ১০০ জন মুসলমান ছেলেদের সাথে তাকে মসজিদে নিয়ে যায়। মুসলিম ধর্ম গ্রহণের চাপ দেওয়া এবং তার প্রচার করতেও বলা হয়।
অভিযোগকারী সুধাংশু আরও জানান, তারা তাকে লাখ লাখ টাকা ও বাড়ি দেওয়ার প্রলোভনও দিচ্ছিল। এতে তিনি অস্বীকার করলে তারা তাকে বন্দি করে। সেখানে এক আলেমকে ডেকে জোর করে ধর্মান্তরিত করার কথা বলা শুরু করে। তিনি কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে সোজা থানায় যায়। সেখানে তিনি পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানান।
এসপি রাজেশ কুমার সিংয়ের মতে, অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করে। মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত এখনও চলছে।
No comments:
Post a Comment