হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে গত 24 ঘন্টায় 17 জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বারাণসীর জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালেই 13 জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণে আশেপাশের জেলাগুলিতেও গঙ্গার তীরে অবস্থিত উভয় শ্মশানেই শেষকৃত্যের অপেক্ষায়।
বুধবার বিভাগীয় হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, হাসপাতালের দোরগোড়ায় থেমে গেছে ছয়জনের নিঃশ্বাস। জেলা হাসপাতালে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। ক্রমাগত মৃত্যুর কারণে শিবপুরের পোস্টমর্টেম হাউসে মৃতদেহের চাপ দ্বিগুণ হয়েছে। এটির 12টি মৃতদেহ রাখার ক্ষমতা রয়েছে। বাড়তি দেহ বাইরে রাখতে হয়। হাসপাতালের মর্গে রাখা মৃতদেহ পচে যাচ্ছে। এখানে ডিপ ফ্রিজারে ছয়টি দেহ রাখার জায়গা আছে মাত্র। ডিভিশনাল হাসপাতালের এসআইসি হরিচরণ সিং বলেন, গরমের কারণে মানুষের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ছে যে হাসপাতালে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে মারা যান।
প্রচণ্ড গরমে বেনারস ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মণিকর্ণিকা ও হরিশচন্দ্র ঘাটের শ্মশানস্থলেও চাপ বেড়েছে। শ্মশানের জন্য চার-পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় মানুষকে। এ সময় ঘাটের সিঁড়িতে দেহ রাখতে হচ্ছে।
বুধবারও মণিকর্ণিকা ঘাটে লোহার কক্ষে খালি জায়গা ছিল না। স্বজনদের শেষকৃত্যের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে দেহ পাওয়া গেছে। প্রখর রোদে অপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে এসব ঘাটে যেখানে নেই ছায়া, নেই বিশুদ্ধ খাবার জল।
শিবালার কাউন্সিলর রাজেশ যাদব চাল্লু জানান, কয়েকদিন ধরে গরমের কারণে মৃতদেহের সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু ঘাটে দেহ রাখার জন্য এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা নেই।
No comments:
Post a Comment