প্রেমের নাম এলেই মনে পড়তে থাকে আবেগের সব গল্প। কিছু আবেগ মানুষের জীবন তৈরি করে, আবার কিছু কিছু আবেগ মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়। প্রেমের অপর নাম ত্যাগ, যদিও বাস্তবের সঙ্গে এর হয়তো মিলটা নেই বললেই চলে। কারণ প্রেমের মানুষকে কাছে না পেলে বা তার ভালোবাসা না পেলে চরম প্রতিশোধ নিতেও কুন্ঠাবোধ করে না কেউ কেউ। কিন্তু ব্রাজিলে বসবাসকারী এক তরুণ প্রেমিকাকে না পেয়ে অদ্ভুত এক প্রতিশোধ নিলেন। তার প্রাক্তন প্রেমিকার মুখে নিজের পুরো নামের ট্যাটু করে দেয়।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে। এখানে বসবাসকারী ১৮ বছর বয়সী একটি মেয়েকে তার প্রাক্তন প্রেমিক অপহরণ করে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তার মুখের একপাশে নিজের পুরো নামের ট্যাটু করে দেয়। ব্রেক আপের পর প্রতিশোধ নিতে মেয়েটির সঙ্গে এমন করার অভিযোগ উঠেছে তরুণের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি নিজে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
কোয়েলহো নামে ব্রাজিলের একটি ২০ বছর বয়সী ছেলে ১৮ বছর বয়সী তায়নে ক্যাল্ডাস নামে একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কে ছিল। দু’জনের বিচ্ছেদের পর একদিন মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার সময় ছেলেটি তাকে গাড়িতে বসিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে পৌঁছানোর পর মেয়েটির মুখের ডান পাশে একটি ট্যাটু দিয়ে নিজের পুরো নাম লেখেন ওই তরুণ। পরদিন মেয়ের খোঁজে তার মা রিপোর্ট লেখালে কোলহোর বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়। মায়ের কথায় ওই তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন মেয়েটি। কিন্তু তার অন্য কিছুও বলার ছিল।
মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে কোয়েলহোকে যখন হেফাজতে নেওয়া হয়, তখন তিনি এক অদ্ভুত কথা জানান। কোয়েলহো এবং তার বাবা বলেছিলেন যে, মেয়েটি নিজের আনন্দে ট্যাটু করিয়েছিল।
টিভি ব্যান্ড ভ্যালের সাথে আলাপকালে মেয়েটি বলেছিল যে, সে ভয় পেয়েছিল, তাই সে প্রতিবাদ করেনি। এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পরে, সমস্ত ট্যাটু সরিয়ে ফেলতে পারে এমন দোকানদাররা মেয়েটিকে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কোয়েলহো নিজেও একজন ট্যাটু আর্টিস্ট ছিলেন, তাই মেয়েটির শরীরের অনেক জায়গায় নিজের নামের ট্যাটু করে দিয়েছিলেন।
No comments:
Post a Comment