আইন বিভাগের অধ্যাপক এস আর খালিদ, যিনি আলীগড়ের শ্রী ভার্শনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নামাজ পড়ান, তাকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কলেজের মধ্যে অধ্যাপকের নামাজ পড়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, তাতে আপত্তি জানিয়েছে হিন্দু সংগঠনগুলি। এ ছাড়া ডিএস ডিগ্রি কলেজের ছাত্রনেতাদের পক্ষে অধ্যাপক ড. এসআর খালিদের বিরুদ্ধে কুয়ারসি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নগরীর সব থানায় তাহরির দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে।
এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজের মুখপাত্র। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কিছু কর্মী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং জনসাধারণের জায়গায় নামাজ পড়ে পরিবেশ অশান্ত করার অভিযোগ তুলেছিলেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে হিন্দু নেতাদের অভিযোগ ও ভাইরাল ভিডিওর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে কলেজ প্রশাসনের কাছে তথ্যও চেয়েছে পুলিশ।
এর আগে, রবিবারই শ্রী ভার্শেনি কলেজ প্রশাসন এই মামলায় একটি তদন্ত গঠন করেছিল। আসলে, অধ্যাপকের নামাজ পড়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এরপরই বিষয়টি উত্তপ্ত হয়ে যায়। এসভি প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্রনেতা দীপক শর্মা আজাদ বলেন, "কলেজ ও শহরের শান্তি ও সম্প্রীতি যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধ্যাপককে কারাগারে পাঠানো হোক। তা না হলে কলেজ প্রাঙ্গণে হনুমান চালিসা পড়তে বাধ্য হবে শহরের জাতীয়তাবাদী ছাত্রছাত্রীরা।" অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment