টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত দেশের বিভিন্ন স্থান। পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত রাজ্যগুলিতে শোচনীয় অবস্থা। একদিকে বন্যার জেরে আসামের অবস্থা খারাপ। জলমগ্ন গোটা আসাম। সেনাবাহিনী এবং এনডিআরএফ ত্রাণ ও উদ্ধারে নিযুক্ত রয়েছে, অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের নাসিকেও বৃষ্টির কারণে তৈরি হয়েছে ব্যাপক সমস্যা। এখানে জলের স্রোত এতটাই বেশি যে, দাঁড়ানোও কঠিন, এমনকি গাড়িও ভেসে যাচ্ছে।
আসামে যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে, গ্রামগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট যেন আস্ত পুকুর। জলে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ত্রাণ ও উদ্ধারের দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। আসামের চিরাং থেকে ত্রাণ ও উদ্ধারের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বন্যার মধ্যে প্রচুর মানুষ আটকা পড়েছে এবং দড়ির সাহায্যে তাদের বের করে আনা হচ্ছে। এই মুহূর্তে জওয়ানরা এই মানুষদের কাছে যেন দেবদূতের চেয়ে কম নয়।
একে একে জওয়ানরা সবাইকে নিরাপদে বের করে আনেন। শুধু চিরং নয়, আসামের অধিকাংশ জেলাতেই কমবেশি একই অবস্থা। বোঙ্গাইগাঁওয়ের ঘরে ঘরে জল ঢুকেছে। পুরো পরিবার জল বন্দি। এখানে এমন কোনও বাড়ি নেই, যা জলে তলিয়ে যায়নি। মানুষের সামনে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা খাওয়া-দাওয়া নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বাস নগাঁওয়ে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ওদিকে মহারাষ্ট্রের নাসিকে, প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তা যেন ছোটখাটো সমুদ্র। প্লাবিত হয়েছে। জলের স্রোত এতটাই বেশি, যে এর মাঝে দাঁড়ানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। বুধবার এখানে প্রবল বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করেই রাস্তায় জল জমে যায়। যতক্ষণে মানুষ সামলে উঠবে, ততক্ষণে সবকিছু জলে ভেসে যেতে থাকে।
দুই যুবক বাইক ধরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল এবং মাঝ রাস্তায় দুটি স্কুটি জলের মধ্যে পড়ে ছিল। জলের মাঝখান থেকে কোনও মতে বাইকটি বের করে আনেন এই যুবকরা। এসময় সেখানে আসেন আরেক যুবক। সাহস সঞ্চয় করে স্কুটি বের করার জন্য জলের মাঝখানে প্রবেশ করতেই স্কুটিটি ভেসে যেতে থাকে এবং যুবকরাও হতাশ হয়ে গাড়িটির দিকে তাকিয়ে থাকে। এদিকে, কিছু যুবক স্কুটি বের করার চেষ্টা শুরু করে। পাশাপাশি, নাসিকের ভদ্রকালী এলাকায়, প্রত্যেককে নিজ নিজ গাড়ি বাঁচাতে হিমশিম খেতে হয়।
No comments:
Post a Comment